গোয়াইনঘাটে ১ জন শিক্ষক দিয়ে চলছে সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়

প্রকাশিত: ৬:৩০ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০১৬

শোয়েব উদ্দিন :: সিলেটের সীমান্তবর্তী জনপদ গোয়াইনঘাট উপজেলার রুস্তমপুর ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডে অবস্থিত দমদমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয়টি গোয়াইনঘাট ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শেষ সীমান্ত এবং ভারতের মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত।

দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭৩ সালে পিছিয়ে পড়া সীমান্তবর্তী জনপদের জনগণকে এগিয়ে নিতে এলাকাবাসীর উদ্যোগে বিদ্যালয়টি স্থাপিত হয়। যোগাযোগ ব্যবস্থা অনুন্নত থাকায় বিদ্যালয়টি জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের দৃষ্টির বাহিরে থেকে যায়। দীর্ঘ দিন থেকে শিক্ষক স্বল্পতা তাকলেও প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিরা এর সমাধানে কোন উদ্যোগ নেননি।

বিদ্যালয়টি প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশে অবস্থিত এবং একাডেমী ভবন ও রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণ। এছাড়া রয়েছে বিশাল খেলার মাঠ। বর্তমানে বিদ্যালয়টিতে ৫ম শ্রেণিতে ৩৪জন, ৪র্থ শ্রেণিতে ৫৮, ৩য় শ্রেণিতে ৫৭জন, ২য় শ্রেণিতে ৫৬ জন, ১ম শ্রেণিতে ৮২ এবং প্রাক প্রাথমিকে রয়েছেন ২৬ শিক্ষার্থী। মোট ৩১৩ জন শিক্ষার্থীকে কিভাবে ১ জন শিক্ষক পাঠদান করেন  সে বিষয়ে প্রশ্ন থেকে যায়।

সরেজমিন পরিদর্শনকালে দমদমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল আমিন এ প্রতিবেদককে দেখে আবেক আপ্লুত হয়ে পড়েন। তিনি তার বিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা তুলে ধরেন। ওই সব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, বিদ্যালয়টি দেশের শেষ সীমান্ত এলাকায় অবস্থান ও যোগযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় ওই স্কুলে পোষ্টিং প্রাপ্ত শিক্ষকরা বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে অন্যত্র চলে যান। এতে এই এলাকার শিক্ষা ব্যবস্থা দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে।

তিনি জানান, এই বিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবনের কোন সমস্যা নেই। বিদ্যালয়টিতে ৫ জন শিক্ষকের পদ থাকলেও রয়েছেন ১ জন সহকারী শিক্ষক। তিনি আবার ১লা জানুয়ারী থেকে ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন (ডিপিএড) প্রশিক্ষণের জন্য চলে যাবেন। ১ জন শিক্ষক দিয়ে বিদ্যালয়টি কিভাবে চালানো সম্ভব? তিনি গণমাধ্যম কর্মীর নিকট প্রশ্ন রাখেন।

এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মশাহিদ মিয়া জানান, সীমান্তবর্তী জনপদ হওয়ায় ওই বিদ্যালয়ে কোন শিক্ষক যেতে চায় না।

এ ব্যাপারে গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা শিক্ষ কমিটির সভাপতি আব্দুল হাকিম চৌধুরী বলেন, দমদমা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি শিক্ষক স্বল্পতায় ভোগছে। স্থানীয় শিক্ষক কম থাকায় বিদ্যালয়টির এ অবস্থা। বিদ্যালয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। শীঘ্রই এ সমস্যার সমাধান হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com