আওয়ামী লীগ অনেক ত্যাগী নেতার জন্ম দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ৯:২১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৬

আওয়ামী লীগ অনেক ত্যাগী নেতার জন্ম দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী

pm

সুরমা মেইল নিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ অনেক ত্যাগী নেতার জন্ম দিয়েছিল, বঙ্গবন্ধ সৃষ্টি করে গেছেন অনেক ত্যাগী কর্মী। নেতা-কর্মীদের ত্যাগী ও কিভাবে সব কিছু উজাড় করে মানুষের জন্য রাজনীতি করা যায় তা শিখতে হবে।

মঙ্গলবার বিকেলে রাজধানীর রমনায় ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশের (আইইবি) মিলনায়তনে এক স্মরণ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার সম্পাদক নূরুল ইসলাম ও সদ্য প্রয়াত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের স্মরণে এ স্মরণ সভার আয়োজন করে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ।

ত্যাগী নেতাদের অবদানের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগে অনেক ত্যাগী নেতা ছিলেন বলেই বারবার আঘাত করেও কেউ এ দলকে নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি।

বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১/১১ সহ আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার চেষ্টা করা হয়েছিলো। শুধু ওয়ান ইলেভেন সময়ই নয়, বারবার আওয়ামী লীগকে নিশ্চিহ্ন করার ষড়যন্ত্র হয়েছে।বঙ্গবন্ধুর সহকর্মী ও তার সময়কার রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের কথা স্মরণ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর, ’৮১ সালে দেশে ফিরে আসার পর পুরানো মানুষগুলো, আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা আমাকে স্নেহের ছায়া দিয়েছেন। তারা সহযোগিতা করেছেন বলেই দলকে এ পর্যায়ে নিয়ে আসতে পেরেছি।

আওয়ামী লীগের সাবেক প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নূরুল ইসলামের স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি (নূরুল ইসলাম) বসে বসে নিজের হাতে পোস্টার লিখেছেন, প্রচারণা চালিয়েছেন। নূরুল ইসলাম, উনি আওয়ামী লীগের প্রচার করতে করতে তার জীবন উৎসর্গ করে গেছেন।

প্রয়াত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এমএ আজিজের কথা স্মরণ করে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা বলেন, এমএ আজিজ নীরবে কাজ করে গেছেন। কখনও হামবরা ভাব দেখাতেন না। উনি পার্টিকে শুধু দিয়ে গেছেন, বিনিময়ে তার কোনো চাহিদা ছিলো না। এমএ আজিজের মৃত্যুতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়।

ওয়ান ইলেভেনের সময় এমএ আজিজের অবদান উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সব সময় সক্রিয় ছিলেন। কখনও কারাগারের সামনে, কখনও আদালতের সামনে সব জায়গায়। মাত্র ১৫ দিনে ২৫ লাখ স্বাক্ষর সংগ্রহ করে অসাধ্য সাধন করা হয়েছিলো তখন। সবাই মিলে এটা করেছে এরমধ্যে মহানগর আওয়ামী লীগের অবদান বেশি। স্বাধীনতা পূর্ববর্তী ও পরবর্তী বিভিন্ন সময়ে এমএ আজিজ এবং তার পরিবারের অবদানের কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে তাদের অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজ আজিজ ভাই নেই। মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি দেবো। মহানগর উত্তর, দক্ষিণে কমিটি দেবো। সব কিছু তৈরি করা। ওনার সঙ্গে একদিন বসেছি, আরেকদিন বসার কথা বলেছি। কিন্তু তা আর হলো না। আজিজ ভাইকে দক্ষিণের সভাপতির দায়িত্ব দিয়েছিলাম কিন্তু তা আর ঘোষণা করা হলো না।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com