রাজনগরে গুণীজন সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২৩

রাজনগরে গুণীজন সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
মৌলভীবাজারের রাজনগরে গুণীজন সংবর্ধনা ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২২ মে) বিকেলে রাজনগর সরকারি কলেজ মাঠে রাজনগর সংসদীয় আসন পুনর্বহাল ও সার্বিক উন্নয়ন কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের আয়োজনে অনুষ্ঠানে সার্বিক সহায়তা করে অলিলা গ্রুপ।

 

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন- বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ, উন্নয়ন চিন্তাবিদ, পরিবেশকর্মী ও পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সভাপতি ড. কাজী খলীকুজ্জামান আহমদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন- রাজনগর সংসদীয় আসন পুনর্বহাল ও সার্বিক উন্নয়ন কেন্দ্রীয় সংসদের উপদেষ্টা ও অলিলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান।

 

রাজনগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক ছিলেন- বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আব্দুল আহাদ চৌধুরী।

 

অনুষ্ঠানে ড. কাজী খলিকুজ্জামান বলেন, অতীতের স্বর্ণালী ইতিহাসের রাজনগরকে আবারও দাঁড় করাতে হবে। এজন্য রাজনগর সংসদীয় আসন পুনর্বহাল ও সার্বিক উন্নয়ন সংসদকে আপনারা সাদরে গ্রহণ করুন। সম্মিলিতভাবে এ অঞ্চলের সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধারে সমবেত হওয়ার সময় এখন।

 

রাজনগর সংসদীয় আসন পুনর্বহাল কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের উপদেষ্টা ও অলিলা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ জিল্লুর রহমান বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে রাজনগর নানাভাবে পিছিয়ে পড়েছে। এ আসনে অনেকেই নির্বাচিত হয়েছেন, উন্নয়নের বিভিন্ন আশ্বাস দিয়েছেন। কিন্তু তেমন পরিবর্তন হয়নি। এখন সময় এসেছে রাজনগরের সংসদীয় আসন পুনরুদ্ধারের। রাজনগরের মানুষের অধিকার ফিরে পেতে, রাজনগর-কমলগঞ্জবাসীর উন্নয়নের স্বার্থে এই আসনটি পুনর্বহাল প্রয়োজন। তা নাহলে এ অঞ্চলের পিছিয়ে পড়া জনগণ অর্থনৈতিক, সামাজিক, রাজনৈতিকসহ নানা ক্ষেত্রে আরো পিছিয়ে যাবে।

 

উল্লেখ্য, ১৯৭০ সালে মৌলভীবাজার জেলায় (তৎকালীন মহকুমা) জাতীয় সংসদের আসন সংখ্যা ছিল পাঁচটি। এর মধ্যে রাজনগর উপজেলার প্রশাসনিক কাঠামোকে কেন্দ্র করে ২৩৩ সিলেট-১৪ নামে একটি নির্বাচনী আসন ছিল। রাজনগর উপজেলা ও কমলগঞ্জ উপজেলার চারটি ইউনিয়ন নিয়ে আসনটি গঠন করা হয়। ১৯৭৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের দ্বিতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে জিয়াউর রহমান ঐ আসনটি কেটে বগুড়ায় একটি আসন বৃদ্ধি করেন।

 

আয়োজকদের দাবি, মৌলভীবাজারের একটি সংসদীয় আসন কেটে উত্তরবঙ্গের একটি জেলায় আসন বাড়ানোর বিষয়টি ছিল অযৌক্তিক ও অবৈধ সিদ্ধান্ত। কাজেই আসনটি পুনর্বহালের দাবি জানান তারা।

 

(সুরমামেইল/এমবিএন)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

 

আমাদের ভিজিটর
Flag Counter

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com