সিলেট ১৪ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ | ৩১শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
প্রকাশিত: ৩:৩৫ অপরাহ্ণ, মে ১৭, ২০১৬
বিনোদন ডেস্ক : ভারতীয় অ্যাডাল্ট ফিল্মের রসামোদী যাঁরা তাঁরা উপরের ছবির এই মহিলাকে নিশ্চয়ই দেখেছেন। নিজের শরীরী লাস্যে বহু দর্শকের মনে কামনার আগুন জ্বালিয়েছেন ইনি। ভারতে যে আধা পর্ন সিনেমা জগতকে ‘মাল্লু’ বা ‘দেশি’ নামে ডাকা হয় সেই জগতে একসময় রাজত্ব করেছেন ইনি। সিনেমাজগতে এঁর নাম রেশমা। এঁর শরীরী আবেদন অনেক দর্শকের মনেই ঝড় তুলেছে। এবার জেনে নেওয়া যাক এই সুন্দরীর জীবনের উত্থানপতনের আশ্চর্য কাহিনি। খবর-এবেলা
রেশমার ব্যক্তিগত পরিচয় গোপনই থাক। শুধু এটুকু জানিয়ে রাখা যাক যে, এঁর প্রকৃত নাম রেশমা নয়, ওটা স্ক্রিন নেম মাত্র। রেশমার পরিবার এখন তাঁর সঙ্গে যাবতীয় সম্পর্কও অস্বীকার করে। অ্যাডাল্ট সিনেমার জগতে তাঁর উত্থান শুরু হয় ১৯৯০-র দশকের মাঝামাঝি থেকে। চেয়েছিলেন তিনি মূলধারার ফিল্মের নায়িকা হতে। সুযোগ পাননি। সেই সময়ে কিছু দালালের হাতে পড়েন রেশমা। তাদের কাজ ছিল, দক্ষিণী অ্যাডাল্ট ফিল্মে অভিনেত্রী জোগান দেওয়া। টাকার লোভে রেশমা তাদের টোপ গিলতে বাধ্য হন। নেমে পড়েন অ্যাডাল্ট ফিল্মের অভিনয়ে।
‘মাল্লু’ ছবির দুনিয়ায় তখন রাজত্ব করছেন শাকিলা নামের এক অভিনেত্রী। তাঁকে সরিয়ে জনপ্রিয়তার তালিকায় এক নম্বরে উঠে আসতে বেশি সময় লাগেনি রেশমার। রেশমার মূলধন ছিল ফর্সা রঙ, সুন্দর শরীরী গড়ন, আর দুঃসাহসিক যৌনদৃশ্যে সাবলীল অভিনয়ের ক্ষমতা। ১৯৯০-র দশকের শেষদিকে ফিল্ম প্রতি ৫ লক্ষ টাকা করে পারিশ্রমিক নিতেন রেশমা। যা সেই সময়ের তুলনায় বেশ বেশিই ছিল।
রেশমার উত্থান যেমন দ্রুত তাঁর পতনের কাহিনিও তেমনই নাটকীয়। ২০০০- এর দশকে ইন্টারনেট ও পর্ন সাইটের বাড়বাড়ন্তের ফলে ভারতীয় অ্যাডাল্ট ফিল্মের দুর্দিন ঘনিয়ে আসে। কাজ হারান রেশমাসহ মাল্লু সিনেমার আরও অনেক অভিনেত্রীই। এরপর বহুদিন কোনও খবর মেলেনি রেশমার। বেশ কয়েকবছর পরে দেহব্যবসা চালানোর অভিযোগে কোচির একটি ফ্ল্যাট থেকে গ্রেফতার হন রেশমা। তাঁর সঙ্গে গ্রেফতার হন দক্ষিণী অ্যাডাল্ট ফিল্মের আরও কয়েক নায়িকা। তারপর যা ঘটে তা একেবারেই অবিশ্বাস্য। পুলিশ রেশমাকে যে জেরা করে তা মোবাইলে শ্যুট করে নেটে ছড়িয়ে দেন এক পুলিশ অফিসার। ভিডিওটিতে দেখা যায়, রেশমাকে একের পর এক চূড়ান্ত অশালীন প্রশ্ন করেছেন এক পুলিশ। আর বিব্রত মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছেন রেশমা।
জামিনে মুক্তি পান রেশমা। কিন্তু তারপর কোথায় গেলেন তিনি? এখন তিনি কোথায়? এইসব প্রশ্নের উত্তর অজানা। পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে তিনি কোথায় গেলেন তা কেউ জানে না। অনাম্নী অঙ্গনা হয়ে কোথায় তিনি বেঁচে আছেন, তা রেশমা আর তাঁর শুভানুধ্যায়ীরাই জানেন।
উপদেষ্টা খালেদুল ইসলাম কোহিনুর
আইন বিষয়ক উপদেষ্টাঃ এড. মোঃ রফিক আহমদ
সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি : মোহাম্মদ হানিফ
সম্পাদক ও প্রকাশক : বীথি রানী কর
ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক : ফয়সাল আহমদ
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মো: কামরুল হাসান
নিউজ ইনচার্জ : সুনির্মল সেন
অফিস : রংমহল টাওয়ার (৪র্থ তলা),
বন্দর বাজার, সিলেট।
মোবাইল : ০১৭১৬-৯৭০৬৯৮
E-mail: surmamail1@gmail.com
Copyright-2015
Design and developed by ওয়েব হোম বিডি