দাম বেশি হলেও খাটি পন্য যেন মানুষ পায়

প্রকাশিত: ২:৪২ অপরাহ্ণ, জুলাই ২০, ২০১৬

দাম বেশি হলেও খাটি পন্য যেন মানুষ পায়

download

সুরমা মেইল নিউজ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমাদেরকে মাছের্ ‍উৎপাদন বাড়াতে হবে। এ জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।মাছের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণ কর্মসূচি জোরদার করা হয়েছে।এরই মধ্যে সারাদেশে মাছের উৎপাদন বেড়েছে এবং এটাকে আরো বাড়াতে হবে। উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ চাষের ধারণা আমরা বঙ্গবন্ধু সরকারের কাছ থেকেই পেয়েছি। জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে রাজধানীর ফার্মগেটে খামার বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ইউরোপে অসাধু ব্যবসায়ীদের কারণে চিংড়ি রপ্তানি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমরা সরকারে আসার পর আবার ইউরোপে চিংড়ির বাজার ফিরে পাই। এখন সেখানে পুরোদমে রপ্তানি হচ্ছে। দেশের ভাবমূর্তির দিকে লক্ষ্য রেখে ব্যবসা করার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, বিদেশে আমরা যেটাই পাঠাবো যেটা যেন খাটি হয়।পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখতে হবে।সামান্য একটু মুনাফা করতে গিয়ে যেন দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট না হয়। তিনি বলেন, ভেজালের বিরুদ্ধে আমাদেরকে সোচ্চার হতে হবে।

সরকারের নানামুখী পদক্ষেপের কারণে ফরমালিন থেকে নিস্তার লাভের প্রসঙ্গে টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভেজালের দরকার কী? পণ্যের প্রকৃত দাম বেশি হলেও খাটি পন্য যে মানুষ পায়। সেটা দেশে ভেতরে বাজারজাত করার বেলায় যেন মেনে চলা হয়।সে ব্যাপারে ব্যবসায়ীদের সজাগ থাকার আহবান জানান তিনি।তিনি বেশি মুনাফার লোভ পরিহার করার আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী দেশের মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির নানা পদক্ষেপের  কথা উল্লেখ করে বলেন, ভোক্তা সাধারণের কাছে নিরাপদ মাছ পৌঁছে দেয়াই আমাদের লক্ষ্য। উন্মুক্ত জলাশয়ে মৎস্য চাষ যাতে পরিকল্পিত উপায়ে হয় সে দিকে দৃষ্টি দেয়ার জন্য এ সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান তিনি।

জাতীয় মাছ ইলিশ- উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ইলিশ যাতে আমরা আরও বেশি বেশি পাই যে লক্ষে সরকার কাজ করছে।ঝাটকা নিধন আমাদেরকে বন্ধ করতে হবে। এব্যাপারে এরই মধ্যে বেশ কিছ অগ্রগতি হওয়ায় এখন আমরা কিছুটা বড় ইলিশ খেতে পারছি। এটি সফল করার জন্য জেলেদেরকে সরকার সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।কিছু জেলে হয়তো এখনো আমাদের নেটওয়ার্কের বাইরে রয়ে গেছেন এবং তাদেরকে আমরা নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে আসার চেষ্টা করছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কৃষি নিয়ে আমাদের গবেষণা নিরন্তরভাবে চলছে। আর আমরা এর সাফল্যও পেতে শুরু করেছি। এখন আমরা সারা বছর টমেটো ও লাউ খেতে পারছি। আর এটা সম্ভব হয়েছে গবেষণার কারণেই।

দেশের সমুদ্র সম্পদ আহরণের নানামুখী পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র সম্পদ আহরণের ব্যাপারে আমাদের অভিজ্ঞতা কম। আমরা এ ব্যাপারে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।সমুদ্র সম্পদকে আমাদেরকে কাজে লাগাতে হবে।তিনি সমুদ্রে মৎস্য আহরণে আগ্রহী কোম্পানিগুলোকে দ্রুত কাজ শুরু করার তাগিদ দিয়ে বলেন, মৎস্য আহরণ জোরদার করতে হবে।

দেশের বেশ কয়েকটি নদী ড্রেজিং করা হয়েছে-উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এটা মেনটেইন করতে হবে। আর এটা যদি করা যায় তাহলে নৌপথ সচল থাকার পাশাপশি মাছ নিয়ে আমাদের আর চিন্তা করতে হবে না। এছাড়া লবনাক্ততা দূরীকরণের জন্যও এটা কাজ দেবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন
  •  

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

WP2Social Auto Publish Powered By : XYZScripts.com