কানাইঘাটে তুলে নিয়ে সন্তানের সামনে গৃহবধূকে ‘গণধর্ষণ’, গ্রেফতার ৫

প্রকাশিত: ১০:৩২ অপরাহ্ণ, মে ২৯, ২০২৩

কানাইঘাটে তুলে নিয়ে সন্তানের সামনে গৃহবধূকে ‘গণধর্ষণ’, গ্রেফতার ৫

কানাইঘাট প্রতিনিধি :
সিলেটের কানাইঘাটে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে শিশু সন্তানের সামনে এক গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর সাথে জড়িত ৫ জনকে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। সোমবার (২৯ মে) দিনভর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

 

গ্রেফতারকৃতরা হলো- উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের আলাউদ্দিনের পুত্র দুদু মিয়া (৩৬), বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের পুত্র হেলাল আহমদ (৩৮), বড়দেশ সরদারী পাড়া গ্রামের বিলাল আহমদের পুত্র ফরহাদ (৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র আব্দুল করিম ও বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের হবিব আলীর পুত্র জুবের আহমদ (২৪)। এরমধ্যে গণধর্ষণের সাথে সরাসরি জড়িত রয়েছে হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ।

 

গ্রেফতারকৃত অন্য আসামীরা ধর্ষণে সহায়তা ও ধর্ষিতাকে ফুসলিয়ে অপহনের সাথে জড়িত বলে পুলিশ জানিয়েছেন।

 

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর বাড়ি কানাইঘাট উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সোনাতনপুঞ্জি বিলেরপাড় গ্রামে। তার বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী বিয়ানীবাজার উপজেলা বড়দিঘিরপাড় গ্রামে। গত ২০ দিন পূর্বে গ্রেফতারকৃত আসামী দুদু মিয়ার সাথে কানাইঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভিকটিমের পরিচয় হয় গৃহবধূর। সেই সুবাদে দুদু মিয়ার সাথে তরুণীর প্রায়ই ফোনে কথাবার্তা হতো।

 

হঠাৎ ভিকটিমের (গৃহবধূ) ৯ মাসের শিশু কন্যা অসুস্থ হলে দুদু মিয়া পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার ফুটিজুরি গ্রামের এক কবিরাজের কাছে নিয়া যেতে বলে। ভিকটিমের শিশুকন্যার চিকিৎসার নাম কওে রোববার (২৮ মে) বিকাল ৩টার দিকে দুদু মিয়া তাকে তার বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। কিন্তু কবিরাজের কাছে না নিয়ে কৌশলে কানাইঘাটের বীরদল বাজার এলাকায় গৃহবধূকে নিয়ে ঘুরতে থাকে। এক পর্যায়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে বীরদল বাজারে থাকা লোকজনের সন্দেহ হয়। এতে দুদু মিয়ার ফোনে তার সহযোগী আব্দুল করিম বীরদল বাজারে চলে আসে এবং তারা গৃহবধূকেকে কৌশলে মোটরসাইকেল যোগে বীরদল খালোমুরা বাজারে নিয়ে যায়। সেখানেও স্থানীয় কিছু লোকজনের সন্দেহ হলে তাদের আটক করেন।

 

পরে রাত ১১টার দিকে স্থানীয় লোকজন কানাইঘাট বাজারে নিরাপদে নিয়ে যাওয়ার জন্য জুবের আহমদের রিক্সায় তুলে দেওয়া হয়। এতে গৃহবধূর পিছু নেয় দুদু মিয়া ও আব্দুল করিম। একপর্যায় পুরানফৌদ কবরস্থানের সামনে গৃহবধুর রিক্সা হেলাল আহমদ ও ফরহাদ আহমদ গথিরোধ করে এবং পুরানফৌদ গ্রামের পিপি হাবিব আলীর নির্জন পুকুর ঘাটে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে তার শিশুকন্যার সামনে হেলাল ও ফরহাদ তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এতে ভিকটিমের প্রচুর রক্তপাত হয়।

 

গণধর্ষনের সাথে জড়িতরা পালিয়ে গেলে ধর্ষিতার আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।

 

পরে পুলিশ ঘটনার সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে স্থানীয় এলাকাবাসীর সহায়তায় সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে গণধর্ষনের সাথে জড়িতসহ ৫ জনকে গ্রেফতার করে।

 

গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ গোলাম দস্তগীর আহমেদ বলেন, বর্তমানে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ পুলিশ হেফাজতে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে পাঠানো হয়েছে।

 

(সুরমামেইল/এমআর)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

লাইক দিয়ে পাশে থাকুন

রাফি গার্ডেন সুপার হোস্টেল।

 

আমাদের ভিজিটর
Flag Counter

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com