গণপিটুনিতে সাত ডাকাত নিহত, আটক ৫

প্রকাশিত: ১:১০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১০, ২০১৫

গণপিটুনিতে সাত ডাকাত নিহত, আটক ৫

dakat

সুরমা মেইলঃ বুধবার গভীর রাতে পুরিন্দা বাজারের একটি চালের গুদামে একটি ডাকাত দল ট্রাক নিয়ে ডাকাতি করতে আসে। টের পেয়ে স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ডাকাতির ঘটনা এলাকাবাসীকে জানায়। এরপর গ্রামবাসী ডাকাতদের ঘেরাও করে গণপিটুনি দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিন ডাকাত মারা যান এবং বাকিরা মারাত্মক আহন হন। এই এলাকায় প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটত। বারবার ডাকাতির ঘটনা ঘটনায় এলাকার লোকজন অতিষ্ট হয়ে উঠেছিলেন।

রাজধানীর তেজগাঁও থেকে কয়েকজন ডাকাত একটি ট্রাক নিয়ে ভোর চার টার দিকে নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের পুরিন্দা বাজারে যায়। সেখানে গিয়ে দায়িত্বরত দুইজন দাড়োয়ানকে তারা ধারালো অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলে।এর মধ্যে একজন দাড়োয়ান এক পর্যায়ে পালিয়ে  যেতে সক্ষম হয়।

পরে সে বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক বাচ্চু মিয়ার বাড়িতে গিয়ে বাজারে ডাকাত পড়ার কথা জানায়। পরে তারা দুজনে মিলে স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের মাইক যোগে বাজাারে ডাকাত পড়ার কথা প্রচার করে। একযোগে কয়েকটি মসজিদ থেকে গভীর রাতে ডাকাতির ঘটনা শুনে শত শত লোক আশপাশ থেকে বের হয়ে আসে।

এরই মধ্যে ডাকাতরা ভাই ভাই চালের দোকানের মালিক হাজী গফুর মিয়ার দোকানে ঢুকে চাল নিয়ে ট্রাক বোঝাই করে।এই পর্যায়ে শত শত লোক দেখে ২৫/৩০ জনের ডাকাত দল ভোর পাঁচটার দিকে ট্রাক রেখে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে ।এ পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন সাত ডাকাতকে ধরে গণপিটুনি দেয়। আরও চারজন ডাকাত পিটুনি খেয়ে এক পর্যায়ে পাশের পুকুরে গিয়ে লাাফিয়ে পড়ে। এ পর্যায়ে এলাকার লোকজন পুকুর ঘিরে ফেলে এবং তাদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে।

এক পর্যায়ে চার ডাকাত ক্লান্ত হয়ে পুকুরের পানিতে তলিয়ে যায়। পরে ভোর ছয়টার দিকে পুলিশ এসে পুকুর থেকে চারজনের লাশ উদ্ধার করে। আর এদিকে গণপিটুনিতে সাতজনের মধ্যে তিনজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। আরও প্রায় পাঁচজনকে আড়াইহাজার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

সাতগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান ওয়াদুদ মাহমুদ অদুদ জানান, সাতগ্রাম ইউনিয়নের বাগবাড়ি বাজার থেকে গত মাসে ডাকাত দল একটি চালের আড়ৎ থেকে প্রায় দেড়শ বস্তা চাল নিয়ে যায়। এরপর থেকেই এলাকাবাসী এ ব্যাপারে সচেতন ছিল। এর ধারাবাহিকতায় ডাকাতদল আবার ডাকাতি করতে এলে উত্তেজিত জনতা তাদের বেদম পিটুনি দিলে সাত ডাকাত মারা যায়।

আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।এ ব্যাপারে নারায়ণগঞ্জের এসপি মহিদ উদ্দিন বলেছেন, এলাকাটি এক সময় ডাকাত প্রবণ এলাকা ছিল।এর আগে আগে প্রায়ই ডাকাতির ঘটনা ঘটত। দীর্ঘদিন তা বন্ধ ছিল।তবে হঠাৎ করে আবার ডাকাতি শুরু হওয়ায় মানুষ উত্তেজিত হয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

তিনি বলেন, এই ডাকাত দলের নেতৃত্ব দেয় ময়মনসিংহের ত্রিশাল এলাকার একজন ডাকাত।এই দলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ডাকাতরা ছিল। আন্তঃজেলা ডাকাতদলের এই সদস্যদের মধ্যে নোয়াখালীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকার লোক ছিল।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com