সিলেট ৩০শে মে, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:২০ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৫, ২০২৩
মো: ইসলাম, ঠাকুরগাঁও :
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মথুরাপুর পাবলিক হাইস্কুলে এক সাথে বিভিন্ন শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন ২০ জন যমজ ভাই-বোন। তাদের নামগুলো প্রায় একই রকম ও চেহারার মিলও দেখা যায়। সে কারণে কোনটা কে সেটা বুঝতে মাঝে মাঝে বিড়ম্বনায় পরতে হলেও যমজ বিষয়টি বেশ উপভোগ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষাকরা।
বিদ্যালয়টির ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে তাহসিন-তাসনিম ও সান-মুন, সপ্তম শ্রেণীতে পড়ে কার্তিক-গণেশ, হাবিব-হাফিজ ও সুমাইয়া-সাদিয়া, অষ্টম শ্রেণিতে শুভ-সৌরভ, নবম শ্রেণিতে হাসি-খুশি ও তাহবি-তাসবি এবং দশম শ্রেণীতে পড়াশোনা করেন আবিদ-অমিত ও রাহুল রাহা- চঞ্চল রাহা। তারা যমজ ভাই বোন৷
যমজ ভাই-বোনদের চেহারায় মিল থাকায় তাদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করতে খানিকটা বিড়ম্বনা হলেও তাদের সাথে কাটানো সময়টা বেশ উপভোগ করেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও সহপাঠীরা।
অপরদিকে দুইজন একসাথে বেড়ে ওঠাকে এবং তাদের মত আরো জমজ ভাই বোনদের একই স্কুলে পড়ার বিষয়টিকে বেশ গর্বের সাথেই দেখছেন যমজ ভাই-বোনেরা৷
ষষ্ঠ শ্রেণীর যমজ দুই ভাই সান ও মুন বলেন, আমরা দুই ভাই একসাথে খাওয়া, খেলাধুলা ও স্কুলে আসা যাওয়াসহ প্রায় সব কাজ একসাথে করি৷ তবে আমাদের খাওয়া দাওয়ার পছন্দ এক হলেও দুজনের দুই রঙ পছন্দ৷ একজনের লাল আরেকজনের নীল৷ আমরা একই পোশাক পরে বিভিন্ন জায়গায় যাই৷ শুধু পোশাক না আমাদের জুতা, চশমা, প্যান্ট সব একরকম। এসব আমাদের খুব ভালো লাগে৷ তবে আমরা কে কোনটা তা অনেকে চিনতে পারেন না। আমরা এ বিষয়টাকে আরো বেশী উপভোগ করি।
সপ্তম শ্রেণীর যমজ দুই বোন সুমাইয়া ও সাদিয়া বলেন, আমাদের সব কাজগুলো আমরা একসাথে করি। আমাদের দুজনের প্রিয় রঙ হল নীল৷ আমরা একসাথে স্কুলে আসি। একসাথে ক্লাশে বসি৷ টিফিনের সময় আবার একসাথে খেলাধুলা করি। সব কাজগুলো আমরা একসাথে করি৷ ক্লাসের সময় একজনকে বকা দিলে আমাদের আরেকজনকে খুব খারাপ লাগে৷ স্কুলের শিক্ষক ও সহপাঠীরা আমাদের চিনতে পারেনা বেশিরভাগ সময়৷ তখন একসাথে দুজনকে ডাকলে আমাদের খুব ভালো লাগে।
নবম শ্রেণির যমজ দুই বোন হাসি ও খুশি বলেন, আমাদের একটা বড় সুবিধা হল কেউ কোন ভুল করলে একজন আরেক জনকে চাপিয়ে দেওয়া যায়৷ পরে আবার আমরা একসাথে মিলে যাই৷ আর পরিবার, আত্মীয়-স্বজনদের কাছে এবং শিক্ষকদের কাছেও আমরা বেশ আদর পাই৷ আমরা আমাদের পুরো সময়টা একসাথে কাঁটাই।
এছাড়াও সুমাইয়া-সাদিয়া, হাবিব-হাফিজ, তাহবি-তাসবি সহ অন্যান্য যমজ ছাত্র ছাত্রীরা একই কথা ব্যক্ত করেন।
বিদ্যালয়টির সহকারী শিক্ষিকা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, যমজ বিষয়টি আমি বেশ উপভোগ করি৷ তারা যখন পাশাপাশি বসে তখন তাদের দেখতেও ভালো লাগে। তাদের পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ অনেক বেশী। তারা যাতে ভালো কিছু করে সেই বিষয়ে আমরা তাদের উৎসাহিত করি৷
মথুরাপুর পাবলিক হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আলমগীর বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানে ২০ জন যমজ ভাই-বোন পড়াশোনা করেন৷ তাদের নামগুলো প্রায় একই রকম ও চেহারার মিলও দেখা যায়। সে কারণে কোনটা কে সেটা বুঝতে মাঝে মাঝে বিড়ম্বনায় পরতে হয়। তবুও আমরা যমজ বিষয়টি বেশ উপভোগ করছি৷ তাদের মেধাও প্রায় সমান হয়৷ একজনের শ্রেণীর রোল নাম্বার দুই হলে অপরজনের তিন হয়। তাদের আচার-আচরণ, পোশাক পরিচ্ছদ একই রকম৷ তারা একসাথে থাকতে বেশ স্বাচ্ছন্দ বোধ করে। আমার আশা করছি তারা সকলে ভালো কিছু করবে।
(সুরমামেইল/এফএ)
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি