সিলেট ৭ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২২শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:৫১ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : কোন জোরজবরদস্তি নয়, পেলেন জনতার স্বত:স্ফুর্ত রায়। কারা প্রকোষ্ঠে থাকা সত্ত্বেও জনতার রায়েই বিজয় ছিনিয়ে নিলেন তিনি, জনতার স্বত:স্ফুর্ত রায়েই কারাগারের অন্ধকার আলো হয়ে দেখা দিলো তার সামনে। সারাদেশের মধ্যে একমাত্র তিনিই মেয়র পদে লড়েছেন কারাগার থেকে হয়েছেন বিজয়ী। পৌরসভা নির্বাচনে যখন দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কেবল পরাজয়ের বার্তা আসছিল, তখন হবিগঞ্জে উল্লাসে ফেটে পড়েছিল বিএনপির নেতাকর্মীসহ স্থানীয় জনতা। জিতে গেছেন গোলাম কিবরিয়া গউছ। তবে আদালতে তার মামলা বিচারাধীন। দোষী না নির্দোষ-আদালতই দেবে সে রায়। তবে তার আগে জনতার রায়ে তিনি যেন ‘বেকসুর খালাস’। হবিগঞ্জ পৌর এলাকার বাসিন্দারা জানিয়ে দিলেন তারা আবারও জিকে (গোলাম কিবরিয়া) গউছকেই তাদের অভিভাবক হিসেবে চান। মাথায় ঝুলছে তার একটি আলোচিত হত্যা মামলা। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় অভিযুক্ত তিনি। প্রথম দিকে চার্জশিটে তার অন্তর্ভুক্তি না থাকলেও ২০১৪ সালের ১৩ নভেম্বর দাখিল করা তৃতীয় সর্ম্পূরক চার্জশিটে তিনিও যুক্ত হন অভিযুক্তের তালিকায়। পরে ঐ বছরের ২৮ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাকে জেলে পাঠান। এরপর সাময়িকভাবে হারাতে হয় মেয়র পদও। এরই মাঝে শেষ হয় পৌরসভার মেয়াদ। আবার নির্বাচন আসে। জনতার ভালোবাসার প্রতি বিশ্বাস রেখে জেল থেকেই সে নির্বাচনে প্রার্থী হন জিকে গউস। ৯.০৫ বর্গ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে হবিগঞ্জ পৌর এলাকাজুড়ে নির্বাচনী উত্তাপ। কারাগারে বন্দি থাকায় সে শক্তিতেই পার হয়ে গেলেন নির্বাচনী বৈতরণী। সিলেট জেলা কারাগারে ডিভিশনে থাকা জি কে গউছের শারীরিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। মেরুদন্ডে ব্যথার কারণে সপ্তাহে তাকে তিন দিন হাসপাতালে যেতে হয়, থেরাপি নিতে হয়। মেরুদন্ডের এ ব্যথাটি তার সঙ্গী হয়েছে জেল জীবনেই। হবিগঞ্জ কারাগারে থাকার সময় গত বছরের ১৮ জুলাই এক কয়েদির ছুরির আঘাতে মারাত্মক আহত হন তিনি। কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভের সংবাদে সব ব্যথা ভুলে আবারও তিনি আশাবাদী হয়ে উঠেছেন বলে জানিয়েছেন তার সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া শুভানুধ্যায়ীরা। তাদের কাছেই তিনি জেনেছিলেন নিজের বিজয় বার্তা।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি