সিলেট ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ বছর পাঁচেক আগে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিকত্ব পেয়েছেন বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এক সময়ের শীর্ষ নায়িকা শাবনূর। তাঁর পরিবারের অন্য সদস্যরাও অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক। এ কারণে বছরের একটা নির্দিষ্ট সময় পর তাঁকে সেখানে যেতে হয়। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রাতে আবারও অস্ট্রেলিয়ার সিডনির উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ছেন শাবনূর। রাতের ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনসের একটি বিমানে চড়ে তিনি ঢাকা ছাড়বেন বলে জানান তিনি। এ যাত্রায় তিনি মাস দুয়েকের মতো সেখানে থাকবেন বলে জানান।
শাবনূর বলেন, ‘খুব ইচ্ছে ছিল এবারের ঈদ দেশে করার। কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু কাজ পড়ে যাওয়ায় মা ও আমাকে এখনই যেতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন ‘কিছুদিন অস্ট্রেলিয়া থাকলেই কিন্তু দেশে ফেরার জন্য মনটা ব্যাকুল হয়ে ওঠে। বাইরের দেশে হয়তো নিরাপদ জীবনযাপন আছে, কিন্তু নিজের দেশের মতো শান্তি নেই। সিডনি থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে নামার পরই মনটা আনন্দে ভরে যায়। যত সমস্যাই থাকুক না কেন, আমার দেশের মতো শান্তি পৃথিবীর আর কোথাও নাই।’
বেশ কয়েক বছর ধরেই ঢাকা-সিডনি যাওয়া আসার মধ্যে রয়েছেন শাবনূর। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে সিডনিতে জন্ম নিয়েছে শাবনূরের একমাত্র সন্তান আইজান। বহু বছর ধরে অস্ট্রেলিয়ায় আছেন শাবনূরের একমাত্র ছোট ভাই ও বোন। তাঁদের কারণেও শাবনূরকে অস্ট্রেলিয়া ছুটে যেতে হয়।
শাবনূর বলেন, ‘চলচ্চিত্র আমাকে দেশে ও দেশের বাইরের মানুষদের কাছে ‘শাবনূর’ বানিয়েছে। এ দেশের মানুষের যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তার ঋণ কোনো দিন শোধ করা সম্ভব না। অনেকে মনে করেন, আমি হয়তো আর দেশে ফিরব না, এটা কিন্তু তাঁদের ভুল ধারণা। আমার যদি বাংলাদেশে ফেরার কোনো ইচ্ছে না থাকত; তাহলে ঢাকায় এত কিছু করতাম না। আমি কিন্তু ঢাকার গুলশানে একটি স্কুলও প্রতিষ্ঠা করেছি। আমার আরও যা কিছু আছে, সবই ঢাকাকে কেন্দ্র করেই। তাই দেশের বাইরে কিছুদিন থাকার পরই মন আর টেকে না।’
সম্প্রতি বেশ কিছু দিন ধরে আটকে থাকা ‘পাগল মানুষ’ ছবির শুটিংয়ে অংশ নেওয়ার মাধ্যমে আবারও ক্যামেরার সামনে দাঁড়ান শাবনূর। ছবির পরিচালক এম এম সরকারের আকস্মিক মৃত্যুর কারণে অনেক দিন ধরেই ছবিটির কাজ স্থগিত ছিল। বর্তমানে ছবিটির কাজ শেষ করছেন তাঁর শিষ্য বদিউল আলম খোকন। এই ছবিতে শাবনূরের সহশিল্পী শায়ের খান।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি