সিলেট ২রা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৯ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ৬, ২০১৬
ফয়সল আহমদ : বদর উদ্দিন আহমদ কামরান। বিদেশ থেকে ফিরে এসে দেওয়ান ফরিদগাজীর হাত ধরে রাজনিতীতে পর্দাপন। তার আর্শিবাদে আর ¯েœহ ভালবাসা নিয়ে যাত্রা শুরু করে আর পিছনে ফিরে থাকাতে হয়নি তাকে। পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নিয়ে হয়ে যান কমিশনার, তারপর পৌরসভার চেয়ারম্যান শেষ পর্যন্ত সিলেট পৌরসভা সিটি কর্পোরেশনে উত্তিন্নœ করা হলে তিনি ঐ সিটির মেয়র হন। ২য় বার নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল ভোটে বিএনপি প্রার্থীকে পরাজিত করে ২বারের মতো সিটি কর্পোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। এরপর আর পিছনে থাকাতে হয়নি থাকে সিটি কর্পোরেশন এলাকার যে কোন ডাকে সাড়া দিয়ে সবার কাছে কামরান ভাই হিসাবে ব্যাপক পরিচিতি লাভ করেন। এক সময় শহর ছেড়ে তার পদচারনা জেলা থেকে বিভাগ, বিভাগ থেকে সারা দেশে জন প্রতিনিধি হিসাবে ছড়িয়ে পড়ে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে যুবক কামরান শুরু করেছিলেন পথচলা। বিগত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার পর জনপ্রতিনিধির তালিকা থেকে বাদ পড়ে তার নাম। নির্বাচনে পরাজিত হলেও এখন সিলেট নগরী তথা সিলেটবাসী তাকে মেয়র হিসাবেই ডাকেন। আবাল বৃদ্ধ বনিতার কাছে তিনি এখনও সিলেটের মেয়র। বিগত নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী আরিফুল হকের কাছে পরাজিত হলেও সকল পরিচয় ছাপিয়ে এখনো তিনি ‘মেয়র সাব’ হিসেবেই সিলেটের মানুষের কাছে বেশি সমাদৃত। সম্প্রতি নগর ভবন ফাঁকা পড়ে আছে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী কারান্তরীন হওয়ার ফলে কিন্তু নগরবাসী বলছেন এখনও সিটি কর্পোরেশনের মেয়রের চেয়ার যেনো কামরানের নাম ধরেই ডাকছে। নগর পিতা না হয়ে না হলেও সুখে-দুঃখে মানুষ ছুটে যান কামরানের কাছে। কামরানও চেষ্টা করেন সাধ্যমতো সহযোগিতা করার। গত জাতয়ি নির্বাচনে সিলেটবাসী মনে করেছিল কামরানকে মন্ত্রী পরিষদে স্থান দেওয়া হবে এমন আশার কথাও সিলেটেবাসী দু একজন নেতার কাছ থেকে শুনে ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আশার বালি রয়ে গেলো। কামরানের রাজনীতির গন্ডি সীমাবদ্ধ ছিল সিলেট মহানগরীর ভেতরে কিন্তু সে গন্ডি পেরিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় রাজনিতীতে বিশেষ ভুমিকা রাখছেন তিনি। সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন দীর্ঘদিন থেকে। বিভিন্ন ইস্যুতে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা করে রাজপথ ‘গরম’ রাখতে তার বিকল্পও নেই দলে। সম্প্রতি পৌরসভা নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের সমর্থনে তিনি ছুটে গেছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে। বিভাগের প্রায় সকল পৌরসভায় কামরান আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীদের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। ভোটারদের কাছে গিয়ে তুলে ধরেছেন বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তি। অভ্যন্তরিণ কোন্দলে যেসব পৌরসভায় দলীয় নেতাকর্মীরা প্রচারণা থেকে দূরে ছিলেন কামরানের উপস্থিতিতে তারাও নেমেছেন মাঠে। সবমিলিয়ে গত পৌরসভা নির্বাচনে সিলেট বিভাগের আওয়ামী লীগের ভোট বিপ্লবে কামরানের বড় ভূমিকা ছিল বলে মনে করছেন দলীয় নেতাকর্মী ও প্রার্থীরা। এর আগে গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও কামরান ছুটে গিয়েছিলেন দল সমর্থিত প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায়। বিভাগের যেসব উপজেলায় তিনি প্রচারনায় অংশ নিয়েছিলেন সেসব স্থানে নির্বাচনী ফলও ভালো হয়েছে। শুধু নির্বাচন নয়, সিলেট বিভাগের কোন জেলা ও উপজেলায় দলীয় কোন কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার সুযোগ পেলেই সেখানে ছুটে যান কামরান। গণমানুষের দোয়া-আর্শিবাদ সবসময় সাথে থাকে বলেই একাধিকবার জঙ্গি হামলার শিকার হয়েও প্রাণে বেঁচে গেছেন তিনি। বিগত চারদলীয় জোট সরকারের আমলে তাকে লক্ষ্য করে গুলশান সেন্টার ও টিলাগড়ে গ্রেণেড হামলার ঘটনা ঘটে। কিন্তু তিনি অক্ষত থেকে যান। এছাড়া গত বছর ৫ জানুয়ারি পরবর্তী সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় পাঠানটুলায় তার গাড়ি লক্ষ্য করে হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটালেও তিনি ভাগ্যক্রমে রক্ষা পান। আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে অংশ নিলে কামরানকে কেউ ঠেকাতে পারবেনা বলে অনেক কামরান ভক্ত বলেন। আর সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সিলেট নগর পিতা হওয়ার মতো বিকল্প এমন কেউ নেইও আওয়ামীলীগের মাঝে। সব মিলে আগামীতে কামরানই আবার সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নগর পিতার আসনে বসছেন এটা প্রায় সুনিশ্চিত ভাবেই বলা চলে। তবে কামরান ভক্তদের দাবী বৃহত্তর সিলেটের কৃতিসন্তান সমাজকল্যান মন্ত্রী ইতিমধ্যে প্রয়াত হয়েছেন এখন সিলেটবাসী দাবী সরকারে আরো একটি মন্ত্রনালয় সিলেটবাসীকে প্রধানমন্ত্রী উপহার দেবার জন্য,আর এই মন্ত্রনালয়ে সাবেক মেয়র কামরানকেই দেখতে চায় সিলেটবাসী।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি