সিলেট ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:২৬ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ২২, ২০২৪
কানাইঘাট প্রতিনিধি :
সিলেটের কানাইঘাটে এবার আব্দুর রহমান লাল মিয়া নামের এক আইসক্রিম বিক্রেতার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সকাল ১১টার দিকে পৌর শহরের মাদ্রাসা রোডের একটি ভবনের নীচ তলার দোকান ঘর থেকে তাঁর উদ্ধার করা হয়।
আব্দুর রহমান লাল মিয়া (৪০) উপজেলার বড়চতুল ইউনিয়নের লখাইরগ্রামের মৃত হাসন আলীর পুত্র। তিনি পেশায় আইসক্রিম বিক্রেতা ছিলেন।
জানা গেছে- আব্দুর রহমান লাল মিয়া দীর্ঘদিন থেকে খোলা ভ্যানে করে আইসক্রিম ও খেলনা সামগ্রী ফেরী করে বিক্রি করতেন। গত বুধবার সাতবাঁক ইউনিয়নের লালারচক মাদ্রাসার জলসায় খেলনা ও আইসক্রিম বিক্রি করতে অনেকে দেখেছেন। ওইদিন রাত থেকে লাল মিয়ার মুঠোফোন বন্ধ থাকায় পরিবারের লোকজন তার সাথে কোনো যোগাযোগ করতে পারেনি। এতে সন্দেহ হয় পরিবারের।
শুক্রবার সকালে তার পরিবারের লোকজন এসে ভাড়াটিয়া দোকান ঘরের বাইরে তালা দেয়া দেখতে পান। পরে তালা ভেঙে ঘরের চৌকি খাটের উপর মাথায় গুরুতর জখমপ্রাপ্ত লাল মিয়ার রক্তাক্ত লাশ পড়ে থাকতে দেখেন তারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়। তবে কি কারনে এ হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে তার কারন জানা যায় নি।
স্বজনরা জানান, ফেরী করে আইসক্রিম ও খেলনা সামগ্রী বিক্রি করতেন লাল মিয়া। তাঁর লাশ দোকানের ভিতর থাকা চৌকি খাটের উপর পড়ে থাকতে দেখা যায়। এ সময় তার বিছানার চাদর ও পরনের কাপর এলোমেলো ভাবে জড়িয়ে ছিল। তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন ও টাকা-পয়সা কোন কিছু পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ইসলাম উদ্দিন জানান, লাল মিয়ার এক ছেলে ও দুই শিশু মেয়ে রয়েছে। লাল মিয়া বিভিন্ন এলাকায় ঘোরে আইসক্রিম বিক্রির সুবাদে সে পৌর শহরের একটি দোকানে ভাড়া ঘরে থাকত, মাঝে মধ্যে বাড়িতে যেত।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল আউয়াল জানান, আব্দুর রহমান লাল মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরন করা হয়েছে। কারা এ হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ দিনে কানাইঘাটের বিভিন্ন এলাকায় লাল মিয়াসহ ৫টি হত্যাকান্ড ঘটেছে। এ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
(সুরমামেইল/এমআর)
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি