সিলেট ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:১০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৪, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁওয়ে পৈশাচিক নির্যাতনে নিহত শিশু সামিউল আলম রাজন হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে ‘ঘৃণাস্তম্ভ’ নির্মাণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গতকাল শনিবার বিকেলে পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী রাজনের গ্রামের বাড়ি বাদেআলীতে গিয়ে তার মা-বাবার হাতে ‘ডিও লেটার’ হস্তান্তর করেন সিলেট-হবিগঞ্জ সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী। ২ লক্ষ টাকার ‘ডিও লেটারটি’ জেলা পরিষদে জমা দেয়ার জন্য রাজনের বাবা আজিজুর রহমান ও মা লুবনা বেগমকে পরামর্শ দেন তিনি। ঘৃণাস্তম্ভটি নির্মাণ করবে সিলেট জেলা পরিষদ।
এসময় কেয়া চৌধুরী বলেন, রাজনের মতো আর কোন রাজন যাতে এভাবে নির্মমতার শিকার না হয়, তার জন্য এই ঘৃণাস্তম্ভ। ‘শহীদ রাজন স্মৃতিস্তম্ভ’ নির্মাণ হলে রাজনকে সবাই স্মরণ করবে। শিশু নির্যাতন বন্ধে এই ঘৃনাস্তম্ভ প্রতিকী প্রতিবাদ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন।
‘ডিও লেটার’ হস্তান্তরের পর এটা কোথায় নির্মাণ করা হবে সে ব্যাপারেও রাজনের মা-বাবার সঙ্গে পরামর্শ করেন এমপি কেয়া। বিশেষ করে রাজনের মা’র কাছে জানতে চান, রাজনের ঘৃণাস্তম্ভটি কোথায় নির্মাণ করব? তখন রাজনের মা বলেন, ‘এটা যেখানে রাজনকে হত্যা করা হয়েছে সেখানে করুন।’
এ সময় কেয়া চৌধুরীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবী ফাতেমা ইসলাম, সিলেট মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও সিসিকের কাউন্সিলর শাহানারা বেগম, যুগ্ম আহ্বায়ক আসমা কামরান, আওয়ামী লীগ নেতা এসএম সায়েস্তা তালুকদার, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রাহাত তরফদার, জালালাবাদ থানা ছাত্রলীগ সভাপতি আলী বাহার প্রমুখ।
এদিকে কেয়া চৌধুরীর সাথে থাকা সিলেট জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রুবী ফাতেমা ইসলাম রাজনের ভাই সাজনের পড়ার খরচ হিসেবে প্রতিমাসে ২ হাজার টাকা দিবেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই সকালে সিলেটের কুমারগাঁওয়ে পৈশাচিক নির্যাতন করে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে হত্যা করা হয়। নিহত রাজন কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন সিলেট সদর উপজেলার কান্দিগাঁও ইউনিয়নের বাদেআলী গ্রামের মাইক্রোবাস চালক শেখ আজিজুর রহমানের ছেলে।
হত্যাকান্ডের পর রাজনের বাড়িতে তার পরিবারকে শান্তনা দিতে তার মৃত্যুর পর বিভিন্ন সময়ে তার বাসায় গিয়ে তার পরিবারকে শান্তনা দিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যক্তিরা। এ তালিকায় স্বরাষ্টমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ অনেকেই আছেন। নারী ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকী, কেয়া চৌধুরীসহ অনেকেই নিহত রাজনের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তারা দিয়েছেন বিভিন্ন প্রতিশ্র“তি। কেউ কেউ আর্থিক সহযোগিতাও প্রদান করেছেন। রাজনীতিবিদ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা হত্যাকান্ডের ন্যায় বিচারের আশ্বাস প্রদানের পাশাপাশি রাজনের পরিবারকে আর্থিক সহযোগিতা দেন।
গত ১৫ জুলাই সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী রাজনের বাড়িতে গিয়ে রাজনের মাকে বোন বলে ডাকেন। তিনি এসময় রাজনের পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। সেই প্রতিশ্রুতি রক্ষা করতে তিনি ঘৃণাস্তম্ভ বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিলেন।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি