সিলেট ১৫ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৩৩ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ৯, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ সরকার ও আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার চালানো এপরিদর্শন আজ শেষ হয়েছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক সাঈদ আহমেদ বলেন, ত্রিপক্ষীয় নিরীক্ষায় চার ধরণের মানদণ্ড ঠিক করে কারখানাগুলোতে পরিদর্শন চালানো হয়।
“এতে দেখা গেছে, পরিদর্শন হওয়া কারখানাগুলোর ভবন ও অগ্নি নিরাপত্তা ব্যবস্থা শতকরা প্রায় ৮০% নিরাপদ।”
এর বাইরে ‘বিপজ্জনক’ বিবেচিত হওয়া ছয়টি কারখানা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি. আহমেদ।
মি. আহমেদ বলেন, বাকি যে কারখানাগুলোর সমস্যা পাওয়া গেছে সেগুলোকে আগামি তিনমাসের মধ্যে তাদের মান-উন্নয়নের পরিকল্পনা সরকারকে জানাতে হবে। “কারখানার মালিকদেরই এটা করতে হবে, এবং তারা তা না করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে” – জানান মি. আহমেদ।
কর্মকর্তারা বলছেন, মোট ১ হাজার ৪৭৫টি কারখানায় পরিদর্শন চালানো হয়, তবে এখনো ১২টি কারখানা পরিদর্শন বাকি রয়েছে।
“নিরাপদ” বা “অল্প সংস্কার প্রয়োজন” এমন কারখানাগুলোকে সবুজ ও হলুদ রং দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়া হয়েছে। আর “ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন” বা “বিপজ্জনক” এমন কারখানাগুলোকে যথাক্রমে কমলা ও লাল রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে।
রানা প্লাজায় ধস ও তারও আগে তাজরীন গার্মেন্টসে অগ্নিকান্ডে শত শত পোশাক শ্রমিক নিহত হবার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের সরকার, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও এবং বিদেশি ক্রেতাদের দুটি জোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্স ভাগাভাগি করে দেশটির সাড়ে তিন হাজার পোশাক কারখানাগুলো পরিদর্শন শুরু করে।
ইউরোপের ক্রেতাদের প্রতিষ্ঠান অ্যাকর্ড ইতিমধ্যেই ১৩৫৬টি কারখানা পরিদর্শন শেষ করেছে। আমেরিকান ক্রেতাদের প্রতিষ্ঠান অ্যালায়েন্স পরিদর্শন করেছে ৮২৯টি কারখানা। তারা ইতিমধ্যেই তাদের রিপোর্টও জমা দিয়েছে।
সরকার বলছে বিজিএমইএ এবং বিকেএমইএর তালিকার বাইরে যেসব পোশাক কারখানা আছে – সেগুলোকেও দ্বিতীয় পর্বে পরিদর্শনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর নিজেদের ভাগের কারখানাগুলো পরিদর্শনের পাশাপাশি অন্য সংস্থাগুলোর পরিদর্শনের পর তা রিভিউ করেছে।
কোন কোন ক্ষেত্রে যেসব কারখানা বন্ধ করার সুপারিশ করা হয়েছে – সেগুলোও পুনর্বিবেচনা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মি. আহমেদ।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি