ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিকেলে রোগীর স্বজনদের পেটালেন

প্রকাশিত: ৬:১৬ পূর্বাহ্ণ, জুন ১৫, ২০১৬

ইন্টার্ন চিকিৎসকরা মেডিকেলে রোগীর স্বজনদের পেটালেন

Manual5 Ad Code
file (2)

সংগৃহীত

সুরমা মেইল নিউজ : বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের এক রোগীর স্বজনদের মারধর করেছে শিক্ষানবিশ (ইন্টার্ন) চিকিৎসকরা। এছাড়া তারা মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত সবকটি প্রবেশ গেট এবং সিনিয়র চিকিৎসদের কক্ষে তালা লাগিয়ে গোটা হাসপাতাল অবরুদ্ধ করে রাখেন।

Manual7 Ad Code

এক ঘণ্টার বেশি সময় অবরুদ্ধ ছিল রোগী, স্বজন ও দর্শণার্থীরা। শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের অরাজকতায় দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান চিকিৎসা কেন্দ্র শেবাচিম হাসপাতালে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ অবস্থায় আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘট স্থগিত করেছেন শিক্ষানবিশ চিকিৎকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দেড় শতাধিক শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা মঙ্গলবার বেলা ১২টার পরে হাসপাতালের মধ্যে বিক্ষোভ করে। এক পর্যায়ে তারা হাসপাতালের জরুরি বিভাগসহ সবকটি প্রবেশ গেটে তালা ঝুলিয়ে দেয়। একই সময়ে হাসপাতালের পরিচালক ও কয়েকজন সিনিয়র চিকিৎসকের কক্ষে তালা লাগানো হয়। ফলে হাসপতালের রোগী, স্বজন ও দর্শণার্থীরা অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন।

Manual1 Ad Code

জরুরি বিভাগের গেটে তালা লাগানো থাকায় কয়েকজন মুমূর্ষ রোগী নিয়ে স্বজনদের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ঢুকতে না পেরে অনেকে রোগী নিয়ে চলে যান। এসময় বাইরে থাকা এক রোগীর স্বজন ২৬ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা বাহাদুর এবং তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন বাধা উপেক্ষা করে প্রধান ফটক (মাঝের গেট) দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে তাকে গণপিটুনি দেয় শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা।

শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের এসব আচরণ প্রসঙ্গে শেবাচিম হাসপাতালের পরিচালক ডা. এসএম সিরাজুল ইসলাম জাগো নিউজকে জানান, আন্দোলনকারীরা সবগুলো গেটে তালা লাগালে তাদের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়। বুধবার বেলা ১১টায় পুলিশ প্রশাসনের সঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সভা হবে। এ কারণে ধর্মঘট স্থগিত করেছে শিক্ষানবিশ চিকিৎকরা।

Manual3 Ad Code

প্রসঙ্গত, এক নারী শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ তুলে অভিযুক্তের বিচারের দাবিতে গত শনিবার থেকে অবিরাম কর্মবিরতি শুরু করেছে শিক্ষানবিশ চিকিৎকরা। অভিযুক্ত এসআইকে রোববার ক্লোজড করা হলেও তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এমন দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত রাখা হয়েছে।

Manual3 Ad Code

অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তা পটুয়াখালীর মীর্জাগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মনোজ কুমার সরকার দাবি করেছেন, মেডিসিন ইউনিটে চিকিৎসাধীন তার এক স্বজনের চিকিৎসা নিয়ে অবহেলার প্রতিবাদ করায় ওই নারী চিকিৎসক তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন এবং এসময় দুজনের মধ্যে বাদানুবাদ হয়। চিকিৎসা অবহেলার প্রতিবাদ করলে রোগীর স্বজনদের ওপর হামলা এবং কথিত নিরাপত্তার দাবি তুলে ধর্মঘটে যাওয়া শিক্ষানবিশ চিকিৎসকদের নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

Manual1 Ad Code
Manual7 Ad Code