সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ১:৩৪ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৫, ২০১৫
ডায়েট পরামর্শক মুনিশা বানট কিছু চর্বির কথা বলেছেন যা আমাদের শরীরের কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে।
সবধরনের তেল এবং চর্বিতে স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী উপাদান আছে। তাই রান্নার জন্য শুধুমাত্র একধরনের তেল বা চর্বি ব্যবহার করা উচিৎ নয়। ধরুন, আপনি একমাস সূর্যমুখী তেল রান্নার কাজে ব্যবহার করলেন।
তারপরের মাসে আপনি সরিষার তেল ব্যবহার করতে পারেন অথবা আপনি বিভিন্ন ধরনের ভোজ্য তেল ব্যবহার করতে পারেন। কম কোলেস্টেরল সম্পন্ন তেল হচ্ছে- তিলের তেল, অলিভ অয়েল, ক্যানোলা তেল, সরিষা তেল ইত্যাদি।
ভাল তেলের মধ্যে আরও রয়েছে, আভোকাডোস বা আভোকাডোস তেল, বাদাম বা বাদামের তেল, ভুট্টা বা ভুট্টার তেল, কার্পাস বা কুসুম তেল, সূর্যমুখী এবং সুর্যমুখী তেল। তিসি বা তিসির তেল, সয়াবিন এবং সয়াবিনের তেল, নারকেল তেল ইত্যাদি।
মনোস্যাচুরেটেড চর্বি স্বাস্থ্যকর চর্বি। দুই ধরনের চর্বি আছে, একধরনের চর্বি আমাদের ধমনীর ক্ষতি করে। এই ধরনের চর্বিকে এলডিএল বলে। আরেক ধরনের চর্বি ধমনীকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এসব চর্বিকে এইচডিএল বলে।
মনোআনস্যাচুরেটেড চর্বি আমাদের রক্তে ভাল কোলস্টেরল রেখে ক্ষতিকর কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। মনোআনস্যাচুরেটেড চর্বি আমাদের হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বিও কিছু ক্ষেত্রে আমাদের শরীরের জন্য উপকারী। পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বিতে ভাল কোলস্টেরল আছে। কিন্তু এই ধরনের চর্বি আমাদের রক্তের দুই ধরনের কোলস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। তাই এই ধরনের চর্বি আমাদের সীমিত আকারে ব্যবহার করা উচিৎ। পলিআনস্যাচুরেটেড চর্বি পাওয়া যাবে ভুট্টার তেলে, কুমড়ার বীজে, সূর্যমুখী ফুলের বীজে, তিসির তেলে, সয়াবিন তেলে এবং পেস্তা বাদামে।
তরল উদ্ভিদ তেল নিয়মিত ব্যবহারের জন্য খুবই ভাল। সাধারণত ভাজাপোড়ার কাজে মাখন বা ঘি ব্যবহার করা হয় যা ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মহা উৎস।
মাংসের চর্বিও কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। তবে মাংসে লেগে থাকা চর্বি আলাদা করে নিতে হবে।
ভাজা খাবার যত এড়িয়ে যাওয়া যায় ততই ভাল। কারণ ভাজা মাংস বা অন্য খাবারে বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল থাকে। ভাজার পরিবর্তে গ্রিল, রোস্ট, সিদ্ধ, ঝলসিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি