কিডনিতে পাথর? প্রাকৃতিক উপায়ে নির্মূল!

প্রকাশিত: ৩:৩২ পূর্বাহ্ণ, জুন ৩০, ২০১৬

কিডনিতে পাথর? প্রাকৃতিক উপায়ে নির্মূল!

download (1)

স্বাস্থ্য ডেস্ক : কিডনিতে পাথর হলে তা খুব কষ্টকর৷কিডনিতে কেন পাথর হয়, কেমন এই পাথরআর কীভাবেই বা এ সমস্যা সম্পর্কে সচেতন হওয়া সম্ভব? এই সব কিছুই দেয়া হলোএখানে।

কিডনির পাথর: কিডনির রোগগুলোর মধ্যে পাথরজনিতরোগই সবচেয়ে বেশি৷ তাই কিডনিতে পাথরহওয়া বা হলে সেই কষ্টের কথা শোনেননি,এমন

মানুষের সংখ্যা বোধহয় কম৷ খনিজলবণএবং অ্যামিনো অ্যাসিড দিয়ে কিডনির পাথরতৈরি হয়৷ তবে পাথর হয়ে থাকে নানাকারণে৷ প্রস্রাব ঘন বা গাঢ় হলে খনিজগুলোকেদানা বাঁধতে সহায়তা করে বিভিন্ন উপাদান৷

বোঝার উপায়: কিডনির মধ্যে পাথর খানিকটা বড় হয়ে যখন বিচরণ করতে থাকে তখনই ব্যথা বাড়ে৷ তবে এমন পাথরও আছে যেগুলো চুপচাপ বসে থাকে৷ তাইশুধুমাত্র এক্সরে এবং আলট্রাসাউন্ডের মাধ্যমেই ধরা পড়ে৷ এক্ষেত্রে ডাক্তাদের পরামর্শ, ব্যথা না করা পর্যন্ত নিয়মিত চেকআপ করানোর৷

পেটে ব্যথা: কিডনিতে জমে থাকা পাথর যখন আস্তে আস্তে মূত্রনালিতে চলে আসে, তখনই ব্যথা এবং অন্যান্য সমস্যা শুরু হয়৷ সাধারণত প্রস্রাব করার সময়হালকা ব্যথা হয়ে থাকে, এমনকি ছোট ছোট পাথরগুলো বের হয়েও আসতে পারে৷ তবে বড় পাথর মূত্রের রাস্তায় আটকে গিয়ে ‘রেনাল কলিক’ হতেপারে৷ এতে পেটে অসম্ভব ব্যথা হয়৷ সাথে বমি, ঘেমে যাওয়া, জ্বর ইত্যাদি হতে পারে৷ এমন হলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে৷

পানি পান ও শরীরচর্চা: রোগী যদি বুঝতে পারেন যে তার প্রস্রাবের সময় ব্যথা বা খোঁচা লাগছে, তাহলে ইউরোলজিস্ট-এর কাছে যেতে হবে৷ তিনি রক্ত, প্রস্রাব পরীক্ষা এবংআলট্রাসাউন্ড করার পর আপনাকে জানাবেন, কোন ধরনের পাথর হয়েছে এবং কী চিকিৎসা হওয়া প্রয়োজন৷ তবে চার মিলিমিটারের চেয়ে ছোটআকারের পাথর হলে, তা নিজে থেকে চলে যেতে পারে৷ অবশ্য এর জন্য রোগীকে নিয়মিত যথেষ্ট পরিমাণে পানি পান ও শরীরচর্চা করতে হবে৷

বড় পাথর: কিডনির পাথরে সাইজ যদি সাত মিলিমিটারের বেশি হয়, তাহলে সেটা নিজে থেকে বের হতে পারে না৷ সেক্ষেত্রে লেজার, এন্ডোসকোপি বা বিশেষযন্ত্রের মাধ্যমে পাথর গুড়ো বা ভেঙে ফেলা সম্ভব৷ এছাড়া খাবার-দাবারে পরিবর্তন এবং নানা রকম ওষুধের সাহায্যেও পাথর গলানো যায়, তবেসেটা সময়সাপেক্ষ৷ বলা বাহুল্য সব পাথর একই পদার্থের হয় না৷ তাই পাথরভেদে ওষুধ বা চিকিৎসার আশ্রয় নিতে হয়৷

সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে ১০১৫ দিনে কিডনিতে জমা পাথর দূর করুন

