সিলেট ১লা জুন, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ | ১৮ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:৪৫ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৪, ২০২৩
তথ্য ও প্রযুক্তি ডেস্ক :
আকাশ থেকে দিনে দিনে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে একের পর এক তারা! ১৯৫৩ সালে লেখা বিখ্যাত ব্রিটিশ লেখক আর্থার সি ক্লার্কের ছোটগল্প ‘দ্য নাইন বিলিয়ন নেমস অফ গড’-এর কথা মনে পড়ে যেতে পারে। তাহলে কী বিশ্বের ধ্বংস আসন্ন? না, তারাদের অদৃশ্য হয়ে যাওয়ার বিষয়টা ঠিক ক্লার্কের গল্পের মতো মহাপ্রলয়ের ইঙ্গিতবাহী নয়। নক্ষত্ররা তাদের স্থানে ঠিকই রয়েছে। কিন্তু পৃথিবী থেকে কমে যাচ্ছে তাদের দৃশ্যমানতা। এবং সেটাও যথেষ্ট আশঙ্কার জন্মই দিচ্ছে।
বিখ্যাত জার্নাল ‘সায়েন্স’-এ প্রকাশিত হয়েছে একটি রচনা। তার নাম ‘সিটিজেন সায়েন্টিস রিপোর্ট গ্লোবাল র্যাপিড রিডাকশনস ইন দ্য ভিজিবিলিটি অফ স্টার্স ফ্রম ২০১১ টু ২০২২’। গবেষকদের দাবি, প্রতি বছর ১০ শতাংশ করে বেড়ে যাচ্ছে আকাশের উজ্জ্বলতা! এই উজ্জ্বলতার কারণ দূষণ। আর সেই কারণেই অন্ধকার আকাশ থেকে মুছে যাচ্ছে তারার ঝাঁক।
বলা হচ্ছে, একটি শিশু জন্মানোর সময় যদি আকাশে ২৫০টি তারা থাকে, তাহলে অষ্টাদশতম জন্মদিনে সে আকাশের দিকে তাকালে দেখতে পাবে ১০০টি তারা! পরিস্থিতি এতটাই ভয়াবহ। তাই সতর্ক করছেন বিজ্ঞানীরা।
২০১১ সাল থেকে ২০২২- এই সময়কালে ৫০ হাজারেরও বেশি পর্যবেক্ষণকে খতিয়ে দেখে যে ছবিটা খুঁজে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা, তাতে আশঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। গবেষকরা চেষ্টা করেছেন প্রাপ্ত তথ্য খতিয়ে দেখে আকাশের এই দ্রুত বাড়তে থাকা উজ্জ্বলতার গভীরে যাওয়ার। আর যত তারা গবেষণা এগিয়ে নিয়ে গিয়েছেন তত পরিষ্কার হয়েছে দূষণের প্রভাব কীভাবে পড়ছে আকাশেও!
কাজেই এই বিষয়টিতে নিয়মিত নজরদারি চালানোর প্রয়োজনীয়তার পক্ষে সওয়াল করছেন বিজ্ঞানীরা। তাদের মতে আলোর দূষণের দিকটি খতিয়ে দেখা দরকার। কেননা তা কমছে না, বরং উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। রাতের আকাশে তারাদের দেখতে না পাওয়া পৃথিবীর জীবজগতের অস্তিত্বের বিপণ্ণতাকেও তুলে ধরছে। তাই এই তথ্যে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন গবেষকরা। সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন
(সুরমামেইল/এফএ)
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি