সিলেট ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:৩৩ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৩০, ২০১৫
সুরমা মেইলঃ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সাধারণ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। প্রতিবারের মতো এবারও বাংলায় এ ভাষণ দেবেন তিনি। পূর্ব নির্ধারিত সময়সূচি অনুযায়ী স্থানীয় সময় সকাল ১১টার (বাংলাদেশ সময় রাত ৯টার) দিকে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
জাতিসংঘের ৭০তম এই অধিবেশন শুরুর আগে বিশ্ব নেতারা যে নতুন এজেন্ডা-২০৩০ নির্ধারণ করছেন শেখ হাসিনার বক্তৃতায় তারই প্রতিফলন থাকবে তার ভাষণে। বৈশ্বিক নিরাপত্তা, সুশাসন, নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য, অভিবাসী শ্রমিক, জলবায়ু পরিবর্তন প্রাধান্য পাবে বলেই জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ বছর এরই মধ্যে জাতিসংঘে দুটি আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের ‘চ্যাম্পিয়ন্স অব দ্য আর্থ’ পুরস্কার আর আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের দেওয়ার ‘আইসিটি অ্যাওয়ার্ড’ শেখ হাসিনাকে আলোচনা ও প্রশংসার কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছে।
এছাড়াও এর আগে জাতিসংঘের নেওয়া সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সবচেয়ে অগ্রসর দেশগুলোর একটি হওয়ার কারণে, জলবায়ূ পরিবর্তনের সঙ্গে খাপখাইয়ে নিতে নিজস্ব প্রচেষ্টায় এগিয়ে যাওয়ার কারণে বিশ্ব নেতাদের কাছে প্রশংসিত হচ্ছে শেখ হাসিনা।
নারীর ক্ষমতায়ন, সন্ত্রাস বিরোধী আলোচনা, শান্তিরক্ষা বিষয়ে তার উচ্চকণ্ঠ বক্তৃতা এরই মধ্যে প্রশংসা কুঁড়িয়েছে। ভাবনার খোড়াক যুগিয়েছে বিশ্ব নেতাদের কাছে। এ অবস্থায় বুধবারের ভাষণে আরও কি থাকছে তা নিয়েই আগ্রহী অনেকেই।
তবে জাতিসংঘে যোগদানের আগে থেকেই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শেখ হাসিনার অর্জনগুলোকে হাইলাইট করতে শুরু করে আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলো। বৃটিশ প্রভাবশালী দৈনিক গার্ডিয়ান বেশ কয়েকটি ধারাবাহিক রিপোর্টে তার নেতৃত্বের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেছে, বাংলাদেশে অধিকাংশ মানুষ চালকের আসনে তাকে পেয়ে খুশি।
বাংলাদেশ সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ অর্জনে সাফল্যের নজির রেখেছে। এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসডিজি নিয়ে উচ্চ আকাঙ্খা পোষণ করছেন, সে বিষয়টিকেও হাইলাইট করেছে দ্য গার্ডিয়ান।
তবে শেখ হাসিনা আগে থেকে এও বলে আসছেন, এই অর্জনে দাতাদের ভূমিকা রাখতে হবে। ধারনা করা হচ্ছে বুধবারের ভাষণে সে বিষয়টি আরও জোর পাবে।
এদিকে, ৩০ সেপ্টেম্বরই হতে যাচ্ছে নিউইয়র্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শেষ কার্যদিবস। এদিন স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সদরদফতরে মহাসচিবের কার্যালয়ে ওই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
আর ১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার প্রত্যুষে প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্ক ছাড়ার উদ্দেশ্যে হোটেল ত্যাগ করবেন। জন এফ কেনেডি বিমানবন্দর থেকে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের বিএ-১৭৮ এ লন্ডনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন সকাল ৮টায়।
লন্ডনের স্থানীয় সময় রাত ৮টার দিকে তার হিথ্রো পৌঁছানোর কথা রয়েছে। সেখান থেকে যাবেন লন্ডনের ব্রুক স্টিটস্থ হোটেল ক্লারিজে। পরের দিন ২ অক্টোবর বিকেলে লন্ডনে বাংলাদেশি কমিউনিটির একটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই রাতেই তিনি দেশের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করবেন। রাত সাড়ে ৮টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশের ফ্লাইট বিজি ০০২ উড়াল দেবে। যা বাংলাদেশ সময় ৩ অক্টোবর বেলা ১২টার দিকে পৌঁছাবে সিলেটের ওসমানি বিমানবন্দরে। আর সেখান থেকে ফের রওয়ানা দিয়ে বেলা দেড়টার দিকে তিনি ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি