সিলেট ২৭শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৪৪ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬
বিনোদন ডেস্ক :: ১৯৯১ সালের অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ। বলিউডে প্রবল হইচই। কারণ, নায়িকা অমৃতা সিংহ বিয়ে করেছেন। মিঠুন থেকে অমিতাভ, অনিল কপূর, সঞ্জয় দত্তের মতো তারকাদের সঙ্গে অভিনয় করা অমৃতা তখন খ্যাতির শীর্ষে। এই বিবাহের কিছুদিন আগেই রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে দীর্ঘ প্রেমের সম্পর্কে ছেদ টেনেছেন অমৃতা। এই সম্পর্কে বিচ্ছেদের দিন কয়েকের মাথাতেই রবি শাস্ত্রী বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন। মনমরা অমৃতার জীবনে তখন শূন্যতা। নব্য কিশোর সাইফ আলি খান তখন ঘুরঘুর করছেন বলিউডে।
শর্মিলা ঠাকুর এবং মনসুর আলি খান পতৌদির ছেলে সাইফ তখন বছর কুড়ি বয়সের। এরকমই সময়ে একদিন ফিল্মের সেটে পরিচয় অমৃতার সঙ্গে। প্রথম দেখাতেই অমৃতার প্রেমে পড়ে গিয়েছিলেন সাইফ আলি। একদিন আচমকাই অমৃতার বাড়িতে গিয়ে প্রেমের প্রস্তাবও দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু কিন্তু করেও অমৃতা তাঁর থেকে ১২ বছরের ছোট সাইফের প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ করেন। কিন্তু, অমৃতার শর্ত ছিল বিয়ে করতে হবে। সাইফ মেনে নিয়েছিলেন সেই শর্ত। বাড়ির হাজারো অমত সত্ত্বেও সাইফ বিয়ে করেছিলেন অমৃতাকে।
১৯৯১ সালেই মুম্বইয়ের বুকে অমৃতা-সাইফের বিয়ের রিসেপশন হয় যেখানে অনুপস্থিত ছিলেন শর্মিলা। তাঁর সঙ্গে রাজ কাপূরের পরিবারের অত্যন্ত সুসম্পর্ক ছিল। তাই অমৃতা সিংহের বিয়ের রিসেপশনে উপস্থিত থাকাটা কতটা যুক্তিযুক্ত হবে তা বুঝতে পারছিলেন না রাজ কাপূরের বড় ছেলে রণধীর কাপূর। কিন্তু, রণধীরের স্ত্রী ববিতা তার অনেক দিন আগে থেকেই আলাদা থাকতেন। তাই শর্মিলার মানসিক অবস্থাকে গুরুত্ব দিতে রাজি ছিলেন না। তিনি দুই মেয়ে কারিশ্মা কপূর এবং কারিনা কাপূরের হাত ধরে হাজির হয়ে যান অমৃতা-সাইফের বিয়ের রিসেপশনে। কারিশ্মা কাপূর তখন ১৬ বছরে পা দিয়েছেন। বলিউডে তাঁর অভিষেকের আয়োজন চলছে। বলতে গেলে কাপূর খানদানের নিয়ম-নীতিকে উড়িয়েই মেয়ে কারিশ্মাকে তখন সিনেমায় নামাতে উদ্যোগী হয়েছিলেন রণধীরেরর স্ত্রী ববিতা। সেসময় কারিনা কাপূরের বয়স সবে ১০।
বিয়েকে ঘিরে এমন পার্টির মেজাজ কারিনার মতো মেয়ের কাছে নতুন কিছু নয়। খালি সে অবাক হয়ে দেখছিল সামনে দাঁড়ানো স্যুট-কোর্ট-টাই পরা সাইফকে, আর নববধূর সাজে সজ্জিতা অমৃতাকে। সাইফ ও অমৃতাকে এত সুন্দর দেখাচ্ছিল যে ১০ বছরের কারিনা কাপূরও চোখ ফেরাতে পারছিলেন না। কাপূর খানদানের চল অনুযায়ী বয়সে খানিকটা বড়দের আঙ্কল-আন্টি বলার চল। কারিনা একটা গোলাপ ফুল হাতে নিয়ে সাইফ ও অমৃতার হাতে দিয়ে আসেন এবং ‘হ্যাপি ম্যারেড লাইফ আঙ্কল অ্যান্ড আন্টি’ বলে অভিনন্দনও জানিয়ে আসেন। প্রত্যুত্তরে সাইফ কারিনাকে ‘থ্যাঙ্ক ইউ বেটা’ বলে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেছিলেন।
১৯৯১ সালের এই ঘটনার পরে অনেকটা সময়ই পার হয়ে গিয়েছিল। সাইফ আলি খান তখন বলিউডের শীর্ষ নায়কের মধ্যে একজন। ছোকরা মার্কা চেহারায় সেফ আলি বলিউডে দাগই কাটতে পারেননি। ২০০১ সালে ফারহান আখতার ‘দিল চাহতা হ্যায়’ থেকে সেফ আলি খানের ফিল্মি কেরিয়ারকে এক নয়া দিশা দেখিয়েছিলেন। বদলে যাওয়া সেফের ইমেজ তখন মারকাটারি। কারিনা কাপূরের সঙ্গে ‘তশন’ ছবিতে অভিনয় করছেন তিনি। কারিনা তখন পাগলের মতো ছবি হিট করাতে চাইছেন। কারণ, শাহিদ কপূরের সঙ্গে তাঁর একটার পর একটা ছবি ফ্লপ করছিল। এর জেরে শাহিদ-কারিনার প্রেমের সম্পর্কও ভেঙে যায়। আর এই সময়ই ‘তশন’-এর সেটে সাইফের সঙ্গে মোলাকাত কারিনার।
১৯৯১ সালে যে ১০ বছরের মেয়ে ২০ বছরের সাইফ আলি খানকে দেখে মুগ্ধ হয়েছিলেন, ২০০৮ সালে তখন দু’জনেই যৌবনে। কারিনা তখন যৌবনদীপ্ত এক যুবতী। আর সাইফ দুই সন্তানের পিতা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চল্লিশোর্ধ্ব এক ব্যক্তি। সাইফের এই ছবির কিছুদিন আগে অমৃতার সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছিল। ফলে ‘তশন’-এর সেটে জিরো ফিগারের কারিনা এবং সাইফের প্রেমের ডানা মেলেছিল দুরন্ত গতিতে। যার পরিণতিতে আজ সাইফ-কারিনার সন্তান তৈমুরের জন্ম। ছোট্টবেলার এক মুগ্ধতা আজ পূর্ণতা পেয়েছে এক অসামান্য প্রেমের সম্পর্কে। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি, এককালে যে ১০ বছরের মেয়েটা সাইফ-অমৃতাকে ‘হ্যালো আঙ্কল-আন্টি’ বলে গোলাপ উপহার দিয়েছিলেন আজ তিনি-ই সাইফ সন্তানের মা। সূত্র : এবেলা
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি