সিলেট ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১০:৪১ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০১৬
কানাইঘাট থানাধীন গেজেটভুক্ত হাজি আব্দুল হামিদ সড়কের নামকরণের বিষয়ে অত্র স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর ও সরকার পক্ষের উপর আবুল কাশেম চৌধুরীর দায়েরকৃত রিট পিটিশন নং-১২০১৭/২০১৫তে হাইকোর্ট বিভাগ কর্তৃক ৩০/১১/২০১৫ এর স্থগিতাদেশ মহামান্য বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কর্তৃক উক্ত স্থগিতকরণের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশের আদেশ সম্পর্কে অবহিত করণ ও নামকরণ বিরোধীদের হাত থেকে নামফলক রক্ষার জন্য নির্বাহী প্রকৌশলী স্থানীয় সরকার অধিদপ্তরের কাছে আবেদন করেছেন রাস্তার নির্মাতা যুক্তরাজ্য প্রবাসী এম.এ শাকুর সিদ্দিকীর পক্ষে জসিম উদ্দিন। সোমবার বিকেলে স্থানীয় সরকার অধিদপ্তর, সিলেট এই আবেদনটি গ্রহণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে যাচ্ছে বলে যায়। এ বিষয়ে মাননীয় মন্ত্রী, মাননীয় প্রতিমন্ত্রী, মাননীয় সচিব, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা, , মাননীয় সংসদ সদস্য, সিলেট-৫ ও বিরোধী দলীয় হুইপ, জাতীয় সংসদ ও প্রকল্প পরিচালক, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা, বিভাগীয় কমিশনার, সিলেট বিভাগ, সিলেট, জেলা প্রশাসক, সিলেট, পুলিশ সুপার, সিলেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কানাইঘাট, সিলেট, অধিনায়ক র্যাব-৯, সিলেট, অফিসার ইনচার্জ, কানাইঘাট থানা কে অনুলিপি প্রদান করা হয়েছে। আবেদনে উল্লেখ করা হয়,
সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলায় বুরহান উদ্দিন রাস্তা হতে বাউরভাগ পশ্চিম হয়ে সুরমা ডাইক পর্যন্ত রাস্তাটি হাজি আব্দুল হামিদ সড়ক নামে বৈধভাবে গত ২২ অক্টোবর ২০১৫ এর প্রকাশিত বাংলাদেশ গেজেটে নতুন নামে নামকরণ হয়ে গেজেটভূক্ত হয়। উক্ত রাস্তাটি যুক্তরাজ্য প্রবাসী দানবীর এম.এ শাকুর সিদ্দিকী সোয়া দুই কোটি ব্যয়ে নির্মাণ করলে তার দাদা মরহুম হাজি আব্দুল হামিদের নামে রাস্তাটি সকল বৈধ প্রক্রিয়া শেষে সরকার নামকরণ করেন। যুক্তরাজ্য প্রবাসী এম.এ শাকুর সিদ্দিকী এই রাস্তাটি বুরহান উদ্দিন সড়কের সাথে সংযোগ করতে প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা ব্যয় করে হাজি শওকত আলী নামে একটি বড় সেতু ও দু’টি কালভার্ট নির্মাণ করায় বর্তমানে উক্ত এলাকার জনসাধারণ সুফল ভোগ করছেন। হাজি আব্দুল হামিদ সড়কের নামকরণের বিরুদ্ধে স্থানীয় সরকার ও মন্ত্রণালয়ের সচীব মহোদয় জেলা প্রশাসক সিলেট, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানাইঘাট, সিলেটকে প্রতিপক্ষ করে মাননীয় হাইকোর্টে রিট পিটিশন নং-৭১৮৯/২০১৫ দায়ের করে স্থগিতাদেশ চাইলে মাননীয় আদালত স্থগিতাদেশ দেননি। পরে আবুল কাশেম চৌধুরী নামক জনৈক ব্যক্তি একইভাবে মাননীয় আদালতে ভুল তথ্য দিয়ে মাননীয় হাইকোর্টের অপর ব্রাঞ্চে রিট পিটিশন নং-১২০১৭/২০১৫ দায়ের করলে মাননীয় আদালত সরকারের বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগে লিভ-টু আপীলের দেওয়ানী দরখাস্ত নং-৩৭৯/২০১৬ দায়ের করলে মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আপীল বিভাগ মাননীয় হাইকোর্টের রিট পিটিশন নং- ১২০১৭/২০১৫ এর আদেশে যে স্থগিতাদেশ প্রদান করা হয়েছিল, সেই স্থগিতাদেশ ১৪ জুলাই ২০১৬ইং পর্যন্ত স্থগিত করে আদেশ প্রদান করেন।
আরোও উল্লেখ করা হয় গত ৩১/১১/২০১৫ এর স্থগিতাদেশ পেয়েই বিবাদী আবুল কাশেম চৌধুরী গংরা গত ০৭/০১/২০১৬ইং তারিখে জনগণকে আদালতের আদেশে ভূল ব্যাখ্যা দিয়ে হাজী আব্দুল হামিদের প্রবেশ মুখে হাজী শওকত আলী ব্রীজ সংলগ্ন পুরাতন তোরণের উপর লিখা হাজী আব্দুল হামিদ সড়কের নামকরণে নামফলক ভাংচুর করলে কানাইঘাট থানায় আবেদনকারী বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন যার নং- ০৫, তাং-০৭/০১/২০১৫। এই ভাংচুরের ঘটনার পূর্বে বিবাদীগণ নামফলক ভাঙ্গার পায়তারায় লিপ্ত রয়েছে বলে গত ১৭/১২/২০১৫ইং তারিখে আপনার দপ্তরে একটি আবেদন করা হয়েছিল। এছাড়াও সরকারের গেজেটভূক্ত এই হাজী আব্দুল হামিদ সড়কটি রক্ষায় মাননীয় পুলিশ সুপার, মাননীয় জেলা প্রশাসক ও কানাইঘাট থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়।
বর্তমানেও মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের উক্ত আদেশের পর বিবাদী আবুল কাশেম ও তৈমুর রশীদ গংরা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে কানাইঘাট উপজেলার গেজেটভূক্ত হাজী আব্দুল হামিদ সড়ক ও তোরণের উপর নির্মিত নামফলকটি পুণরায় ভেঙ্গে বেআইনী নাম বসানোর পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করা হয়।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি