সুরমামেইল ডেস্ক :
থার্টি ফার্স্ট নাইট ঘিরে পুরো বিশ্ব থাকে উচ্ছ্বসিত। আনন্দ ও উৎসবের মধ্য দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত রেওয়াজ রয়েছে বেশিরভাগ সংস্কৃতিতে। নিউ ইয়ার ইভ বা নতুন বছরে পদার্পণের সময়কে স্মরণীয় করে রাখতে আতশবাজি, আনন্দ-উদযাপনের আয়োজন করা হয় অনেক দেশেই। আবার কিছু কিছু সংস্কৃতিতে বেশ অদ্ভুত ও ব্যতিক্রমী উপায়ে বরণ করা হয় নতুন বছরকে। জেনে নিন এমনই কিছু আয়োজন সম্পর্কে।
অভিনব কায়দায় ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনে ডেনমার্কের নাগরিকদের খ্যাতি আছে। নববর্ষ উদযাপনে তারা প্লেট ভাঙে। তারা বিশ্বাস করে, এই প্রথা সৌভাগ্য বয়ে আনে। যে যত যত বেশি প্লেট বাড়ির বাইরের দরজা বা জানালায় ছুড়ে ফেলবেন তার ভাগ্য তত বেশি ভালো হবে নতুন বছরে।
ইকুয়েডরে নববর্ষ উদযাপনে থার্টি ফার্স্ট নাইটে বিশালাকার কাকতাড়ুয়ায় আগুন ধরিয়ে উৎসব করে। একই সঙ্গে খারাপ স্মৃতি মনে করিয়ে দেয় এমন কোনও পুরোনো ছবিও ওই আগুনে পুড়িয়ে দেন তারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গের বাসিন্দারা পুরানো যন্ত্রপাতি এবং সরঞ্জামগুলোকে জানালার বাইরে ছুঁড়ে দিয়ে উদযাপন করে নতুন বছরের আগমনকে।
রাশিয়ায় প্রত্যেকে নতুন বছরের শুভকামনা এক টুকরো কাগজে লিখে রাখে। এরপর এটি আগুনে জ্বালিয়ে এর ভস্ম একটি শ্যাম্পেন ভর্তি গ্লাসে ফেলেন তারা। তারপর তা ঘড়ির কাটা রাত ১২টা ঘর পেরিয়ে যাওয়ার আগেই পান করতে হয়।
নববর্ষ উদযাপনে জাপানিজরা রাস্তায় ১০৮ ঘণ্টা বাজান। বৌদ্ধ রীতি অনুসারে, ঘণ্টা বজালে মানুষের পাপ দূর হয় ও সৌভাগ্য নিয়ে আসে বলে বিশ্বাস করা হয়।
পুরোনো সব নথি ও কাগজপত্র ছিঁড়ে আর্জেন্টাইনরা জানালা থেকে বাইরে ফেলে দেন।
পুনর্জন্মের প্রতীক হিসেবে নববর্ষের প্রাক্কালে বাড়ির সামনের দরজায় পেঁয়াজ ঝুলানো গ্রিসের ঐতিহ্য। নববর্ষের দিনটিকে স্মরণ করতে বাবা-মায়েরা তাদের শিশুদের মাথায় পেঁয়াজ দিয়ে টোকা দিয়ে জাগিয়ে তোলেন।
ফিলিপাইনরা নতুন বছর উদযাপনে বৃত্তাকার জিনিস দিয়ে নিজেদেরকে ঘিরে রাখেন যাতে আগামী বছর সুখ, সমৃদ্ধি ও সম্পদ আসে সবার ঘরে ঘরে। সেখানে কয়েন থেকে আঙুর পর্যন্ত প্রতিটি জিনিসই সম্পদ ও সাফল্যের প্রতিনিধিত্ব করে।
ভ্রমণ এবং দুঃসাহসিকতায় ভরা একটি বছরের আশায় কলম্বিয়ার বাসিন্দারা খালি স্যুটকেস নিয়ে হাঁটাহাঁটি করে নতুন বছর শুরুর প্রাক্কালে।