কানাইঘাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ‘ধর্ষণ’, ২ আসামীর স্বীকারোক্তি

প্রকাশিত: ৫:৩১ অপরাহ্ণ, মে ৩১, ২০২৩

কানাইঘাটে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ‘ধর্ষণ’, ২ আসামীর স্বীকারোক্তি

কানাইঘাট প্রতিনিধি :
কানাইঘাটে শিশু সন্তানের সামনে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ।

 

মঙ্গলবার (৩০ মে) আদালতে সংঘবদ্ধ গণধর্ষণের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার ১৬১ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক হেলাল ও ফরহাদ। এরপর আসামীদের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন আদালত।

 

গত রোববার (২৮ মে) রাতে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে এক সন্তানের জননী ১৬ বয়সী ওই গৃহবধূকে গণধর্ষণের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ বাদী হয়ে কানাইঘাট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের করেছেন করেছেন। মামলা নং-২২, তারিখ- ২৯/০৫/২০২৩ইং।



পরদিন সোমবার (২৯ মে) দিনভর অভিযান চালিয়ে উপজেলার নন্দিরাই গ্রামের আলাউদ্দিনের পুত্র দুদু মিয়া (৩৬), বীরদল ভাড়ারীফৌদ গ্রামের মৃত মঈন উদ্দিনের পুত্র হেলাল আহমদ (৩৮), বড়দেশ সরদারী পাড়া গ্রামের বিলাল আহমদের পুত্র ফরহাদ (৩৫), বীরদল আগফৌদ গ্রামের খলিলুর রহমানের পুত্র আব্দুল করিম ও বীরদল ছোটফৌদ গ্রামের হবিব আলীর পুত্র জুবের আহমদকে (২৪) গ্রেফতার করা হয়।

 

প্রাথমিক পুলিশী জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃতরা ‘গণধর্ষণ এবং ধর্ষণে’ সহযোগিতার কথা স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম দস্তগীর আহমেদ।

 

ধর্ষণের শিকার ১৬ বছর বয়সী গৃহবধূ বর্তমানে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওসিসি বিভাগে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে- এক সন্তানের জননী ভিকটিমের বাড়ি উপজেলার লক্ষীপ্রসাদ পশ্চিম ইউনিয়নের সোনাতনপুঞ্জি (বিলেরপাড়) গ্রামে। তার শ্বশুড় বাড়ি বিয়ানীবাজার উপজেলার বড়দিঘিরপাড় গ্রামে। বিয়ের পর থেকে স্বামীর প্রায়ই তাকে নির্যাতন করত। নির্যাতন সইতে না পেরে সম্প্রতি বিয়ানীবাজার থেকে কানাইঘাট উপজেলায় তার স্বজনদের কাছে চলে আসে। পরিবার থেকেও নানা কারনে একপ্রকার বিচ্ছিহ্ন ছিল ভিকটিম।

 

কানাইঘাট পৌরসভার নন্দিরাই গ্রামের আলা উদ্দিনের পুত্র দুদু মিয়ার সাথে পূর্ব থেকে ভিকটিমের পরিচয় ছিল। দুদু মিয়া ভিকটিমের ৯ মাসের অসুস্থ শিশু কন্যাকে চিকিৎসা করানোর জন্য গত রোববার পাশর্^বর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার এক গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়ার নাম করে কানাইঘাট বীরদল বাজার এলাকায় রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত ঘুরাঘুরি করতে থাকে। একপর্যায়ে রিক্সাযোগে কানাইঘাট বাজারে রাত ১১টার দিকে আসার সময় পথিমধ্যে পুরানফৌদ কবরস্থানের সামনে রিকশা গথিরোধ করে তাকে পুরানফৌদ গ্রামের পিপি হাবিব আলীর নির্জন পুকুরঘাটে তুলে নিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়।

 

(সুরমামেইল/এমআর)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com