সিলেট ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:১৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ ওয়াই-ফাই তো শুনেছেন। সে অর্থে, দুধের শিশুকেও আজকাল ওয়াই-ফাই কী, বলে দিতে হয় না। এই ওয়াই-ফাইকে সরিয়ে, অদূর ভবিষ্যতে যে তার জায়গা নিতে চলেছে, তারা নাম লাই-ফাই। বলতে পারেন ওয়াই-ফাইয়ের সুপার-ফাস্ট বিকল্প। এটা শুধু পরিকল্পনাতেই সীমাবদ্ধ নয়, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষিত, হাতেনাতে প্রমাণিত। লাই-ফাই সিস্টেমে ডেটা এতটাই জোরে ছোটে একটা পূর্ণদৈর্ঘ্যের সিনেমা ডাউনলোড হয়ে যায় সেকেন্ডে। স্পিড ১ জিবি পিএস। হিসাব কষলে দেখা যাবে, বর্তমান ওয়াই-ফাই প্রযুক্তির থেকে ১০০ গুণ দ্রুততর।
ভাবা যায়? পলক পড়ার আগে ডাউনলোড হয়ে যাতে পারে আস্ত একটা ফিল্ম! এক মিনিটও নয়, মাত্র এক সেকেন্ডেই! ডেটা স্পিড যখন, ফোর-জি, ফাইভ-জি, সিক্স-জি… জি-এর পর জি, নিশ্চয় এসবই মাথায় ঘুরছে। না কোনও ‘জি’ নয়। ওয়াইফাই (Wi-Fi)এর বদলে লাই-ফাই (Li-Fi)-এর দৌলতেই এটা সম্ভব হতে চলেছে।
এই প্রযুক্তির নেপথ্যে যিনি, তিনি অধ্যাপক হ্যারল্ড হাস। এই লাই-ফাই দুনিয়ার সঙ্গে পরিচয় ঘটিয়েছেন তিনিই, এটা তারই আবিষ্কার।
কী এই লাই-ফাই? এক কথায় বললে, বিশেষ ধরনের একটি আলো। যার থেকে নির্গত রশ্মির মধ্য দিয়েই তথ্য যায় বাতাসে ভর করে। ফাইবার অপটিক নেটওয়ার্কে এই আলোকে কাজে লাগিয়েই ডেটা পাঠানো হয়ে থাকে।
এডিনবর্গ ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হ্যারল্ড হস ২০১১ সালেই এই প্রযুক্তি আবিষ্কার করেন। দেখান, কী ভাবে সিঙ্গল লেডের মাধ্যমে সেলুলার টাওয়ারের থেকে বেশি ডেটা দ্রুত পাঠানো যায়।
এতদিন পরীক্ষামূলক ভাবে এয়ারলাইন্সে এই প্রযুক্তি কাজে লাগানো হচ্ছিল। ইন-ফ্লাইট যোগাযোগ রাখা হচ্ছিল লাই-ফাইকে কাজে লাগিয়ে। এমনকী গোয়েন্দারাও তা ব্যবহার করেছেন।
এখন পরীক্ষাগার থেকে বেরিয়ে প্রযুক্তি প্রেমীদের কাছে পৌঁছার অপেক্ষায় লাই-ফাই।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি