সিলেট ২৯শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ১৬ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৪:০৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১৭, ২০১৬
সুরমা মেইল ডেস্ক :: দ্বিতীয় দফায় আবারও বাড়ছে গ্যাসের দাম। ২০১৭ সালের প্রথম মাস থেকেই গ্যাসের বর্ধিত দরে পিষ্ট হবেন সাধারণ ভোক্তারা। জানুয়ারি থেকে আবাসিক এলাকায় দুই চুলা ব্যবহারকারীদের ৬৫০ টাকার পরিবর্তে একলাফে ১ হাজার টাকা ও এক চুলা ব্যবহারকারীদের ৬০০ টাকার পরিবর্তে ৮০০ টাকা গুনতে হবে।
এর আগে ২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবাসিকসহ কয়েকটি শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তখন আবাসিক এলাকায় ২ চুলার বিল ৪৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা ও এক চুলার বিল ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়েছিল। এ ছাড়া ২০০৯ সালে সকল পর্যায়ে গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) সূত্রে জানা গেছে, গ্যাসের বর্ধিত দাম আগামী ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে। অথচ গ্যাস সংকটে বাসাবাড়ি ও শিল্পকারখানায় ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নুতন সংযোগও দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। এর মধ্যেই গ্যাসের দাম বাড়ানোর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত দিয়েছে সরকার।
নির্ধারিত নতুন দর অনুযায়ী, আবাসিক এলাকায় দুই চুলা ব্যবহারকারীদের মাসিক বিল ৬৫০ টাকা থেকে বেড়ে এক হাজার টাকা গুনতে হতে পারে। আর এক চুলা ব্যবহারকারীদের মাসিক বিল হতে পারে ৬০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৮০০ টাকা।
এ ছাড়া সিএনজির দাম প্রতি ঘনমিটার ৩৫ থেকে বেড়ে ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, গৃহস্থালিতে মিটারভিত্তিক গ্যাসের দাম ৭ থেকে বেড়ে ৯ থেকে ১০ টাকা এবং শিল্পকারখানায় ব্যবহৃত ক্যাপটিভ বিদ্যুতের জন্য প্রতি ঘনমিটার গ্যাসের দাম ৮ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১০ টাকা হতে পারে। গড়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ পর্যন্ত দাম বাড়ানো হতে পারে প্রায় সব খাতে। ২০ থেকে ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে দাম বাড়ানোর আনুষ্ঠনিক ঘোষণা আসতে পারে।
গ্যাসের দাম বাড়ানোর জন্য রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন কোম্পানির প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে এ বছরের ৭ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত গণশুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানিতে সব পর্যায়ের গ্রাহকরা দাম বৃদ্ধির এ প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। শিল্পোদ্যোক্তা ও অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পেট্রোবাংলাসহ গ্যাস বিক্রেতা সরকারি কোম্পানিগুলো প্রায় প্রতিটিই লাভজনক। পেট্রোবাংলার তহবিলে ২৫ হাজার কোটি টাকা অলস পড়ে আছে। তাই গ্যাসের দাম বর্তমানে বাড়ানো যৌক্তিক হবে না। এতে সার্বিক অর্থনীতি ও জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
জানা গেছে, সরকারের শুল্ককর ও মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আরোপের সিদ্ধান্তের কারণেই মূলত বাড়ছে গ্যাসের দর। সরকার গ্যাসের দামের ওপর থেকে সরকারের শুল্ক ৪০ শতাংশ শুল্ক ও ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করছেন। ৫৫ শতাংশ শুল্ক ও মূসক আদায়ের জন্যই তড়িগড়ি করে বাড়নো হচ্ছে গ্যাসের দর।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি