গোয়াইনঘাটে প্রায় ২০ হেক্টর ফসলী জমিসহ ৫ শতাধিক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ

প্রকাশিত: ১১:১৬ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২, ২০২৪

গোয়াইনঘাটে প্রায় ২০ হেক্টর ফসলী জমিসহ ৫ শতাধিক বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ

নিজস্ব প্রতিবেদক, গোয়াইনঘাট :
চৈত্রের শেষে হাতে গুনা কয়েক মিনিটের বৈশাখী ঝড় আর শিলাবৃষ্টির তাণ্ডবে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলায় বসতবাড়ি এবং কৃষকের রূপায়িত ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

 

রোববার (৩১ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় হঠাৎ করে শিলাবৃষ্টি শুরু হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের মানুষ। ইতিহাস সৃষ্টি করা শিলাবৃষ্টির একেকটির ওজন ছিলো প্রায় ২০০ গ্রামেরও বেশি। নির্ঘুম রাত কাটিয়েছেন ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষজন। বসতবাড়ির চালের টিনগুলো ছাকুনির মত হয়েছে। পশু পাখি যানবাহন ফসলহানিসহ আহত হয়েছেন মানুষজন। শিলাবৃষ্টির তান্ডব থেকে রক্ষা পায়নি শিক্ষার্থীদের বই খাতা, ঘরের আসবাবপত্র, বাদ যায়নি বেড বিছানা। একেকটি শিলাবৃষ্টি টেনিস বলের মত আকারে ছিলো।



গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, অতিরিক্ত ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে গোয়াইনঘাটে প্রায় ২০ হেক্টর ফসলী জমি, কৃষকের রূপায়িত সবজি ও পাঁচ শতাধিক বসতবাড়ি এবং দোকানঘর ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার ৭নং নন্দিরগাঁও ইউনিয়নের বসতবাড়ী, দোকানপাট ও ফসলি জমিগুলো।

 

এদিকে গোয়াইনঘাট উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক রাতেই ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রায়হান পারভেজ রনি এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

সোমবার সকাল ১০টায় গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌহিদুল ইসলাম উপজেলার ৭নং নন্দিরগাঁও ইউনিয়নে শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামগুলো পরিদর্শন ও সালুটিকর বাজার মনিটরিং করেন। যাতে কোন ব্যবসায়ী ঢেউ টিনসহ প্রয়োজনীয় নির্মাণ সামগ্রীর দাম বৃদ্ধি করে বিক্রি না করে সুলভ মূল্যে বিক্রি করে। তিনি বাজারের সকল ব্যবসায়ীকে ন্যায্য মূল্যে পন্যসামগ্রী বিক্রি করার নির্দেশনা দেন।

 

পরিদর্শনকালে এসময় উপস্থিত ছিলেন- গোয়াইনঘাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান এস কামরুল হাসান আমিরুল, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা শীর্ষেন্দু পুরকায়স্থ, গোয়াইনঘাট প্রেসক্লাব সভাপতি এম এ মতিন, জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক মহিউদ্দিন মহি, উপজেলা সহকারী প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহফুজ আহমদ, সালুটিকর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের টুআইসি জহির উদ্দিন প্রমুখ।

 

এ ব্যপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার তৌহিদুল ইসলাম জানান, চৈত্রের আকস্মিক ঝড় ও শিলাবৃষ্টির পর গোয়াইনঘাট উপজেলার সালুটিকরসহ অন্যান্য স্থানীয় বাজারে ঘরের চালা হিসেবে ব্যবহারের টিনের চাহিদা বেড়েছে। টিনের ডিলারগণ যাতে নায্য দাম রাখেন এজন্য সালুটিকর বাজার মনিটরিং করা হয়েছে। এ সময় বাজারের টিন ব্যবসায়ীদের মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছে। টিন বিক্রয়ের ক্ষেত্রে কোনো বাজারে অস্বাভাবিক দামের তথ্য থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্যোগের মূহুর্তে এই (টিন) পণ্যের দাম যাতে নিয়ন্ত্রণে থাকে সেজন্য প্রশাসনের মনিটরিং কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

 

(সুরমামেইল/এমএএইচ)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com