সিলেট ৪ঠা অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৯শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১১:৪৩ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১২, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ সকাল পৌনে ১১টার দিকে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি তাদের মেয়ে ঐশী রহমানকে আদালতে তোলা হয়েছে।
কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে তাকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়েছে।তবে যখন তাকে আদালতে তোলা হয় তখন তার চোখে মুখে ছিল উদ্বেগ আর আতঙ্কের ছাপ।আজ সকালে ঐশীর কোনো স্বজনকে দেখা যায়নি আদালত প্রাঙ্গনে।
রায় উপলক্ষে গোটা এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার তিন নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাঈদ আহমেদের আদালতে চাঞ্চল্যকর এই হত্যাকাণ্ডের রায় ঘোষণা করা হবে।
গত ৪ নভেম্বর মামলাটির যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে রায় ঘোষণার জন্য ১২ নভেম্বর তারিখ ধার্য করেন বিচারক।
মামলার চার আসামির মধ্যে ঐশী ও তার বন্ধু আসাদুজ্জামান জনি কারাগারে এবং মিজানুর রহমান রনি জামিনে আছেন। অন্য আসামি গৃহকর্মী খাদিজা আক্তার সুমি নাবালক হওয়ায় তার বিচার চলছে অন্য আদালতে। সেও জামিন আছে।
রায়ের ব্যাপারে রাষ্ট্রপক্ষের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (এসপিপি) মাহাবুবুর রহমান বলেন, “আমি মনে করি রাষ্ট্রপক্ষ পর্যাপ্ত সাক্ষ্য-প্রমাণ দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে।” তাই আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করছেন তিনি।
অন্যদিকে আসামি ঐশীর আইনজীবী ফারুক আহমেদ রায়ের ব্যাপারে বলেন, “ঐশী হত্যাই করেনি। কে বা কারা হত্যা করেছে তাও সে জানে না। পরিকল্পিতভাবে তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ চাপানো হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষ সন্দেহাতীতভাবে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। তাই ঐশী খালাস পাবেন।”
এ মামলার যুক্তিতর্ক শুনানির আগে ট্রাইব্যুনাল মোট ৪৯ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩৯ জনের সাক্ষ্য নেন।
২০১৩ সালের ১৬ আগস্ট রাজধানীর মালিবাগের চামেলীবাগে নিজেদের বাসা থেকে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (রাজনৈতিক শাখা) পরিদর্শক মাহফুজুর রহমান ও তার স্ত্রী স্বপ্না রহমানের ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়। পরদিন গৃহকর্মী সুমিকে নিয়ে রমনা থানায় আত্মসমর্পণ করেন ঐশী। পরে গ্রেপ্তার করা হয় রনি ও জনিকে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঐশী জানায়, তার দুই বন্ধুকে নিয়ে সে তার বাবাকে খুন করেছে।
পরে সংবাদ ব্রিফিংয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মনিরুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ঐশী একাই তার বাবা-মাকে খুন করার কথা বলেছে।
হত্যাকাণ্ডের পরদিন মাহফুজুর রহমানের ছোট ভাই মো. মশিউর রহমান রুবেল থানায় এই হত্যা মামলা করেছিলেন। তবে তিনি মনে করেন, ঐশী তার বাবা-মা’কে খুনে করেনি।
তদন্তের মধ্যে ঐশী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও পরে তা অস্বীকার করে বলেন, ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছিল। বাবা-মা যখন খুন হন তখন তিনি বাসায় ছিলেন না, কারা ওই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে তাও তিনি জানেন না।
২০১৪ সালের ৬ মে ঐশীসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরে মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হলে গত বছরের ৩০ নভেম্বর ঢাকার তিন নম্বর দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ বি এম সাজেদুর রহমান আবারও অভিযোগ গঠন করেন এবং ঐশীদের বিচার শুরু করেন।
গত ১৩ অক্টোবর মামলার প্রধান আসামি ঐশীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেয় আদালত। সে সময় নিজেকে নির্দোষ দাবি করে লিখিত বক্তব্য দাখিল করেন ঐশী। অপর দুই আসামি জনি ও রনিও নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার চান।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি