সিলেট ১৫ই নভেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩০শে কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:০৪ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ১৬, ২০২৫
নিজস্ব প্রতিবেদক :
এবার এইচএসসি’র ফল বিপর্যয় ঘটেছে সিলেট শিক্ষাবোর্ডে। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) প্রকাশিত ফলাফলে পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ, যা গত বছরের তুলনায় কমেছে ৩৩ দশমিক ৫৩ শতাংশ।
একই সাথে কমেছে জিপিএ-৫ প্রাপ্তির হার। এবছর জিপিএ-৫ পেয়েছেন ১ হাজার ৬০২ জন শিক্ষার্থী, যা গত বছরের তুলনায় কমেছে ৫ হাজার ৯৬টি।
ফলাফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গত ৫ বছরের মধ্যে এটাই সবচেয়ে খারাপ ফল।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডে এবার ৬৯ হাজার ১৭১ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৫ হাজার ৮৭১ জন। পাসের হার ৫১ দশমিক ৮৬ শতাংশ। আর জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬০২ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সেবার জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬ হাজার ৬৯৮ জন।
শিক্ষাবোর্ড কর্মকর্তারা বলছেন, দীর্ঘ পাঁচ বছর পর এবারই পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। তাছাড়া ইংরেজিতে ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করায় ফলাফলে বিপর্যয় হয়েছে। এছাড়া ক্লাসে অনুপস্থিতি ও প্রত্যন্ত অঞ্চলে দক্ষ শিক্ষকের অভাবও ফলাফলে প্রভাব ফেলেছে।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় সিলেটে শিক্ষাবোর্ডের সম্মেলন কক্ষে আনুষ্ঠানিক ফল প্রকাশ করেন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী।
এ সময় সিলেট শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ইংরেজিতে এবার ৩৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করেছে। এছাড়া পরিসংখ্যানেও ২৩ দশমিক ২২ শতাংশ, পদার্থবিজ্ঞানে ১৬ দশমিক ২৫ শতাংশ, অ্যাকাউন্টিংয়ে ৩১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, উচ্চতর গণিতে ২০ দশমিক ৯৮ শতাংশ, ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি বিষয়ে ১৯ দশমিক ১৩ শতাংশ ও ইতিহাস বিষয়ে ১৮ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী ফেল করায় পাসের হার কমেছে। তবে সার্বিক ফলাফল ভালো হয়েছে। কারণ এবার সারাদেশেই গড় পাসের হার কম। ফলাফলে আমরা সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের পরবর্তী সময়ে শিক্ষার্থীরা নিয়মিত ক্লাসে উপস্থিত না হওয়া এবং দুর্গম হাওরাঞ্চল ও গ্রামের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইংরেজি ও বিজ্ঞান বিভাগের বিভিন্ন বিষয়ে মানসম্পন্ন শিক্ষক না থাকায় সার্বিক ফলাফলে প্রভাব পড়েছে।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের অধীনে চার জেলা থেকে এবার পরীক্ষায় অংশ নেয় ৬৯ হাজার ১৭১ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে পাস করেছে ৩৫ হাজার ৮৭১ জন।
সিলেট বোর্ডের অধীনে চার জেলার মধ্যে সিলেট জেলার শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করেছে। এ জেলায় পাসের হার ৬০ দশমিক ৬১ শতাংশ। এর পরের অবস্থানে থাকা হবিগঞ্জে ৪৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। এছাড়া সুনামগঞ্জে ৪৭ দশমিক ৩৫ এবং মৌলভীবাজারে পাসের হার ৪৫ দশমিক ৮০ শতাংশ।
এইচএসসির ফলাফলে ছেলেদের চেয়ে ভালো ফল করে অধিপত্য ধরে রেখেছে মেয়েরা। ৪১ হাজার ৪০৭ জন মেয়ে পরীক্ষার্থীর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছেন ২২ হাজার ০১ জন। মেয়েদের পাসের হার ৫৩ দশমিক ১৩ শতাংশ। অন্যদিকে ২৭ হাজার ৭৬৪ জন ছেলে পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১৩ হাজার ৮৭০ জন। ছেলেদের পাসের হার ৪৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ।
সিলেট বোর্ডে এবার বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা ভালো ফল করেছে। এ বিভাগে পাসের হার ৭৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৫০ দশমিক ১৮ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে। আর মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীদের পাসের হার ৪৫ দশমিক ৫৯ শতাংশ। বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৩৭৯টি। ১৫৩টি জিপিএ-৫ পেয়েছে মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থীরা। আর ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭০ জন।
সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবারের পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩২৩টি কলেজের মধ্যে ৩টি কলেজ শতভাগ পাসের গৌরব অর্জন করেছে। আর কেউ উত্তীর্ণ হতে পারেননি চারটি প্রতিষ্ঠানে।
মোট উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ১ হাজার ৬০২ জন। এছাড়া এ গ্রেডে ৬৬ হাজার ৭২ জন, এ মাইনাস গ্রেডে ৮ হাজার ২২ জন, বি গ্রেডে ৯ হাজার ৩৭০ জন, সি গ্রেডে ৯ হাজার ৫৬১ জন এবং ডি গ্রেডে ৬৪৪ জন শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে।
(সুরমামেইল/এফএ)
প্রধান উপদেষ্টাঃ ফয়েজ আহমদ দৌলত
উপদেষ্টাঃ খালেদুল ইসলাম কোহিনূর
উপদেষ্টাঃ মোঃ মিটু মিয়া
উপদেষ্টাঃ অর্জুন ঘোষ
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি