টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে পর্যটকদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

প্রকাশিত: ৪:৫৬ অপরাহ্ণ, জুন ২১, ২০২৫

টাঙ্গুয়ার হাওর ভ্রমণে পর্যটকদের মানতে হবে যেসব নির্দেশনা

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি :
টাঙ্গুয়ার হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় ভ্রমণকালে পর্যটকদের আবশ্যক পালনীয় নির্দেশনা দিয়েছে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসন।

 

শনিবার (২১ জুন) সকালে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসনের ফেসবুক পেজে ১৩টি করণীয় ও বর্জনীয় নির্দেশনা সম্বলিত একটি ফটোকার্ড পোস্ট করা হয়-

 

বর্জনীয়-
উচ্চ শব্দে গান-বাজনা করা বা শোনা যাবে না।হাওরের পানিতে অজৈব বা প্লাস্টিক জাতীয় পণ্য/বর্জ্য ফেলা যাবে না।
মাছ ধরা, শিকার বা পাখির ডিম সংগ্রহ করা যাবে না, পাখিদের স্বাভাবিক জীবন যাপনে কোন ধরণের বিঘ্ন ঘটানো যাবে না। ডিটারজেন্ট, শ্যাম্পু বা রাসায়নিক ব্যবহার করা যাবে না। গাছ কাটা, গাছের ডাল ভাঙা বা বনজ সম্পদ সংগ্রহ করা যাবে না। কোর জোন বা সংরক্ষিত এলাকায় প্রবেশ করা যাবে না ও মনুষ্য সৃষ্ট জৈব বর্জ্য হাওরে ফেলা যাবে না। মনুষ্যসৃষ্ট জৈব বর্জ্য হাওরে ফেলা যাবে না।

করণীয়-
সুনামগঞ্জে জেলা প্রশাসন মো. ইলিয়াস মিয়া নির্দেশনা নির্ধারিত নৌ পথ ব্যবহার করতে হবে। লাইফ জ্যাকেট পরিধান করতে হবে। প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহার হতে বিরত করতে হবে। দূর থেকে পাখি ও প্রাণী পর্যেবক্ষণ করতে হবে, ফ্ল্যাশ ছাড়া ছবি তুলতে হবে। স্থানীয় গাইড ও পরিষেবা গ্রহণ ও ক্যাম্পফায়ার বা আগুন জ্বালানো থেকে বিরত থাকতে হবে। ক্যাম্পফায়ার বা আগুন জ্বালানো থেকে বিরত থাকতে হবে।

 

এ ছাড়াও ফটোকার্ডে উল্লেখ করা হয়, সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর ও মধ্যনগর উপজেলাধীন ১০টি মৌজা জুড়ে ছোট বড় ১০৯টি বিলের সমন্বয়ে টাঙ্গুয়ার হাওরের অবস্থান। মেঘালয়ের পাদদেশে অবস্থিত টাঙ্গুয়ার হাওর এলাকার আয়তন প্রায় ১২৬৫৫.১৪ হেক্টর, যা দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম মিঠাপানির জলভূমি।

পরিবেশগত ঐতিহ্য ও গুরুত্বের বিষয়টি বিবেচনা করে সরকার টাঙ্গুয়ার হাওরকে আন্তর্জাতিকভাবে পরিবেশ সংকটাপন্ন বিশেষ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত করে রামসার কনভেশনের অধীনে রামসার এলাকা হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। সংকটাপন্ন এই হাওরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য রক্ষায় পর্যটকদের সচেতনতা অত্যন্ত জরুরি।

 

(সুরমামেইল/এসএম)


সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  
WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com