অনেকেই কিডনিতে পাথরের সমস্যায় ভুগে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে ঔষধে সেরে যায়, অনেক ক্ষেত্রে পাথর ভেঙেবের করতে হয়, আবার বড় পাথর বা অবস্থা গুরুতর হলে অপারেশনও করতে হয়। কিন্তু কিছু প্রাকৃতিকউপায়ে সেটা অনেকসময় সমাধান করা সম্ভব। তাই আজ সবাইকে জানাতে চাই কিডনিতে পাথর সমস্যাপ্রতিকারের জন্য সত্যিকার ভাবে কার্যকরী ও ফলপ্রসূ একটি রাশিয়ান ভেষজ রেসিপি। এই রেসিপিটি কিডনিকেপরিষ্কারে সাহায্য করে, মিউকাস নিঃসরণে এবং বালি ও ছোট ছোট পাথর বের করে দিতে সাহায্য করবে মাত্র১০-১৫ দিনে।

millet বা “বাজরা” হচ্ছে একপ্রকার সাশ্রয়ী খাদ্যশস্য যা কিডনিতে থাকা পাথর অপসারণের চিকিৎসায় এরভূমিকা অসামান্য। অনেকেই হয়তো একে চেনেন না, অনেকে আবার পাখির খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করেন। এইবাজরা দিয়ে রুটিও তৈরি করা যায়। অনেকেই দাবি করে যে এই বাজরা কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ করতেসাহায্য করে।

গ্রাম্য ঔষধে এই বাজরা urolithiasis রোগের (প্রস্রাবের সাথে পাথর বের হয়ে ইউরিনারী সিস্টেমে সমস্যার সৃষ্টিকরে যে রোগে) সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক সমাধান হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এটা কার্যকরী ভাবে কিডনিকে পরিস্কারকরে, বালি ও বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়, কিডনি ও মুত্রাশয়ের ছোট ছোট পাথর বের করে দেয় এবংমহিলাদের cystitis রোগের চিকিৎসায় সাহায্য করে। এছাড়া এই জোয়ার হচ্ছে উচ্চ পুষ্টিমান ও ঔষধিগুণসম্পন্ন এক বিশেষ ধরনের খাদ্যশস্য।

কিডনিতে থাকা পাথর দূরীকরণের পদ্ধতি

২০০ গ্রাম (১ কাপ) বাজরা নিয়ে কুসুম গরম পানিতে খুব ভালো ভাবে ধুয়ে রাখতে হবে। এটা করতে হবে রাতেরবেলা, তাহলে ভালভাবে ভিজবে। তারপর সেই ভেজানো বাজরাগুলো ৩ লিটার ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন একটি পাত্রেনিয়ে এর ২/৩ অংশে ফুটন্ত গরম পানি দিতে হবে এবং পাত্রটির মুখ খুব ভালো ভাবে বন্ধ করে একটি কাপড় দিয়েঢেকে সারারাত রেখে দিতে হবে। পরদিন সকালে পাত্রটিতে একধরনের সাদা ঘোলাটে তরল পাওয়া যাবে। এটাইহচ্ছে সেই কাঙ্খিত ঔষধ। এখন এই পানিটি অন্য একটি পাত্র বা বোতলে নিয়ে নিন এবং সারাদিন যেকোনোসময় যেকোনো পরিমাণে পান করুন কোন বাধা নিষেধ ছাড়াই।

আর বাজরা গুলো ফেলে না দিয়ে পরিজ রান্না করে সকালের স্বাস্থ্য সম্মত নাস্তা হিসেবে খেতে পারেন। এক কাপবাজরার সাথে ৩ কাপ পানি দিয়ে ১৫ মিনিট ফুটালেই তৈরি হয়ে যাবে সকালের নাস্তা। প্রতিদিন রাতে আবারপরবর্তী দিনের জন্য নতুন করে বাজরার পানি তৈরি করে রাখুন একই প্রক্রিয়াতে। এভাবে প্রত্যাশিত ফলাফলপেতে ১০-১৫ দিন নিয়মিত এই পানীয়টি খেতে হবে। এই ১০-১৫ দিনের মাঝে কিডনি পরিস্কারের পাশাপাশিএতে থাকা পাথর নরম হয়ে গলে প্রসাবের সাথে বেড়িয়ে যাবে। তখন কিডনিতে থাকা বালি, মিউকাস বা পাথরইবলেন সব দূর হয়ে তখন তা ইতিহাস হয়ে যাবে। ফোলা কমে গিয়ে কিডনী ও মূত্রতন্ত্রের বিভিন্ন অঙ্গগুলো সুস্থহয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিয়ে আসবে।

এই খাদ্যশস্যটি প্রতেকের জন্য প্রযোজ্য, সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য এবং এটি যদি প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যুক্তকরা হয় তবে তা অবশ্যই কিডনির জন্য স্বাস্থ্যকর হবে। যেকোনো রোগের ক্ষেত্রেই প্রতিরোধ প্রয়োজন বিশেষকরে শরীরের সম্ভাব্য রোগ এড়ানোর জন্য এবং প্রাকৃতিক উপায়ে একে পরিষ্কার রাখার জন্য।

এছাড়া লেবু এবং জলপাই তেলের মিশ্রণ তৈরি করে খেলে তা পিত্তথলি এবং কিডনির পাথর গলাতে সাহায্য করে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com