সিলেট ১৩ই নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৮শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৭:১৬ অপরাহ্ণ, মার্চ ৭, ২০১৭
মো. আলী হোসেন, গোয়াইনঘাট প্রতিনিধি :: সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার খাগড়া হাওরে ১৪৪ ধারা অমান্যকরে বিরোধপূর্ণ জমিতে প্রতিপক্ষ মৎস খামারের নির্মাণকাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
জমির মালিক হাজী মো. তোরাব আলী গোয়াইনঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করার ৮/১০দিন অতিবাহীত হলেও থানা পুলিশ কোন কর্নপাত করছেনা।
অপরদিকে, প্রতিপক্ষ খোরশেদ আলম ১৪৪ধারা থাকাকালীন তার নিয়োজিত নিজাম বাহিনী দিয়ে এস্কোভেটর লাগিয়ে নিজ নামিয় খরিদা জমি খনন করতে বাধা প্রধান করিলে আলিম উদ্দন (৩৫), মিনহাজ উদ্দিন (৪০)কে গুরুতর আহত করে।
এ বিষয়ে একাধিকবার থানা পুলিশের সাথে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে জানান তিনি।
হাজী মো. তোরাব আলী গোয়াইনঘাট থানার খাগড়া হাওর মৌজার ২য় খন্ড, জে,এল নং ৩০৬, এস,এ দাগনং ১১০, ১০৭, ১০৮, ১০৯ দাগে ১১ একর ২৯ শতক জায়গা ২০১০ সালে সাফ কাবলা দলিল ও নিজ নামে নামজারি ও মৎস খামার করে ব্যবসা করে আসছেন। পরবতির্তে তার প্রতিপক্ষ খোরশেদ আলম কিছু জমি দাবি করায় তোরাব আলী গোয়াইনঘাট থানায় ১৪/১২/১৫ মামলা নং ১৭, ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩০৭/৩৮৫/৪২৭/৫০৬ ধারায় এবং একাধিক মামলা দাযের করেন। মামলাগুলি বিচারের জন্য আদালতে জি,আর ৩০৮/১৬ নং মামলা হিসেবে বিচারাধিন রয়েছে।
সর্বশেষ বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজ না করার জন্য প্রতিপক্ষ খোরশেদ আলম, নিজাম বাহিনীকে ৯/২/১৭ তারিখে উক্ত জমিতে স্ব স্ব অবস্থানে থেকে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদেশ পাঠান, যার অনুলিপি গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জকে দেয়া হলেও অদ্যবদি কোন ব্যাবস্থা না নেয়ায় পুলিশের ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন বিদ্দ।
বাদী তোরাব আলী সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এবং অভিলম্বে বিরোধপূর্ন জায়গার খনন কাজ বন্ধ করার দাবি জানিয়ে আসছেন।
এ ব্যাপারে খোরশেদ আলমকে মোবাইলে না পাওয়া গেলেও তার কেয়ারটেকার নিজাম উদ্দিন বলেছেন, এটা আমার মালিকের বৈধ জমি, এর কাগজপত্র রের্কড সবই অরজিনাল এবং আমরা বৈধ জায়গায়াই মৎস খামারের মাটি কাটার কাজ করছি, এটা কোন বিরোধপূর্ণ জায়গা নয়।
গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেলোওয়ার হোসেন জানান, ১৪৪ ধারা জারি আছে সত্য তবে, বিবাদী খোরশেদ আলম যদি বিরোধপূর্ণ জমিতে কাজ করে এ অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি