আজ খ্রিস্টানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব ‘বড়দিন’

প্রকাশিত: ১:২০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৬

নিজস্ব প্রতিবেদক :: আবারো বছর ঘুরে এলো খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব ‘বড়দিন’। খ্রিস্টান ধর্মের প্রবক্তা যীশুর জন্মোৎসব পালন উপলক্ষে খ্রিস্টান সম্প্রদায় প্রধান ধর্মীয় উৎসব পালন করতে রঙিন সাজে সাজিয়েছেন তাদের চার্চ ও বাড়িঘর গুলো। ডিসেম্বরের শুরুতেই খ্রিস্টান পরিবারগুলোতে শুরু হয়ে যায় বড়দিনের আমেজ।

বড়দিনের অন্যতম প্রধান আকষর্ণ ক্রিসমাস ট্রি, যীশুর জন্মস্থানের আদলে গোশাল সাজানো, আলোকসজ্জার পাশাপাশি মজাদার কেক আর পিঠা তৈরি, প্রিয়জনদের জন্য উপহার কেনায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা। প্রতিবছরই মতো এবারও সিলেটের যীশু ভক্তরা জাঁকজমকের সাথে দিনটি উদযাপনের প্রায় সব প্রস্তুতি শেষ করে এনেছেন। বর্ণিল সাজে সেজেছে সিলেটের নয়াসড়কে অবস্থিত প্রেসবিটারিয়ান চার্চ।

দেখা যায়, বড়দিন উপলক্ষে ক্রিসমাস ট্রি স্থাপন, বড়দিনের বাহারি কেক, ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলা অনুষ্ঠান, গির্জা প্রাঙ্গন সাজানো, কনসার্ট ও আলোকসজ্জাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। বাহ্যিক প্রস্তুতির পাশাপাশি মনকে শুদ্ধ করে অধ্যাত্মিক প্রস্তুতির কথাও জানালেন ধমর্গুরুরা।

ফাদার ডিকন নিঝুম সাংমা’র সাথে আলাপচারিতায় জানা গেল, বড়দিন হলো বড় হওয়ার দিন। বড়দিন উৎসবের জন্য আধ্যাত্মিক প্রস্তুতি, অন্তরের প্রস্তুতি এবং বাহ্যিক অনেক প্রস্তুত্তি নেয়া হয়েছে। সব ধর্মের মানুষের অংশগ্রহণে উৎসবটি হয়ে উঠবে সার্বজনীন এমনটি আশা করেন তিনি। বড়দিন খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব। খ্রিস্ট ধর্মের প্রবর্তক মহামতি যীশু খ্রিস্ট এই দিনে ফিলিস্তিনের বেথেলহেমের একটি গো-শালায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। পৃথিবীতে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা যীশু খ্রিস্টের জীবনের ব্রত ছিল। যীশু অনাহারক্লিষ্ট দুঃখী, নির্যাতিত ও গরীব মানুষের কল্যাণ ও বিশ্বময় শান্তিপূর্ণ সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। জীবনাচরণ, ব্যবহার ও ঐশ্বর্যবান ব্যক্তিত্বের মধ্য দিয়ে মহামতি যীশু সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে অমর হয়ে আছেন। শুধুমাত্র চার্চ নয়, বড়দিন উপলক্ষে সাজানো হয়েছে খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বাড়িঘরও।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com