সিলেট ১৬ই জানুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২রা মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৬:১৪ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ৩, ২০১৬
লাইফস্টাইল ডেস্ক : কিভাবে প্রিয় মানুষকে খুশি রাখা যায়? বা রাখব? প্রেমিক বা প্রেমিকা এর মনের একটি প্রশ্ন। তাই নয় কি? মাঝে মাঝে উভয় পক্ষ থেকেই নার্ভাস হয়ে যায় আমি কি করব, কোনটা করব, কি ওর ভালো লাগবে, কি ওর খারাপ লাগবে, অনেক সময় ভাবতে ভাবতেই জীবন চলে যায় কিন্তু সম্পর্কটিকে আর ইনজয় করা যায়না। কেউ কেউ তো প্রপোজ করার ভয়েই আর আগাতে পারেন না পরের কেয়ারিং, খুনশুটি, মান অভিমান তো দূরের কথা। আবার কেউ কেউ দেখবেন ৫-৭ বছর কাটিয়ে দেয় অনায়েষেই। কিভাবে কি করে তার? How Do They Do
চলুন দেখা যাক ইন্টারনেটের বিভিন্ন লাভ রিলেটেড ব্লগ ঘুরে কি আনতে পারলাম আপনাদের জন্য? কিভাবে প্রিয় মানুষকে খুশি রাখা যায়? কিভাবে জীবনকে উপভোগ করা যায়? আর কিভাবেই বা তার হাতটি ধরে স্বর্গের শান্তি অনুভব করা যায়।
১।প্রপোজ করার ব্যাপারটা: এখানে মেয়েদেরকে কনভিন্স করার একটা ব্যাপার থাকে।মেয়েরা রিলেশন করার সময় একটা নির্ভরযোগ্য মানুষকেই খোঁজে।যাকে সে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে পারবে।যে তার হাতটা সারাজীবনের জন্য ধরবে।তাই পছন্দের মানুষকে হুটহাট করে প্রপোজ করার চাইতে তাকে নিজের সম্পর্কে জানতে দিন।আপনার পরের স্টেপটা এমনিতেই ইজি হয়ে যায়।সেটা আপনি তার সাথে কথা বলে অথবা তার ফ্রেন্ডসার্কেলের মাধ্যমেও হতে পারে।
২। একটা ফুল হয়ে যাক? আপনার প্রিয় মানুষটিকে যে সবসময় আপনার একগুচ্ছ গোলাপ, অর্কিড অথবা দামি ফুলের তোড়া সাথে নিয়েই দেখা করতে হবে এমন কোন কথা নেই। পড়াশুনা বা কাজের প্রেশারে আপনি ভুলে যেতেই পারেন। কিন্তু এসময় যদি আপনি একটা ছোট ঘাসফুল বা গাছ থেকে অন্য কোন ছোট্ট ফুল ছিঁড়ে এনে তাকে দিয়ে স্যরি বলেন আপনার তাতে কোন ক্ষতি তো নেই কিন্তু এতে আপনার প্রিয় মানুষকে খুশি রাখা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে বৈকি।
৩। তাকে উৎসাহ দিন: আপনার প্রিয় মানুষটি যখন ভালো রান্না না জানা সত্ত্বেও অনেক চেষ্টা করে আপনার জন্য কিছু রান্না করে নিয়ে আসবে তখন আপনার উচিত রান্না ভালো না হলেও তাকে একটুখানি উৎসাহ দেয়া কারণ আপনার উৎসাহই তাকে আরো অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং ভবিষ্যতে সেটা আরো ভালো হয়ে যাবে।
৪। ঝগড়ার সময় একটু কষ্ট করে হলেও মাথা ঠান্ডা রাখা: একটা গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হলো যখন ঝগড়া হয়।এই সময়টা খুবই বিপজ্জনক সময় মনে হয়েছে আমার কাছে।কারণ,ঝগড়াটা মিটমাট নাহলেই তো ফলফল ব্রেক আপ।ঝগড়ার সময় ২ জনই যদি রেগে যান তাহলেই বিপদ।তাই যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করবেন মাথা ঠান্ডা রাখতে।কারণ, আপনি রাগের মাথায় উল্টাপাল্টা কিছু বলে ফেলেছেন কি মরেছেন।কারন,ঝগড়া তো একসময় শেষ হবেই, কিন্তু ঝগড়ার সময় যদি তাকে কষ্ট দিয়ে কিছু বলে থাকেন সেটা সে অনেকদিন পর্যন্ত মনে রাখে এবং এটার প্রভাব কিছুটা হলেও আপনাদের রিলেশনে পড়বে।
