কারো পক্ষেই জানা সম্ভব না, কী প্রশ্ন আসবে: শিক্ষমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২:১৮ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ১, ২০১৬

কারো পক্ষেই জানা সম্ভব না, কী প্রশ্ন আসবে: শিক্ষমন্ত্রী
Nurul-Islam-Nahid

ফাইল ফটো

সুরমা মেইল নিউজ : শিক্ষমন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এক সময় ছিল প্রশ্নপত্র তৈরি ও ছাপানোর পর আগে অনেকে জেনে যেত, কিন্তু এখন এক-দুজন ছাড়া আর কেউ জানতে পারবে না। এখন যারা জানবে, তারাও বলতে পারবে না কোন প্রশ্নটা আসবে। আর মন্ত্রী, সচিব, বোর্ডের চেয়ারম্যান কিংবা কন্ট্রোলার কারো পক্ষেই সম্ভব না, কী প্রশ্ন আসবে তা জানা। সারা দেশে আজ সোমবার সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্র, সহজ বাংলা প্রথম পত্র, বাংলা ভাষা ও বাংলাদেশের সংস্কৃতি প্রথম পত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। চলতি বছর এসএসসি পরীক্ষায় কিছু পরিবর্তন এসেছে। আগে শিক্ষার্থীদের শুধু সৃজনশীল বা রচনামূলক অংশের উত্তর পরীক্ষার শুরুতে দিতে হতো। তবে এবার থেকে শুরুতে দিতে হবে এমসিকিউ অংশের উত্তর। পরে দিতে হবে রচনামূলক প্রশ্নের উত্তর। এ দুই অংশের পরীক্ষার মধ্যে বিরতি থাকবে ১০ মিনিট। আজ পরীক্ষা শুরুর পরপরই রাজধানীর একটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। প্রশ্ন ফাঁস রোধে পরীক্ষা ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনা হয়েছে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, একবারই আমাদের প্রশ্নপত্র ফাঁস হয়েছিল। কিছু লোক এটাকে ধরে রাখছে, আর প্রতিবছরই মনে করছে আউট (প্রশ্ন ফাঁস) হচ্ছে। প্রচলিত যে ব্যবস্থা, তার মধ্যে আমরা কতগুলো পরিবর্তন নিয়ে আসব। কিছু পরিবর্তন আনব, যেগুলো কাউকে বলব না, যাতে কেউ বুঝতে না পারে কোন জায়গায় জিনিসটা (পরিবর্তন) হচ্ছে। সব ব্যাপারে বলা হবে না। কারণ ব্যাখ্যায় মন্ত্রী আরো বলেন, প্রশ্ন তৈরি ও ছাপিয়ে বের করা, স্কুলে পৌঁছানো পর্যন্ত অনেকে জেনে যেত। সেটা এখন এক-দুজন জানবে। তাও বলতে পারবে না কোন প্রশ্নটা আসবে। আর মন্ত্রী, সচিব, বোর্ডের চেয়ারম্যান কিংবা কন্ট্রোলার কারো পক্ষেই সম্ভব না, কী প্রশ্ন আসবে তা জানা। আমরা যে ব্যবস্থাগুলো নিয়েছি, তাতে আগের পদ্ধতিই আরো বেশি পাকা-পোক্ত করা হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আজকে আমাদের যে পরীক্ষা শুরু হচ্ছে, তা ৮ মার্চ শেষ হবে। এটা হচ্ছে তাত্ত্বিক অংশ। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা ৯ থেকে ১৪ মার্চ পর্যন্ত চলবে। তারপর আমরা ফল দেব ৬০ দিনের মধ্যে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। এ ব্যাপারে আমাদের প্রস্তুতি আছে। পরীক্ষার্থীদের বেশি নম্বর দেওয়ার কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। তাই কোনো শিক্ষক এমন দাবি করলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান মন্ত্রী। চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ১৬ লাখ ৫১ হাজার ৫২৩ পরীক্ষার্থী। গতবারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী বেড়েছে এক লাখ ৭২ হাজার ২৫৭ জন। প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ৩১১টি। আর কেন্দ্র বেড়েছে ২৭টি। মোট কেন্দ্রের সংখ্যা তিন হাজার ১৪৩টি।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com