আজ সালমান খানের গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায়

প্রকাশিত: ১:২৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫

আজ সালমান খানের গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায়

sallu

সুরমা মেইলঃ আজ বৃহস্পতিবার বলিউড অভিনেতা সালমান খানের বিরুদ্ধে গাড়িচাপা দিয়ে হত্যা মামলার চূড়ান্ত রায় নির্ধারিত হবে ।

গতকাল চূড়ান্ত রায় লিপিবদ্ধ করার তৃতীয় দিনে বম্বে হাইকোর্ট জানায়, ঘটনার দিন (২৮ সেপ্টেম্বর, ২০০২) সালমান মদ খেয়েছিলেন এবং গাড়ি চালাচ্ছিলেন, এই দাবি নির্দিষ্ট ভাবে প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি সরকার পক্ষ৷ বিশেষ করে সালমানের প্রাক্তন পুলিশ দেহরক্ষী তথা রাজসাক্ষী রবীন্দ্র পাটিলের বয়ান একেবারেই ‘ভরসাযোগ্য নয়’৷ কারণ, একাধিকবার বয়ান পরিবর্তন করেছেন পাটিল৷

গত মে মাসে এই ‘হিট-অ্যান্ড-রান’ মামলায় ‘অনিচ্ছাকৃত মৃত্যু ঘটানো’র অপরাধে সালমানকে পাঁচ বছরের কারাবাসের সাজা দিয়েছিল এক দায়রা আদালত৷ এই রায়ের বিরুদ্ধে সালমান বম্বে হাইকোর্টে আপিল করলে ওই সাজার উপর স্থগিতাদেশ দেয়।

হাইকোর্টের বিচারপতি এ আর যোশী জানান, ঘটনার কয়েক ঘণ্টা পরেই দায়ের হওয়া এফআইআর-য়ে দেহরক্ষী রবীন্দ্র পাটিল সালমানকে দোষী বলে দাবি করেননি৷ সালমান মদ খেয়েছিলেন, এমন কোনও কথাই তখন বলেননি তিনি৷কিন্তু ২০০২ সালের ১ অক্টোবরে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান নথিভুক্ত করানোর সময় নিজের বয়ানে ব্যাপক পরিবর্তন আনেন পাটিল৷ দাবি করেন, ঘটনার সময় সালমান মদ্যপ অবস্থায় টয়োটা ল্যান্ড ক্রুসার গাড়িটি চালাচ্ছিলেন৷

পাটিল আরও জানান, তিনি সালমানকে জিজ্ঞেস করেছিলেন যে, তিনিই গাড়ি চালাবেন কি না? গাড়ি আস্তে চালাবার কথা বলে সালমানকে সাবধানও করেছিলেন৷

এভাবে বয়ান পরিবর্তনের জন্য এ দিন রবীন্দ্র পাটিলকে সাক্ষী হিসেবে ‘বিশ্বাসের সম্পূর্ণ অযোগ্য’ বলেও আখ্যা দেন বিচারপতি৷

প্রসঙ্গত, গাড়ি চাপা পড়ে একজন ফুটপাথবাসীর মৃত্যু ও তিন ফুটপাথবাসীর আশঙ্কাজনক ভাবে আহত হওয়ার ওই ঘটনায় সালমানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য ফিরিয়ে নেওয়ার জন্য কনস্টেবল রবীন্দ্র পাটিলের ওপর প্রচণ্ড চাপ আসছিল বিশেষ কোনও মহল থেকে৷ ওই ঘটনার অন্যতম প্রধান সাক্ষী হওয়ার পর এসওস কম্যান্ডো পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে৷ ক্রমাগত চাপের ফলেই নাকি তাঁর শরীর-মন একেবারে ভেঙে পড়ে৷

২০০৭ সালে যক্ষ্মায় ভুগে মৃত্যু হয় পাটিলের৷অন্য দিকে, বম্বে হাইকোর্ট এ দিন আরও জানিয়েছে যে, ২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর সালমানের গাড়ির টায়ার ফেটেই ওই ঘটনা ঘটেছিল কি না, এই সন্দেহ দূর করতেও ‘ব্যর্থ হয়েছে’ সরকার পক্ষ৷ ঘটনার দিন ওই গাড়িতে সালমানের বন্ধু তথা গায়ক কামাল খানও তাঁর সঙ্গে ছিলেন৷ এ ব্যাপারে কামালকে আদালতের সামনে হাজির করানোর ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ না-করার জন্য পুলিশকে ভৎসনা করেছে হাইকোর্ট৷

২০০২ সালে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে বয়ান দেওয়া জন্য কামাল মুম্বাইয়ের যে পুরোনো ঠিকানা দিয়েছিলেন, সেখানেই তাঁর সমন পাঠানো হয়েছিল৷ কিন্তু ২০০৮ সালে দেশ ছাড়ার অনুমতি চাওয়ার সময় ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তিনি নতুন একটি ঠিকানা দিয়েছিলেন৷ ওই ঠিকানাকে ব্যবহারই করেনি পুলিশ৷ তদন্ত চলাকালীন অভিযুক্তের বাবার (সালিম খান) গাড়িচালক অশোক সিংয়ের নামও উঠে এসেছিল৷ অশোককে জেরা করা হলেও, তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করেনি পুলিশ৷ তবে এ ক্ষেত্রে ‘কোনও নিয়মভঙ্গ হয়নি’, জানিয়েছে হাইকোর্ট৷

তা হলে আজ, বৃহস্পতিবার কোন দিকে যাবে হাইকোর্টের চূড়ান্ত রায়? সালমান কারাবাসে যাবেন, না যাবতীয় অভিযোগ উড়িয়ে অসংখ্য ভক্তদের উদ্বেগ দূর করে আবার রাজ করবেন বলিউডে? জানার অপেক্ষায় থাকবে  সালমানের তামাম ভক্ত।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com