৫। একটু এগিয়ে যান: এরপর আসে মান-অভিমানের পালা।যারই দোষ থাকুক না কেন, মেয়েদের একটা এক্সপেক্টেশন থাকে যে ফোনটা আগে ছেলেই দিবে। তার রাগটা যত্ন করে ভাঙাবে।তাকে বুঝতে চেষ্টা করবে।এরপর মেয়ের দোষ থাকলে সে নিজেই তখন ১০০ বার স্যরি বলে।
৬। স্পেশাল মোমেন্টে পাশে থাকার চেষ্টা করুন: স্পেশাল ডে যেমন বার্থডে, রিলেশনের অ্যানিভার্সারী, ভ্যালেনটাইন ডে অন্যদিকে দিলেও এসব ক্ষেত্রে মেয়েরা ছাড় দিতে চায়না কখনোই।এসব দিন গুলোতে তাদেরকে সময় দিতেই হবে।যদি অনেক কাজ থাকে তাহলে কাজের মধ্যে কিছুটা সময় বাঁচিয়ে হলেও একটু সময় বের করে নিতে হয়।আর যদি তাও সম্ভব নাহয় তাহলে অন্ততঃ তাকে আগে থেকেই ব্যাপারটা বুঝিয়ে বলতে হবে যাতে যখন অন্যদেরকে ঘুরতে দেখে তখন তার খারাপ না লাগে।
৭। হাত না ছাড়ার মানসিকতা রাখুন: মেয়েদের একটা কমন প্রবলেম হলো বাসা থেকে বিয়ের জন্য প্রেশার দেয়া।ঐসময় তারা অনেক মানসিকভাবে বিপর্যস্ত থাকে।চুটিয়ে প্রেম করলেও অনেক ছেলেই ঐ সময়ে মেয়েটার দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে।আপনি এসময় তাকে আশ্বস্ত করুন যে আপনি সবসময় তার সাথে আছেন।প্রয়োজনে তার ফ্যামিলির সাথে কথা বলে রাখতে পারেন।
৮। এক মেয়ের সামনে আরেক মেয়ের প্রশংসা? আর একটা জিনিস নিতান্তই ছেলেমানুষি লাগলেও এটা একটু মাথায় রাখলে ভালো যে আপনার গার্লফ্রেন্ডের সামনে অন্যমেয়ের প্রশংসা কম করুন।
৯। গোপনীয়তা রাখুন: অনেক ছেলেকে বা মেয়েকেই দেখি যে তাদের রিলেশনের অনেক ব্যাপার ফ্রেন্ডদের সাথে শেয়ার করে।যত ক্লোজফেন্ডই হোক সে আপনার।তারপরও, নিজের রিলেশনের গোপনীয়তা বজায় রাখতে চেষ্টা করুন।
১০। বাড়াবাড়ি কিছুই ভালো নয়: কখনও মেয়ের পরিবার কিংবা মেয়েটাকে নিয়ে বাজে কোন কথা মানে গালিগালাজ করা যাবে না। এমনকি গায়ে হাত তোলাও যাবে না। এটা অনেক প্রভাব ফেলে মেয়েটার মনে।
১১। ভুল ধারনা উপ্রে ফেলুন: অনেককেই বলতে শুনি যে মেয়েদের সাথে রিলেশন করলে নাকি পকেট গড়ের মাঠ হয়ে যায়।যারা এটার সাথে একমত তারা কি একবারও এটা ভেবেছেন যে আজকাল বেশীরভাগ রিলেশনই তো সেম এজ। ক্লাসমেটদের মধ্যে রিলেশন। তাদের কি গার্লফ্রেন্ডকে শপিং করে দেয়ার মতো টাকা ফ্যামিলি থেকে দেয়া হয়? ম্যানেজ করে রাখতে পারলে এক ঠোঙা বাদাম বা এক প্লেট ফুসকা দিয়েও যে গার্লফেন্ডকে খুশি রাখা যায় সেটার প্রমাণ আপনাদের চোখের সামনেই পাবেন শত শত প্রিয় মানুষকে খুশি রাখা কিন্তু সামান্য কিছু উপায় না।
আপনি থাকে মন থেকে রিসপেক্ট দিন, ভালোবাসুন। একটু দেরি হলেও আপনি প্রতিদান পাবেন। আর প্রতারনা? এটা ভাবাও পাপ। নিজের পাশেই দেখুন না কত ছেলে মেয়ে তার প্রিয় মানুষ থেকে প্রতারনার শিকার হয়ে কি অবস্থায় আছে। ভালো থাকুন। ভালোবাসুন। প্রিয় মানুষকে খুশি রাখা র চেষ্ট করুন
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি