সিলেট ২২শে জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৮ই মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৮:৫৫ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৬
স্পোর্টস ডেস্ক: যুব বিশ্বকাপের সবগুলো ম্যাচ ভালো খেলে সেমি ফাইনালে এসে হেরে গেল বাংলাদেশের ছোট টাইগাররা। ৩ উইকেটের জয়ে স্বাগতিকদের চোখের সামনে ফাইনালে উঠে গেল কোনোমতে কোয়ার্টারে ওঠা ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বিশ্বকাপের আগে তিন ম্যাচ সিরিজে হোয়াইটওয়াশ করেছিল বাংলাদেশ। অথচ তাদের কাছে এমন ‘মরণ’! ভুল কোথায়? সকালে টস জিতে ব্যাট নেয়া, টুর্নামেন্টের অন্যতম ‘কৃপণ’ স্পিনার আরিফুল ইসলাম জনিকে বসিয়ে দেয়া, ক্যারিবীয় পেসারদের সেভাবে গুরুত্ব না দেয়া, চাপের মুখে ভেঙে পড়া-তাৎক্ষণিকভাবে এই কারণগুলোই চোখে আঙুল দিচ্ছে।
সকালে কুয়াশার ভেতর ব্যাট করতে নেমে ফর্মহীন টপ অর্ডার খোলস ছেড়ে বেরোতে পারেনি। ব্যাটিংয়ের ধরণ দেখে মনে হয়েছে প্রতিপক্ষের বাউন্সার এবং শট বল নিয়ে নিয়ে অতটা সতর্ক ছিল না ছেলেরা। পিনাক, সাইফ-ই এই ধারণার পক্ষে শক্ত যুক্তি। আর চাপের মুখে ভেঙে পড়ার চিত্র ফুটে উঠেছে ফিল্ডিংয়ে। যে বাংলাদেশ সেমিফাইনাল পর্যন্ত টুর্নামেন্টের সেরা ফিল্ডিং উপহার দিয়ে এসেছে, তারাই কিনা গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে দুটি সহজ ক্যাচ মিস করল! চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ঝড় তুলতে থাকা পোপ শর্টফাইন লেগের আকাশে ক্যাচ তোলেন। আকশচুমি সেই বল তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন শাওন। পরে ৩৪তম ওভারে স্প্রিঙ্গারের দেয়া ফিরতি ক্যাচে ফসকে যায় সাইফুদ্দিনের হাত থেকে।
বড় ম্যাচে এইসব ভুলের মাশুল গুনতে হয় চোখের পলকে। তার ওপর পুঁজি ছিল অল্প, ২২৬। মিরাজ অমন সাহসী ব্যাটিং না করলে দলীয় স্কোর ২০০ পার হতো কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলাই যায়। কোয়ার্টার ফাইনালের মতো বিপদের সময় এদিন ৬০ রান করে লড়াইয়ের স্কোর গড়তে সাহায্য করেন তিনি।
ফিল্ডিংয়ে নেমেও ত্রাতা সেই মিরাজ। প্রথম দুই উইকেটই তার। মাঝখানে ক্যাচ মিস করা শাওন এক ওভারে দুই উইকেট নিয়ে ফ্যাকাসে হতে থাকা স্বপ্নের পালে হাওয়া লাগিয়েছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের তখন জিততে হলে দরকার ৭০ বলে ৪৫। হাতে ৪ উইকেট। ফাইনালের স্বপ্ন নিয়ে সেই পাল ভেসে আসে ৪৭তম ওভার পর্যন্ত। নাজমুল হোসেন শান্ত ফ্রিউকে ফিরিয়ে হিম ধরা শরীরে আরেকটু নাড়া দেন। ক্যারিবীয়দের দরকার তখন ২৪ বলে ১০। ঈশ, যদি আর ২০/২৫ রান যোগ করা যেত-এই আক্ষেপ যেন তখন মিরপুর থেকে গোটা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি