সিলেট ৬ই ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ২১শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৪২ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১০, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ের দিকে যাওয়ার সময় বাঁ দিকে বাংলাদেশের সীমানার ওপারে চোখে পড়বে নয়নাভিরাম দৃশ্য। ভারতের মেঘালয় রাজ্যের সারি সারি সুউচ্চ সবুজ পাহাড় দূর থেকে হাতছানি দেবে। এ পথ ধরে পাঁচ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করলেই জাফলং। এখানে মেঘালয়ের পাহাড় থেকে নেমে এসেছে তিয়াইন নদী। সীমানার ওপারে শিলংয়ের সবুজাভ পাহাড়ি শহর ডাউকি।
জৈন্তাপুর থেকে ৩৪ কিলোমিটার দূরের আরেক পর্যটন এলাকা বিছানাকান্দি। জাফলংয়ের মতোই পাহাড়ি ঝরনা থেকে উদ্ভূত পাথুরে নদী ও সীমানার ওপারে মেঘালয় রাজ্যের সবুজেভরা পাহাড়। এই পুরো এলাকাই সারাবছর দেশি পর্যটকদের পদচারণায় মুখর থাকে। তবে এবার এ অঞ্চলকে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত করতে উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। জাফলং এলাকায় পরিকল্পিত পর্যটন শিল্প গড়ে তোলার লক্ষ্যে সম্প্রতি বেজার চেয়ারম্যান পবন চৌধুরীর নেতৃত্বে চার সদস্যদের একটি প্রতিনিধি দল সে এলাকা
ঘুরে এসেছে।
বেজা সূত্রে জানা গেছে, পুরো এলাকার অবকাঠামোকে পরিকল্পনার আওতায় ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে। জৈন্তাপুর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ শহিদুল ইসলাম সমকালকে বলেন, জাফলং ও বিছানাকান্দির প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগের জন্য প্রতিদিন এখানে গড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার দেশি পর্যটক আসেন। পুরো এলাকাকে ব্যবস্থাপনার আওতায় আনতে পারলে এখানে প্রচুর বিদেশি পর্যটকের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হবে।
জাফলংয়ের অন্যতম আকর্ষণ এখানকার পাথুরে নদী তিয়াইন। এ এলাকায় পাথর জন্মায়। আর এসব পাথর কেটে ছোট করার জন্য নদীর তীর ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পাথর ভাঙার কারখানা।
তবে এসব স্টোন ক্রাশার কারখানা নিয়ে শহিদুল ইসলামসহ অনেক পরিবেশকর্মী ও পর্যটকদের অনেক অভিযোগ রয়েছে। সহকারী কমিশনার বলেন, জাফলংয়ের পাথর ক্রাশিংয়ের পুরো প্রক্রিয়াটি অপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে। ফলে ক্রাশিংয়ের সময় ধূলিময় হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে এখানকার পরিবেশ ও অধিবাসীদের ওপর।
বন্ধুদের সঙ্গে বেড়াতে এসেছেন ন্যাশনাল ব্যাংকের কর্মকর্তা আসিফ। তিনি জানান, পুরো এলাকা ভ্রমণের জন্য অসাধারণ। শুধু অপরিকল্পিত পাথর ভাঙা ও ভাঙা রাস্তা পুরো ভ্রমণ অভিজ্ঞতাকে মাঝেমধ্যে নিরানন্দ করে তোলে।
এ এলাকাকে পরিকল্পিত পর্যটন শিল্পের আওতায় আনা প্রসঙ্গে পবন চৌধুরী সমকালকে বলেন, এ এলাকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বিদেশি পর্যটকদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য ব্যপক সম্ভাবনাময়। শুধু পরিকল্পনার অভাবে সরকার এ রকম একটি সম্ভাবনায়ময় শিল্পের অর্থনৈতিক মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, রাস্তাঘাট উন্নয়নের পাশাপাশি পর্যটকদের চিত্তবিনোদনের জন্য কেবলকার, সীমানার ওপাশের ভারতীয় পাহাড় দেখার জন্য উঁচু টাওয়ার, আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন মোটেল তৈরির মাধ্যমে পুরো এলাকাকে পরিকল্পনার আওতায় আনার জন্য খুব শিগগিরই উদ্যোগ নেবে বেজা। এ ছাড়া পুরো এলাকার পাথর ভাঙার প্রক্রিয়াকেও প্রস্তাবিত জোনের অধীনে আনা হবে। যততত্র পাথর ভাঙার প্রক্রিয়াকে সমন্বয়ের মাধ্যমে সরকারিভাবে একটি বৃহৎ জোনের আওতায় আনলে সেটিও পর্যটকদের কাছে দর্শনীয় একটি স্থানে পরিণত হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি