খালেদার দুই মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য ৩১ ডিসেম্বর

প্রকাশিত: ৩:৩৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২১, ২০১৫

খালেদার দুই মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য ৩১ ডিসেম্বর

 

সুরমা মেইল. ডেস্ক : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের জন্য ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছেন আদালত।

আজ সোমবার রাজধানীর বকশি বাজারস্থ আলীয়া মাদ্রাসার মাঠে অস্থায়ী তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু আহমেদ জমাদার সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে মামলার পরবর্তি এ তারিখ নির্ধারণের আদেশ দেন।

আজ আদালতে আংশিক সাক্ষ্য দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন অর রশীদ। তার আগে আদালতে সাক্ষ্য দেন মেট্রোমেকার্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট লিমিটেডের সিনিয়র ম্যানেজার রশীদ জামান।

এর আগে মামলার সাক্ষী সোনালী ব্যাংক প্রধান কার্যালয়ের ডিজিএম আব্দুল গফুর, জেনারেল ম্যানেজার অফিসার-১ বিভাগের জিএম আমিন উদ্দিন আহমেদ, বঙ্গবন্ধু এভিনিউ শাখার এজিএম হারুন অর রশিদ ও মিরপুর শিল্প এলাকা শাখার সিনিয়র প্রিন্সিপাল ম্যানেজার মো. হারুন অর রশিদ ফকিরকে জেরা করেন খালেদার আইনজীবী ও অন্য আসামির আইনজীবীরা।

এদিকে খালেদা জিয়া অসুস্থতার কারণে পূর্ব ধার্য তারিখ অনুযায়ী সোমবার আদালতে হাজির হতে পারেননি। তার পক্ষে আইনজীবী অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, জয়নুল আবেদীন মেজবাহ ও তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ হাজিরা দেন।

এর আগে ১০ ডিসেম্বরও অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে অনুপস্থিত ছিলেন। সেদিন তার অনুপস্থিতিতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট সংক্রান্ত দুর্নীতি মামলায় সোনালী ব্যাংক লালমাটিয়া শাখার মহাব্যবস্থাপক (জেনারেল ম্যানেজার) আবদুল গফুরসহ চারজন আদালতে সাক্ষ্য দেন। পরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে কারা অধিদফতরের প্যারেড মাঠে স্থাপিত তৃতীয় বিশেষ জজ আবু আহমেদ জমাদারের অস্থায়ী আদালতে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ২১ ডিসেম্বর ধার্য করে আদালত।

১০ ডিসেম্বর মামলাটির ২৬তম সাক্ষী দুদকের সহকারী পরিচালক নাজমুল আহসানকে জেরা করা হয়। খালেদা জিয়ার পক্ষে তাকে জেরা করেন অ্যাডভোকেট আবদুর রেজ্জাক খান।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালে কাকরাইলে সুরাইয়া খানমের কাছ থেকে ‘শহীদ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’-এর নামে ৪২ কাঠা জমি কেনা হয়। কিন্তু জমির দামের চেয়ে অতিরিক্ত এক কোটি ২৪ লাখ ৯৩ হাজার টাকা জমির মালিককে দেয়া হয়েছে বলে কাগজপত্রে দেখানো হয়, যার কোনো বৈধ উৎস ট্রাস্ট দেখাতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে অনিয়মের অভিযোগে দুদক ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট দুদক খালেদা জিয়া, তার ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়।

২০১১ সালের ৮ আগস্ট জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ এনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের নামে তেজগাঁও থানায় দুদকের উপপরিচালক হারুনুর রশিদ মামলাটি করেন। ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com