সিলেট ২রা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৫২ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ২৭, ২০১৬
সুরমা মেইল নিউজ : হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নে অংশ নেওয়া তিন তরুণের চেহারা স্পষ্ট। জুলহাজ ও তনয় হত্যার পর খুনিদের পালিয়ে যাওয়ার পুরো বিষয়টি নজরদারিতে রাখতে দেখা গেছে তাদের। ডলফিন গলির একটি সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়া ছবিতে তাদের সামনেই একে একে পাঁচজনকে দৌড়ে পালাতে দেখা গেছে।
সিসি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণে দেখা যায়, একজন লাল গেঞ্জি পড়া তরুণ ডলফিন গলির মুখে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছেন। কিছুক্ষণ পর একজন হালকা আকাশী রঙের ফুলহাতা শার্ট ও প্যান্ট পরা চাপ দাড়িওয়ালা তরুণ এসে তার সঙ্গে (লাল গেঞ্জি)হ্যাণ্ডশেক করেন। এরপর তারা দুজনে জুলহাজদের গলির দিকে তাকিয়ে থাকেন। সিসি ক্যামেরা ফুটেজের ছবিতে তাদের বেশ উদ্বিগ্ন দেখা গেছে এবং ঘাম মুছতেও দেখা যায়।
কিছুক্ষণ পর জুলহাজদের বাসার দিক থেকে এক এক করে চারজন যুবক পালিয়ে গেলে তারা আরেকটু সজাগ হয়ে সেদিকে তাকিয়ে থাকেন। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে পঞ্চম একজন গেঞ্জির ওপরে শার্ট পরা লম্বা ছেলে দৌড়ে পালানোর সঙ্গে সঙ্গে অপেক্ষমান লালগেঞ্জির হাতের ইশারায় এই দুই তরুণও উল্টোদিকে হাঁটা শুরু করেন। তারা দুজনে পরস্পরের সঙ্গে সেসময় কোনও কথা বলেননি এবং পুরো গলি পার হওয়ার সময় পরস্পরের দিকে তাকানওনি।
ফুটেজে পুরো সময়টিতে আরেকজন ছেলের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। যিনি অপেক্ষমান দুই যুবকের ঠিক উল্টোদিকের চয়েজ নামে একটি দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং অপেক্ষমান লাল ও আকাশী রঙের পোশাক পরা যুবক দুজন যেদিকে চলে যান, তার ঠিক উল্টোদিকে (যে গলি দিয়ে খুনিদের পালাতে দেখা যায়) হাঁটা শুরু করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী একজন বলেন, আমার মনে হয় তারা এই অলিগলিতে অনেকেই ছিলেন। এমনকি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে চলে যাওয়ার পর উপস্থিত দর্শনার্থীদের মধ্যেও তাদের লোক থাকলে অবাক হবো না। এই সময় জুলহাজ ও তনয় বাসায় ছিল এটাও তাদের জানা ছিল। তিনি বলেন, এতোদিন ধরে নজরদারি করে কাউকে হত্যা করা হয়েছে ভাবলেই আমরা ভয়ে সিটিয়ে যাচ্ছি।
এদিকে কলাবাগান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইকবাল জানান, আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখছি। কত কিছুইতো নজরে আসছে। সবদিক বিবেচনা করা হচ্ছে। যাদের চেহারা স্পষ্ট তাদের বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে বলেও বলেন তিনি।
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি