আজও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি উপকূলবাসীর

প্রকাশিত: ৫:১১ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০১৫

আজও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি উপকূলবাসীর

Manual4 Ad Code

Untitled-1

সুরমা মেইল : আজ ভয়াল ১৫ই নভেম্বর। ২০০৭ সালের এই রাতে ২৪০/২৫০ কি.মি বেগে উপকূলীয় এলাকা দিয়ে বয়ে যায় প্রলয়কারী ঘূর্ণিঝড় সিডর। মাত্র ১৫ থেকে ২০ মিনিটের মধ্যে উপকূলীয় জনপদ ধ্বংস স্তুপে পরিণত হয়। সেই প্রলয়কারী ঝড়ের পর আট বছর পার হলেও ভাগ্যের পরিবর্তন হয়নি উপকূলবাসীর।

Manual2 Ad Code

দীর্ঘ দিন থেকে উপকূলীয় এলাকার মানুষের প্রাণের দাবি টেকসই বাঁধ নির্মাণ উপেক্ষিত হয়েছে বার বার। তারপরও আশায় বুক বাঁধে উপকূলীয় অঞ্চলের সাধারণ মানুষ।

Manual1 Ad Code

সেই ভয়াবহতার স্বাক্ষী রূপার মন আজও শিউরে উঠে, ঝলকাঠি জেলার কাউখালী ইউনিয়নের মুক্তা নবজাতক সন্তাকে বুকে নিয়ে এসেছিলেন স্বামীর বাসায় নতুন স্বপ্নের প্রত্যাশায় কিন্তু প্রলয়কারী সিডর কেড়ে নেয় তার সমস্ত সুখ আহলাদ। বুকের ধনের একটি বারের মা ডাকও জোটেনি তার ভাগ্যে। ঘরের আড়ার নিচে পৃষ্ট হয় সে। নিজের পরম মমতায় সন্তানকে আগলে রাখলেও তার মাথায় পেরেক ঢুকে দীর্ঘ সময় রক্তক্ষরণের পর তার মৃত্যু হয়। এসময় তার ৭দিনের সন্তানটিকে সম্পূর্ণ সুস্থ অবস্থায় উদ্ধার হয়।

Manual3 Ad Code

সেই ভয়াবহ দিনের পর কেটে গেছে দীর্ঘ আটটি বছর তার পরও যায়নি উপকূলবাসী মানুষের ভোগান্তি। সিডরের পর বাগেরহাটের শরণখোলার ৩৫/১ পোল্ডারের কিছু কিছু অংশের বাঁধে বাড়তি মাটি দিয়ে সিসি ব্লক স্থাপন করা হলেও অধিকাংশ জায়গায় রয়েছে মাটির সরু রাস্তা দিয়ে ঘেরা। কোনো কোনো অংশের বাঁধ আবার ইতোমধ্যেই নদী গর্ভে সম্পূর্ণ বিলীন হয়ে গেছে। এ অবস্থায় চরম আতঙ্ক হয়ে বসবাস করছে নদী তীরবর্তি শরণখোলা উপজেলার প্রায় ২০ হাজার মানুষ। এছাড়া পিরোজপুর, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়িয়া, জিয়ানগরের সাউথখালি সহ অন্যান্য উপজেলার মানুষ আরসেনিক ও লোনা পানির কারণে ভুগছেন নানা রোগ বিরাগে।

ভুক্তভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে সরকারের বিভিন্ন মহল একের পর এক আশ্বাস দিয়েই যাচ্ছে কবে যে আশ্বাস বিশ্বাষে পরিনিত হবে আমরা আজও যানিনা।

Manual5 Ad Code

সংবাদটি শেয়ার করুন
Manual1 Ad Code
Manual8 Ad Code