সিলেট ১৩ই অক্টোবর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:২৩ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫
সুরমা মেইল. আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্যে সারা বিশ্বেই উঠেছে সমালোচনার ঝড়। এরপরেও নিজের অবস্থানে অটল মার্কিন ওই ধনকুবের। এমন পরিস্থিতিতে কেমন আছে সেই দেশে বসবাসরত মুসলিমরা? এমন বিতর্কিত পরিস্থিতিতে মার্কিন মুসলিমদের অবস্থান তুলে ধরেছে বিবিসি বাংলা।
বাসিম আব্বাসি নামের মার্কিন এক মুসলিম মনে করেন, ‘আমেরিকানরা ট্রাম্পের চেয়ে ভালো।’
অন্যদিকে সারাহ আলী বলেছেন, ‘আমেরিকা হচ্ছে শ্বেতাঙ্গ ধনী মানুষের জন্য স্বাধীনতা’।
অনেকে ট্র্যাম্পের এই বক্তব্যকে হালকাভাবে নিলেও এর সম্ভাব্য প্রভাবের আশংকায় বেশ আতঙ্কগ্রস্ত। আধুনিক আমেরিকায় একজন রাজনীতিকের মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য অনেকে রীতিমতো চমকে উঠেছেন।
শফিক খান নামের একজন মার্কিনীর মতে , “ আমেরিকার ষাটের দশকে ফিরে যাচ্ছে।”
ট্রাম্পের বক্তব্যের পরও অনেকেই জোর গলায় বলছেন, তারা নিজেদের মুসলমান পরিচয় নিয়ে গর্বিত। কেউ কেউ তার মুসলমান ধর্মীয় পরিচয় নিয়ে কোন শঙ্কিত নন। অনেকে তার ধর্মীয় পরিচয়কে আরো সামনে আনছেন।
একজন বলেন, “ আমি আগে মুসলমান তারপরে আমেরিকান।” মুসলমান বিদ্বেষী বক্তব্যের পরেও আমেরিকা ছেড়ে যাওয়ার ইচ্ছা তাদের নেই।
এদিকে আমেরিকায় মুসলমানদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার বিষয়ে ট্রাম্পের বক্তব্য মার্কিন নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে বলে আশংকা তৈরি হয়েছে। পেন্টাগন সতর্ক করে দিয়েছে যে এইধরনের বক্তব্য মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটকে উসকে দিতে পারে।
তবে ট্রাম্প দাবি করেন, ‘তিনি কোন উগ্রপন্থী নন। এই দেশে সত্য কথাটি বলতে হবে।’
উত্তর আমেরিকায় ইসলাম-বিরোধী মনোভাব নতুন কোন ঘটনা নয়। আমেরিকা এবং কানাডার রাজনীতিতে ইসলাম-বিরোধী মনোভাব মাঝে-মধ্যেই মাথাচাড়া দিয়ে উঠে। কানাডার নির্বাচনে মুসলিম-বিরোধী বক্তব্য বেশ জোরালো হয়ে উঠেছিল। আসন্ন মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও সেটি আবার দানা বাঁধছে।
গত সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকার আইওয়া অঙ্গরাজ্যে এক জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে সেখানকার রিপাবলিকান সমর্থক এক-তৃতীয়াংশ মানুষ মনে করে ইসলামকে নিষিদ্ধ করা উচিত। প্যারিস এবং ক্যালিফোর্নিয়ায় হামলার পর সেটি আরো ঘনীভূত হয়েছে।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি