সুরমা মেইলঃ লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকান বন্ধ করে জনসংখ্যা অনুযায়ী এলাকাভিত্তিক ওষুধের দোকান নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
তিনি বলেন, ‘কোন এলাকায় কতটি দোকান থাকবে; জনসংখ্যার ভিত্তিতে তা ঠিক করে দেওয়া হবে।’
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ন্যাশনাল ফর্মুলারি’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
লাইসেন্সবিহীন ওষুধের দোকানের তালিকা তৈরির কথা জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ওই তালিকা হাতে পাওয়ার পর লাইসেন্সবিহীন সব ওষুধের দোকান বন্ধ করে দেওয়া হবে। পাশাপাশি নতুন করে আর কোনো ওষুধের দোকানের লাইসেন্স দেওয়া হবে না।’
নাসিম বলেন, ‘অনেক ওষুধের দোকানে অন্যান্য সামগ্রী বিক্রি করা হয়। এসব অবৈধ দোকান দ্রুত বন্ধ করে দেওয়া হবে। ফার্মাসিস্ট ছাড়া কোনো ওষুধের দোকান চালাতে দেওয়া হবে না। শিগগিরই এ বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।’
ফিজিশিয়ান, ফার্মাসিস্ট, স্বাস্থ্য সহকারীসহ ওষুধের দোকানগুলোর দিকনির্দেশনা হিসেবে ন্যাশনাল ফর্মুলারি বইটি তৈরি করা হয়েছে। ২০০১ সালে এটি প্রথম প্রকাশ করা হয়। এবার প্রকাশিত ওই বইয়ে জানানো হয়, দেশে ২৭৫ ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির ১৩ হাজার ২৬ জেনেরিক নামে ২৪ হাজার ব্র্যান্ডের ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খান, মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর হোসেন মল্লিক, ওষুধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এসএম শফিউজ্জামান প্রমুখ।