সিলেট ১১ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ২:০৪ অপরাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলা সুন্দ্রাটিকি গ্রামের তালুকদার পঞ্চায়েতের চার শিশুহত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে সালেহ আহমেদ (২৪) নামের আরেক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। সালেহ সুন্দ্রাটিকি গ্রামের বাসিন্দা।
শনিবার সকালে তাকে বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ওই গ্রাম থেকে আটক করে হবিগঞ্জ গোয়েন্দা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বাহুবল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোশারফ হোসেন জানান, সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সালেহ আহমেদকে আটক করা হয়েছে। এর আগে তার ভাই বশির আহমেদকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
এদিকে ৪ শিশু হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবীতে আজ শনিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার মিরপুর-বাহুবল সানসাইন প্রি-ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুলের সামনে ফেষ্টুন হাতে নিয়ে রাস্তায় দাড়িয়ে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, ১২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় সুন্দ্রাটিকি গ্রামের ওয়াহিদ মিয়ার ছেলে সুন্দ্রাটিকি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্র জাকারিয়া শুভ (৮), আবদাল মিয়ার ছেলে প্রথম শ্রেণির ছাত্র মনির মিয়া (৭), আব্দুল আজিজের ছেলে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র তাজেল মিয়া (১০) ও সুন্দ্রাটিকি আনোয়ারুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসার নুরানি প্রথম শ্রেণির ছাত্র আব্দুল কাদিরের ছেলে ইসমাইল মিয়া (১০)। এদের মধ্যে শুভ, মনির ও তাজেল একে অপরের চাচাতো ভাই। ইসমাইল তাদের প্রতিবেশী। অপহরণের পাঁচদিন পর ১৭ ফেব্রুয়ারি সকালে গ্রাম থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরের ইছারবিল খালের পাশে বালু মিশ্রিত মাটিচাপা অবস্থায় ওই চার শিশুর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
গুন্দ্রাটিকি গ্রামের গ্রাম পঞ্চায়েত আব্দুল আলী ওরফে বাগল মিয়ার সঙ্গে নিহত শিশুদের অভিভাবকদের পক্ষের পঞ্চায়েত খালেক মিয়ার দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। মাসখানেক আগে গ্রামের একটি বড়ইগাছ কাটাকে কেন্দ্র করে বাগল মিয়ার সঙ্গে খালেক মিয়ার আবারও ঝগড়া হয়। এর জের ধরেই ওই চার শিশুকে হত্যা করিয়েছেন বাগল মিয়া।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি