জৈন্তাপুরে পূর্ব শত্রুতার জের: ভাই-বোনকে প্রাণে মারার চেষ্টা, আটক রাবেয়া

প্রকাশিত: ৭:০০ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ৫, ২০১৬

জৈন্তাপুরে পূর্ব শত্রুতার জের: ভাই-বোনকে প্রাণে মারার চেষ্টা, আটক রাবেয়া
surmamail.com

ওসমানী হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে দুই ভাই-বোন। বামে গুরুতর আহত- সোয়েব ডানে হুসনা।

সুরমা মেইল নিউজ :: সিলেটের জৈন্তাপুরে পূর্ব বিরোধের জের ধরে হুসনা আক্তার (৬) ও সোয়েব আহমদ (৪) নামক দুই শিশু ভাই-বোনকে প্রাণে মারার চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। অতঃপর ঘটনাকারী সন্ত্রাসী প্রকৃতির মহিলা রাবেয়া বেগমকে আটক করে থানা পুলিশ।

পরে স্থানীয়রা আশংকাজনক অবস্থায় দুই শিশুকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

গত (২১ সেপ্টেম্বর) বুধবার উপজেলার ৫নং ফতেহপুর ইউনিয়নের দলইপাড়া গ্রামে এ নৃশংস ঘটনাটি ঘটে।

এদিকে ঘটনাকারীকে রাবেয়াকে পাগল সাজানোর চেষ্টায় উঠে পড়ে লেগেছে প্রভাবশালী একটি চক্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সুত্র জানায়, প্রভাবশালী এই চক্র আটককৃত আসামী, কুখ্যাত মহিলা রাবেয়া বেগমকে জামিনে ছাড়িয়ে নেয়ার জন্য ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সাথে সার্বক্ষনিক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।

অন্যদিকে আহত দুই শিশুর পিতা মো. শাহিন আহমদ ঘটনারদিন (২১ সেপ্টেম্বর) বাদী হয়ে একই গ্রামের মৃত বশির উদ্দিনের কন্যা রাবিয়া বেগম (২২) কে আসামী করে জৈন্তাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন যার নং- ০৮/১০১, ধারাঃ ৩৪২, ৩২৬, ৩০৭ দ্বঃবিঃ।

মামলার বিবরণে জানা যায়, পূর্ব বিরোধের জের ধরে এজাহার ভুক্ত আসামী পূর্ব থেকে তার ও তাদের পরিবারের লোকজনদের খুন করার হুমকী দিয়ে আসিতেছে। ঘটনার দিন বেলা প্রায় ১টার দিকে বাদীর মেয়ে হুসনা আক্তার ও ছেলে সোয়েব আহমদ খেলতে খেলতে আসামীর বসত ঘরে প্রবেশ করলে ক্ষীপ্ত হয়ে উঠেন রাবেয়া বেগম। তিনি পূর্ব শত্রুতার আক্রোশে বসত ঘরের দরজা বন্ধ করে তাদেরকে হত্যার উদ্দেশ্যে বটি দা দিয়ে হুসনা আক্তারের মাথা, ঘাড়, ডান হাতের আঙ্গুলে এবং সোয়েব আহমদের পিটের উপর এলোপাতাড়ী ভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তাদের আর্ত চিৎকারে আশপাশের রোকেয়া বেগম, সিদ্দেকা বেগম, বশির উদ্দিন, শামিম আহমদ, বাবুল আহমদ, মঈন উদ্দিনসহ অন্যান্যরা এগিয়ে যান এবং তারা ঘরের বন্ধ দরজা ধাক্কা দিয়ে খুলে ঘটনাটি দেখে আসামীর কবল থেকে শিশুদ্বয়কে উদ্ধার করেন।

এ সময় যদি তারা শিশুদেরকে উদ্ধার করতে না পারতেন আসামী তাদের প্রাণে মেরে ফেলতো বলে তিনি মামলার এজাহারে উল্লেখ করেছেন। পরবর্তীতে বাদী খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে আত্মীয় স্বজনদের সহযোগীতায় মারাত্মক জখমপ্রাপ্তদের উদ্ধার করে ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

বর্তমানে দুই শিশুদ্বয় হুসনা আক্তার ও সোয়েব আহমদ ওসমানী হাসপাতালের ২য় তলার ১৭ ওয়ার্ডে মুমূর্ষ অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com