সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:০৩ অপরাহ্ণ, মার্চ ১৬, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : আবারও পিছিয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ। বুধবার (১৬ মার্চ) আদালতে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আদালতে উপস্থিত না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণের ফের নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে।
আগামী ৩০ ও ৩১ মার্চ সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেন সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মকবুল আহসান। সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট কিশোর কুমার কর বাংলানিউজকে জানান, বুধবার আদালতে তিন সাক্ষী উপস্থিত হন। তবে কারান্তরীণ ১৪ আসামির ১২ জন উপস্থিত ছিলেন। শুধু সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর ও সিসিকের বরখাস্ত মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী আদালতে উপস্থিত না থাকায় সাক্ষ্যগ্রহণ হয়নি।
তিনি জানান, এ মামলায় ৩২ আসামির মধ্যে ১৪ জন কারাগারে, ৮ জন জামিনে ও ১০ জন পলাতক রয়েছেন। এর আগে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশ অনুযায়ী ১১ মার্চ থেকে পুনরায় দ্রুত বিচার আদালতে আলোচিত এ মামলার বিচার কাজ শুরু হয়। ওই তারিখে হবিগঞ্জের আলতাব ও আবদুল খালিকের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
এদিকে দ্রুত বিচার আদালতে মামলাটি ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে শেষ হওয়ার বাধ্যবাধকতা ছিল। কিন্তু এ সময় পেরিয়ে যাওয়ায় নিয়মানুযায়ী ১৫ কর্মদিবস করে দুই দফা সময় বাড়ানো হয়। সেই সময়ও পেরিয়ে যায় গত বছরের ৯ ডিসেম্বর। এর আগে টানা নয় দফা পেছানোর পর গতবছরের ১৩ সেপ্টেম্বর সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠন করা হয়। মামলায় কারান্তরীণ ও জামিনে থাকা সব আসামির উপস্থিতিতে মোট ৩২ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জ গঠন করা হয়।
অভিযুক্তদের মধ্যে আছেন- সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিসিকে’র মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র জিকে গউছ, হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান প্রমুখ।
২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদরের বৈদ্যের বাজারে এক জনসভায় গ্রেনেড হামলায় নিহত হন তৎকালীন অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া। হামলায় নিহত হন কিবরিয়ার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রহিম, আবুল হোসেন ও সিদ্দিক আলী। এ ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক আবদুল মজিদ খান হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দু’টি মামলা দায়ের করেন।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি