সিলেট ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৯:২৯ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৬, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবীর জেনারেল আতাউল গণি ওসমানীর ৩২তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হযরত শাহজালাল (রহ:) মাজার প্রাঙ্গনে ওসমানীর মাজার জিয়ারত ও দুপুর ১২ টায় সিলেট কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে শোক র্যালি বের হয়ে জিন্দাবাজ পয়েন্ট প্রদক্ষন করে শহিদ মিনারে এসে র্যালি সমাপ্ত হয়। র্যালি শেষে দুপুর ১২.৩০ মিনিটে শহিদ মিনারে এক স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়। ওসমানী স্মৃতি পরিষদের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান লায়েকের সভাপতিত্বে, সদস্য সচিব প্রীতম চক্রবর্তীর পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেনারেল ওসমানীর সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আলহাজ্ব এম এ আলী ঈসমাইল, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সেক্টর ফোরাম মুক্তিযুদ্ধ’৭১ এর কেন্দ্রয়ীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সারোয়ার হোসেন চৌধুরী (আবদাল), বীর মুক্তিযুদ্ধা শরিফ চৌধুরী, জাতীয় সাপ্তাহিক বাংলার মাটি পত্রিকার সম্পাদক আকলিছ আহমদ চৌধুরী, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মোহাম্মদ হানিফ। স্মরণ সভায় বক্তারা বলেন, ওসমানী ছিলেন খাঁটি দেশ প্রেমিক এবং নির্লোভ রাজনীতিবিদ। জাতির যে কোন সংকট মুহূর্তে তিনি অভিভাবক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি জাতির সামনে অনুকরণীয় আদর্শ রেখে গেছেন। তার আদর্শ সমাজে প্রতিষ্ঠা পেলে দেশ ও জাতি উপকৃত হবে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে মাত্র ৯ মাসে পাক হানাদার বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য করেছিলেন। জেনারেল ওসমানীর জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী রাষ্ট্রিয় ভাবে পালন ও পাঠ্য পুস্তকে তার জীবনী অন্তর্ভূক্ত করার জন্য বক্তারা দাবী জানান। সভাপতির বক্তব্যে, মাহমুদুর রহমান লায়েক বলেন, এই পার্থিব জগতে শুধুই দেওয়ার জন্য কিছু লোকের সমাগম ঘটে। তাঁদের সংখ্যা অতি অল্প। কখনো কোনদিন কোন কিছু পাওয়ার স্বাধ তাদের প্রলুব্ধ করতে পারে না। এই সব মানুষেদের সবাই বলে ক্ষণজন্মা। এমনই এক ক্ষণজন্মা ব্যাক্তিত্ব হচ্ছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী। যার জীবন অনুসরন করলে আমরা সবাই উপকৃত হবে বলে আমি মনে করি। আজকের এই স্মরণ সভায় আমি দাবী তুলছি অচিরেই এম এ জি ওসমানীর মৃত্যু ও জন্ম বার্ষিকী পালনের জন্য সরকারী ছুটি ঘোষনা করা হয়। আমাদের ওসমানী স্মৃতি পরিষদ এর পক্ষ থেকে আরেকটা দাবী হচ্ছে, সিলেট এমএজি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে একটি করে দুইটি ভাস্কর্য সরকারী ভাবে করে দেওয়া হউক। অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, সাংবাদিক আব্দুল হালিম সাগর, জাতীয় জনতা পার্টির সিলেট মহানগর কমিটির সহ-সভাপিত সৈয়দ যাবির আনোয়র সুমিত, পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক সুনির্মল সেন, যুগ্ম সদস্য সচিব চন্দন চক্রবর্তী, দপ্তর সচিব কিরণ দেব নাথ, অর্থ সচিব তানবীর আহমদ, নির্বাহী সদস্য আমিনুল ইসলাম বকুল, শফিকুর রহমান শফিক, শেখ নজরুল ইসলাম, সামসুল ইসলাম মারজান, গোলাম রহমান, ইমরান হোসেন ইমরান, মোঃ জাকের, জাহাঙ্গীর আহমদ, স্মৃতি পরিষদের ওসমানীনগর উপজেলা আহ্বায়ক বশির আহমদ, কানাইঘাট উপজেলার আহ্বায়ক সিহাব আহমদ, সাংস্কৃতি কর্মী অমিত, তারেক আহমদ প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি