জানেন কি, সম্পর্কে সন্দেহ আসে কেন?

প্রকাশিত: ১২:৫৩ পূর্বাহ্ণ, জুলাই ১০, ২০১৬

জানেন কি, সম্পর্কে সন্দেহ আসে কেন?

download (3)

লাইফস্টাইল ডেস্ক : সন্দেহ করে যে, একা দোষী নয় সে। মনে সন্দেহের বীজ পোঁতা যার কাজ, সেও সমান দোষী। এই সহজ কথাটা মনে আসে না বলেই সম্পর্কগুলো ভেঙে যায়। তাই কাউকে সন্দেহবাতিক বলে নিন্দে করার আগে নিজেকে জরিপ করা উচিত। দেখা উচিত, কেন সন্দেহ করছে অপরদিকের মানুষটি। যেমন –

১। ফোন: প্রেম চালানোর ধারালো অস্ত্র ফোন। কেননা, এখনকার বেশিরভাগ প্রেমই ফোনের কারণে টিকে আছে। সময় মতো কল করা, নির্দিষ্ট সময় মেসেজ পাঠানো, এসব আছে বলেই হাজারো টানাপোড়েনের মাঝে টিকে আছে প্রেম। তাই ফোন ব্যাপারটা ভীষণ জরুরি। সেই ফোনকলের মাত্রা ঝট করে কমে গেলে, কলের সময় বদলে গেলে, বা মেসেজিংয়ে উল্লেখযোগ্য কিছু বদল দেখা দিলে অপরজনের মনে সন্দেহ ঢুকতে পারে। মনে হতে পারে, তৃতীয় কোনও ব্যক্তির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার কারণেই বুঝি হঠাৎ এত বদলে যাওয়া। হয়তো সেই তৃতীয় ব্যক্তিই ফোনকলের চেনা সময়টা দখল করে নিচ্ছে।

২। হাবভাবে চেঞ্জ: এতকাল মুখে এক বলে হঠাৎই বয়ান পালটে দিলে কিন্তু সন্দেহ হতে পারে অপরজনের। সে ভাবতে পারে, এই বদলের কারণ জীবনে তৃতীয় ব্যক্তির আবির্ভাব। তাই সঙ্গীর মনে সন্দেহ ঢুকলে খোলাখুলি কথা বলা উচিত। বয়ান পালটানোর কারণটাও দেখা উচিত।

৩। পছন্দ নয় এমন কাজ: সঙ্গীর পছন্দ নয় খোলামেলা পোশাক, সে চায় না রাত পর্যন্ত পার্টি। এতকাল এ সব মেনে চলার পর হঠাৎই পুরোনো ফর্মে ফিরে এলে সঙ্গী সন্দেহ করা শুরু করতে পারে।

৪। কেয়ার না করা: ছোটো ছোটো ব্যাপারে কেয়ার করা বন্ধ করলেও অপরজন সন্দেহ করতে পারে। কেন কেয়ার করা বন্ধ হল? এর কারণ কি অন্য কেউ সম্পর্কের মাঝে এসেছে? – সঙ্গীর মনে এসব প্রশ্ন উঁকি দেওয়া শুরু করতে পারে। ফলে নিজের দিকেও আঙুল তোলা উচিত। যাচাই করা উচিত নিজের কোন বদলে যাওয়া ব্যাপারগুলো সঙ্গীর মনে সন্দেহ জাগাচ্ছে।

৫। ভাষায় বদল: হঠাৎ একদিন সঙ্গীকে বিশ্রী গালাগালি দিয়ে কথা বলা শুরু করলেও তার মনে সন্দেহ জাগতে পারে। সে ভাবতে পারে, হয়তো ইচ্ছে করেই এই ভাষা প্রয়োগ। হয়তো প্রেম ভাঙার জন্যই এই অশ্রাব্য ভাষা। তাই সঙ্গীর মনে সন্দেহ না ঢোকাতে চাইলে নিজের ভাষা সম্পর্কে সতর্ক হওয়াটাই বাঞ্ছনীয়। সন্দেহ জাগানো বেফাঁস কথা না বলাই ভালো।

৬। দেখা না করা: হঠাৎ দেখা করা বন্ধ করে দিলেও সঙ্গী সন্দেহ করতে শুরু করবে। সম্পর্ক না রাখতে চাইলে, তাকে সে কথা স্পষ্টই জানিয়ে দেওয়া উচিত। খামোখা কাউকে দোটানায় রাখাটা একেবারেই উচিত কাজ নয়। বিশেষ করে সম্পর্কঘটিত ব্যাপারগুলোয় অনেকবেশি সতর্কতা মানা উচিত।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com