সিলেট ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:১৫ অপরাহ্ণ, মার্চ ৩০, ২০১৬
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মিয়ানমারে অর্ধশতাব্দীরও বেশি সময় পর যাত্রা শুরু করেছে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নতুন পার্লামেন্ট। আজ দেশটির নবম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিলেন থিন কিউ এবং দুই ভাইস প্রেসিডেন্ট। সেনা সমর্থিত মিন্ট সুই এবং এনএলডির হেনরি ভ্যান থিও ফাস্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সেকেন্ড ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। দেশটির নবউদ্বোধনী অধিবেশনে এরই মধ্যে শপথ নিয়েছেন কয়েকশ নতুন এমপি। বেশিরভাগই গণতান্ত্রিক নেত্রী অং সান সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসির (এনএলডি)। উল্লেখ্য, নভেম্বরের নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) বিপুল ভোটে জয়লাভ করে। সু চি নিজ আসনে জয়লাভ করা ছাড়াও এনএলডি নির্বাচনের প্রায় ৮০ শতাংশ আসন দখল করে। কিন্তু মিয়ানমারের জান্তা আমলের সংবিধান অনুযায়ী, সংসদের এক-চতুর্থাংশ আসন সেনাবাহিনীর দখলে থাকছে। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ও তাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। একারণে সেনাবাহিনীর সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে হয়েছে এনএলডি’কে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সমর্থিত বর্তমান প্রেসিডেন্ট থেইন সেইনের মেয়াদ শেষ হয় চলতি মাসেই। সেই অনুযায়ী, আনুষ্ঠানিকভাব এনএলডি নেতৃত্বাধীন সরকার মিয়ানমারের ক্ষমতা গ্রহণ করলো। মিয়ানমারের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের নেত্রী সু চির হাত ধরেই দেশটিতে গণতন্ত্র ফিরে এসেছে। যদিও নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী এই নেত্রীর প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথে সাংবিধানিক বাধা রয়েছে। মিয়ানমারের সংবিধান অনুযায়ী, স্বামী কিংবা সন্তান বিদেশি নাগরিক এমন কোনো ব্যক্তি প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সু চির ছেলে যুক্তরাজ্যের নাগরিক।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি