সিলেট ২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এ সরকারের আমলেই সব উন্নয়ন প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন করতে চাই। যেন ভবিষ্যতে এগুলো নিয়ে কেউ ছিনিমিনি খেলতে না পারে। আর এ কাজে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের এগিয়ে আসতে হবে। দেশের মোট প্রকল্পের ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ বাস্তবায়নে প্রকৌশলীরা অবদান রাখে বলেও যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইডিইবি) জাতীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আমি আপনাদের দাবি ছাড়াই ১০০ ভাগ বেতন বৃদ্ধি করেছি। বিনিময়ে আমি আপনাদের কাছে থেকে কী চাই? প্রকল্পগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন। যাতে আমরা আরো নতুন প্রকল্প হাতে নিতে পারি।
প্রকৌশলীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশের জনগণের টাকার সঠিক ব্যবহার করতে চাই। আপনারা (প্রকৌশলী) খেয়াল রাখবেন কোথায় কোন প্রকল্প লাগবে, কতটুকু লাগবে। এটা চিন্তা করলে হবে না প্রকল্প হাতে নিলেই তো পয়সা বা কমিশন। দেশের উন্নয়নের কথা মাথায় রেখে প্রকল্প হাতে নিতে হবে।
দেশের জনসংখ্যা সঙ্কট নয়, সম্পদ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, মানুষই হচ্ছে আমাদের মূল সম্পদ। এই সম্পদকে জনসম্পদে রূপান্তর করবো। অনেকেই আমাদের জনসংখ্যা অনেক বেশি বলে অনেকে মনে করেন। কিন্তু আমি মনে করি, এ বিশাল জনগোষ্ঠী আমাদের সম্পদ, যা পৃথিবীর বেশিরভাগ দেশেই নেই। এ সম্পদকে দক্ষ জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে কাজ করছে সরকার। শিক্ষিত ও দক্ষ-যোগ্য করে তুলে এদেশের মানুষকে জনসম্পদে পরিণত করবো।
এসময় উদাহরণ টেনে বলেন, আগে আমরা বলতাম, দু’টি সন্তানই যথেষ্ট, একটি হলো ভালো হয়। কারো যদি পাঁচটি সন্তান হয় বাবা-মা কি ফেলে দেয়? বাবা-মা সব সন্তানকে সমানভাবে ভালোবাসে। আমরাও সেরকম ভাবনায় দেশে চালাই। সব নাগরিক আমাদের কাছে সমান। সবার অধিকার আমরা নিশ্চিত করবো।
মানুষকে উন্নয়নের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষারে প্রসার ও এর উন্নয়ন করার নানা উদ্যোগ ও পরিকল্পনাও তুলে ধরেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, পৃথিবীর অন্য দেশগুলো আমাদের মতো তরুণ মানুষের সম্পদের অধিকারী নয়। সেসব বৃদ্ধদের দেশ হয়ে গেছে। আর আমরা সেসব দেশের উন্নয়নে আমরা লোক দেই। আমাদের দেশ এমন সঙ্কটে পড়ুক তা আমরা চাই না।
শেখ হাসিনা বলেন, শিক্ষা নীতিমালায় কারিগরি শিক্ষায় গুরুত্ব দিয়েছি। অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক শিক্ষায় নিয়ে এসেছি। এরপর থেকেই কারিগরি শিক্ষা পাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। মেয়েদের জন্য ৪টিসহ ২৫টি পলিটেকনিট ইনস্টিটিউট স্থাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ঢাকায় একটি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হয়েছে। দেশের ৬৪টি টেকনিক্যাল কলেজে ডিপ্লোমা ভর্তি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বেসরকারি ৪ শতাধিক পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটকে অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বেতন-বৈষম্য দূরীকরণের জন্য পলিটেকনিক শিক্ষকদের স্পেশাল ইনক্রিমেন্ট প্রদানের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। শিক্ষক সঙ্কটের সমাধান করা হয়েছে। লেকচারার-প্রফেসর পদে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এছাড়াও অন্য সমস্যাগুলোর সমাধানের আশ্বাসও দেন তিনি। তিনি বলেন, এ লক্ষ্যে দেওয়া সুপারিশ বাস্তবায়নের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে দু’টি আন্তঃমন্ত্রণালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি, আপনাদের বাকি সমস্যারও সমাধান হবে।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি