সিলেট ৮ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ২৫শে মাঘ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫৩ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৯, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আওয়ামী লীগ এখন রাজনৈতিকভাবে সম্পূর্ণ দেউলিয়া হয়ে গেছে। তাদের কোনো রাজনীতি নেই। তাই তারা একটির পর একটি ঘটনা ঘটিয়ে মানুষের দৃষ্টিকে ভিন্নদিকে প্রবাহিত করছেন। যারা ভিন্নমত পোষণ করছে, গণতন্ত্র ও বাকস্বাধীনতার জন্য কথা বলছে, তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে প্রেরণ করা হচ্ছে। গণতন্ত্রের সকল দরজা-জানালা বন্ধ করে দেশে আজ এক ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন মিলনায়তনে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আয়োজিত এক প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন ফখরুল। বিএনপি ঘরোনার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমানের মুক্তির দাবিতে এ সভার আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করে বলেন- বিএনপি যখনই একটি সফল কাউন্সিলের মাধ্যমে ঘুরে দাঁড়াতে ও গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তিগুলোকে নিয়ে একসঙ্গে কাজ করতে শুরু করেছে, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে মাঠ পর্যায়ে চলে গেছে, ভোটারবিহীন এই সরকার ঠিক তখনই সে অর্জনগুলোকে নস্যাৎ করে দেয়ার জন্য নানা চক্রান্ত শুরু করেছে। গণতন্ত্রের সকল দরজা-জানালা বন্ধ করে দিয়ে দেশে আজকে এক ভয়াবহ ফ্যাসিবাদের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে। দেশে এখন মানবাধিকার বলতে কিছু নেই। কথায় কথায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ক্রসফায়ার ও গুলি করা হচ্ছে।
সরকারকে ‘ভোটারবিহীন’ আখ্যা দিয়ে মির্জা ফখরল বলেন- এ সরকারের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে, যেকোনো মূল্যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় টিকে থাকা। রাষ্ট্রের সকল গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস, এমনকি দেশের অর্ধেক মানুষকে কারাগারে নিয়ে হলেও তাদেরকে ক্ষমতায় টিকে থাকতে হবে। দেশে এখন ভিন্ন আঙ্গিকে স্বৈরশাসন চলছে। গণতন্ত্রের মুখোশটাই শুধু রেখে দেয়া হয়েছে। আর কাজ হচ্ছে সব একদলীয় শাসনের মতো।
আওয়ামী লীগের রাজনীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন- আওয়ামী লীগ একটি পুরোনো রাজনৈতিক দল। দলটির গণতান্ত্রিক সংগ্রামের ইতিহাস রয়েছে। অতীতে গণতন্ত্রের জন্য তারা অনেক ত্যাগ স্বীকারও করেছে। কিন্তু দুর্ভাগ্য, এই দলটির হাতেই বারবার গণতন্ত্র নিহত হয়েছে। স্বাধীনতার পরে বাহাত্তর থেকে পঁচাত্তর পর্যন্ত এ দেশে যারাই ভিন্নমত পোষণ করেছেন আওয়ামী লীগ সরকার তাদেরকে হত্যা করেছে নয়তো গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠিয়েছে। তাদেরকে রাজনীতি করতে দেয়নি। তারপরও তারা যখন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারেনি তখন জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। কিন্তু এতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসায় তারা একদলীয় বাকশাল কায়েম করে। এগুলো আওয়ামী লীগের ইতিহাস।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি