সিলেট ৮ই সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৪শে ভাদ্র, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৫:৫৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ২৭, ২০১৬
ষ্টাইল : সুস্থ ও সবল শিশু জন্ম দেয়ার জন্য নিরাপদ মাতৃত্ব নিশ্চিত করা জরুরি। আর নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য মাকে থাকতে হবে সুস্থ। সুস্থ থাকার জন্য চাই সচেতনতা। চলুন জেনে নিই কীভাবে গর্ভকালীন সুস্থ থাকা যায়-
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সুপারিশ অনুযায়ী গর্ভকালীন সময়ে কম পক্ষে ৪ বার ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা নিরীক্ষা করাতে হবে। ১ম ভিজিট গর্ভধারণের ১৬ সপ্তাহ (৪ মাস) পূর্ণ হলে, ২য় ভিজিট ২৪-২৮ সপ্তাহ (৬-৭ মাস)হলে, ৩য় ভিজিট ৩২ সপ্তাহ ( ৮ মাস) এ আর ৪র্থ ভিজিট ৩৬ সপ্তাহ ( ৯ মাস) হলে। ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, জেলা হাসপাতাল, মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রে।
সন্তান ধারণের শুরুতেই প্রতিদিন অন্তত ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ করলে অনাগত শিশুর জন্মগত ত্রুটির আশঙ্কা অনেকখানি কমে। বেশির ভাগ জন্মগত ত্রুটি গর্ভধারণের প্রথম তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যেই দেখা দেয়। তাই গর্ভধারণের পরিকল্পনার শুরুতেই নিয়মিত ফলিক অ্যাসিড গ্রহণ শুরু করে দেওয়া ভালো। যুক্তরাষ্ট্রের সিডিসি বা সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোলের নির্দেশনা সন্তান নেওয়ার অন্তত এক মাস আগে থেকে প্রতিদিন ৪০০ মাইক্রোগ্রাম ফলিক অ্যাসিড বড়ি খাওয়া শুরু করে দেওয়া উচিত। প্রথম তিন মাস পর্যন্ত এটি চালিয়ে যাওয়া উচিত।
শর্করা খাবারের তালিকায় লাল ভাত ও লাল রুটিকে প্রাধান্য দিতে হবে। মাছ, চর্বিহীন মাংস, ডিম, বাদাম বা ডাল, এবং কিছু দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার গ্রহণ খেতে হবে কারণ প্রোটিন, ভিটামিন ডি, খনিজ ও ওমেগা -থ্রি ফ্যাট থাকে। যা শিশুর স্নায়ুতন্ত্রের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ।
গর্ভাবস্থার শুরু থেকে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ বা পরিস্কার করাকে নিশ্চিত করা যাতে ডেন্টাল প্লাক সৃষ্টি না হয়। এ ক্ষেত্রে দন্ত চিকিত্সকের পরামর্শ নিয়ে গর্ভাবস্থার পূর্বেই দাঁত স্কেলিং করা এবং সঠিক ব্রাশ চালনা পদ্ধতি জেনে নেওয়া প্রয়োজন। ডাক্তার পরামর্শ অনুযায়ী বলা যায় খাবারের মধ্যবর্তী সময়গুলোতে শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ বন্ধ রাখা প্রয়োজন। এতে যেমন দেহের বাড়তি ওজন কমানো সম্ভব তেমনি দাঁতের ক্ষয়রোগ রোধ করা সহজ। তবে প্রয়োজনীয় পরিমাণ শর্করা জাতীয় খাদ্য গ্রহণ একান্ত পয়োজন।
গর্ভকালীন কিছু খাবার এড়িয়ে চলা উচিত যেমন কাঁচা মাছ, অপাস্তুরিত দুধ এবং পনির জাতীয় খাবার। কেননা এসব খাবারে লিস্টেরিয়া নামক ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা গর্ভাশয়ে প্রবেশের ফলে ভ্রূণের ঝুঁকিপূর্ণ সংক্রামক রোগ এমনকি গর্ভপাতও হতে পারে। এছাড়া অর্ধসিদ্ধ মাংস দিয়ে তৈরি স্যান্ডউইচ জাতীয় খাবারে লিস্টেরিয়া ব্যাকটেরিয়া থাকার আশঙ্কা থাকে বিধায় তাও পরিহার করা উচিত। ফল খেতে হলে ফরমালিন মুক্ত করে খান। ফরমালিন থেকে নিজে বাঁচুন এবং পরিবারকে বাঁচান।
গর্ভাবস্থায় নিয়মিত ব্যায়াম করলে মায়ের মায়ের শরীরে শক্তি সঞ্চারিত হয়। যা একজন মায়ের ভার বহন করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরচর্চার মাধ্যমে মানসিক চাপ কমানো সম্ভব হয়। গবেষকরা বলছেন, যে মা নিয়মিত শরীরচর্চা করেন সন্তান প্রসব করা ওই মায়ের জন্য কম কষ্টকর।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি